You are here
Home > জরুরী টিপস > ওয়ার্ড প্রসেসর কি? ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের মাথানষ্ট টিপস

ওয়ার্ড প্রসেসর কি? ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের মাথানষ্ট টিপস

ওয়ার্ড প্রসেসর কি

 

মনের ভাব প্রকাশের জন্য আমরা লেখালেখি করতে গিয়ে অনেক সময় পিসির সাহায্য নিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হয় এই ওয়ার্ড প্রসেসর। অনেকেই নতুন নতুন ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে। সে-কথা মাথায় রেখে আজ আমরা আলোচনা করবো ওয়ার্ড প্রসেসর কি? ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের কিছু মাথানষ্ট টিপস নিয়ে! যা খুবই সহজ এবং বেশ কার্যকর!

 

ওয়ার্ড প্রসেসর কি

সাধারণত ডিজিটাল মাধ্যমে শব্দ বা লেটার টাইপিং, তাদেরকে স্টোর করা এবং শেষে প্রিন্ট করার যে কার্যক্রম রয়েছে সেই কার্যক্রমই ওয়ার্ড প্রসেসর হিসেবে পরিচিত। ফলে আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে! বিশেষ করে যারা লেখালেখির সাথে জড়িত তাদের জন্যে তো এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন ধরণের ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যার অনলাইন জগতে থাকা স্বত্ত্বেও আমরা ঘুরে ফিরে সেই ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা ব্যবহার করি সেটি হলো মাইক্রোসফট ওয়ার্ড! এটি ওয়ার্ড প্রসেসরের একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার! যা আপনাকে মুহুর্তেই বিভিন্ন অনলাইন টেক্সট ডকুমেন্ট তৈরি করে দিতে পারে। সেটি হতে পারে .pdf, .html, .xml, .doc যেকোনো ফরম্যাটের!



ওয়ার্ড প্রসেসর কি ধরনের সফটওয়্যার

মূলত ওয়ার্ড প্রসেসর হলো যেকোনো ডকুমেন্ট প্রস্তুত, সম্পদনা, ডকুমেন্টের গঠন নির্ধারণ, ডকুমেন্ট সংরক্ষণ, মুদ্রণ সম্পর্কিত সফটওয়্যার! এক কথায় একজন ব্যবহারকারী এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে যেকোনো ফাইল তৈরি করতে পারবে এবং তা ব্যবহার করতে পারবে (প্রিন্টিং করে)। এই কম্পিউটার আপ্লিকেশনটি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে মূলত টেক্সট এডিটিংয়ের কাজে।

কেউ যদি এই সফটওয়্যারটির সাহায্যে যেকোনো টেক্সট এডিট করতে চায় তাহলে তাকে সেই ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের কাজে লাগা যেকোনো ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো ওয়ার্ড প্রসেসর যদি একটি ক্যাটাগরি হয় তাহলে ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের কাজে আসা বাকি সফটওয়্যারগুলি হবে এর সাব-ক্যাটাগরি! অর্থ্যাৎ বিভিন্ন ধরণের ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার রয়েছে!

 

ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের সুবিধাগুলি কি কি?

ওয়ার্ড প্রসেসরের কাজ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা যেহেতু পেয়েছেন সেহেতু আশা করি ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের সুবিধাগুলি সম্পর্কেও কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন! এবার চলুন সরাসরি জেনে নিই ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের সুবিধাগুলি কি কি হতে পারে সে-সম্পর্কে!

      • যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো ডিভাইসে এটি দিয়ে লেখালেখি করা যায়
      • কোনো কারণে টেক্সটে কোনো ভুল হলে লেখা মোছা বা নতুন করে লেখা যায়
      • যদি ফাইল পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে তবে তা পেনড্রাইভ বা সিডিতে কপি করে ফাইল অন্য কম্পিউটারে নেওয়ার সুবিধা ভোগ করা যায়
      • যেকোনো ফাইলে প্রয়োজনে নতুন অংশ যুক্ত করা যায়
      • প্রয়োজনে লেখা এডিট করে ইচ্ছেমতো সাজানো যায়
      • যারা নিযমিত ব্যবহার করতে করতে আয়ত্ব করে ফেলে তাদের এটি ব্যবহারে বেশ দ্রুত সময়ে ফাইল রেডির কাজ সেরে ফেলা যায়
      • প্রয়োজনে পূর্বের যেকোনো ফাইল পরবর্তীতে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে হার্ডডিস্কে বা মোবাইলের ফোল্ডারে সংরক্ষণ করা যায়
      • যেকোনো ফাইল প্রয়োজনে .pdf, .html, .xml, .doc ইত্যাদি যেকোনো ফরম্যাটে সেইভ করা যায়
      • ফাইলে ইচ্ছেমতো ফন্ট পরিবর্তন, লেখার রং পরিবর্তন, লেখার সাইজ পরিবর্তন করার সুবিধা ভোগ করা যায়
      • আপনি অনেক ফাইল একত্রে marge করতে ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে পারেন
      • লেখায় বানান ঠিক করা ও গ্রামার ঠিক করার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যায়
      • ফাইলে প্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও যোগ করা যায়
      • চাইলে পূর্বের ডাটা import করে নতুন ফাইলে আপলোড করা যায়

 

জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যারের নাম কি কি?

এবার আমরা জানবো কিছু জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যারের নাম সম্পর্কে। যা আপনি একেবারে ফ্রিতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন! চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যারের নাম রয়েছে আমাদের আজকের এই তালিকায়!

  1. ওপেন অফিস রাইটার
  2. ওয়ার্ডগ্রাফ
  3. রাফ-ড্রাফট
  4. ফোকাসার



ওপেন অফিস রাইটার

ওপেন অফিস রাইটার হলো এমন একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার যা একজন স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে চাকুরিজীবীদের কাছেও বর্তমানে সমানে জনপ্রিয়তার সাথে সার্ভিস দিয়ে আসছে! এর বড় সুবিধা হলো সফটওয়্যারটিকে আপনি একটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ দিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন। টেক্সট ফাইলকে মন মতো সাজাতে ওপেন অফিস রাইটার হতে পারে আপনার পছন্দের ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারগুলির মাঝে একটি।

ওয়ার্ডগ্রাফ

এটি হলো কিছুটা এডভান্স লেভেলের ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার! যা ব্যবহারে আপনি টেক্সটকে ইচ্ছেমতো কাস্টমাইজড করার সুযোগের পাশাপাশি পাবেন টেক্সট টু পিডিএফ করার সুযোগ। এতে থাকা একটি স্পেল চেক ইউটিলিটি আপনার টেক্সটকে করে তুলবে আরো প্রফেশনাল।

রাফ-ড্রাফট

রাফ-ড্রাফট হলো আরেকটি ফ্রি ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যার। এটি RTF এবং TXT ফাইলগুলির সাথে কাজ করে যেকোনো টেক্সটকে কাস্টমাইজড হতে সাহায্য করে। ফাইল ব্রাউজারের সাহায্যে আপনার কম্পিউটার থেকে যেকোনো ফাইল তৈরিতে আপনি ফ্রিতে এই রাফ-ড্রাফট ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে পারেন।

ফোকাসার

এই ফোকাসার ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারের সাহায্যেও আপনি যেকোনো টেক্সট ফাইল তৈরি করতে পারেন। এখানে বিভিন্ন টেক্সট রিলেটেড কাস্টম থিম রয়েছে। যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে এতে আপনার টাইপিং টাইমও সেট করে নিজের টাইপিং স্পিড বা এই রিলেটেড বিভিন্ন টেস্টের ব্যবস্থাও করতে পারেন।



ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের কৌশলগুলি কি কি?

আগে বলেছি পৃথিবীতে অসংখ্য ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যার রয়েছে। তবে যেহেতু মাইক্রোসফট অফিস হলো পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার সেহেতু আজ আমরা আলোচনা করবো এই মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের টেকনিক! চলুন জেনে নিই কিভাবে ব্যবহার করা হয় এই মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যার

      • আপডেট করা ভার্সন মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ এর মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করতে হবে
      • এবার ওয়ার্ড ২০০৭ চালু করে যে নতুন একটি উইনডাে খুলবে সেই উইন্ডাের উপরের বাম দিকের কোনায় থাকা অফিস বাটনে ক্লিক করতে হবে
      • এবার যে স্ক্রিনটি দেখা যাবে সেই স্ক্রিনের সর্বপ্রথম আইকন থাকবে “নিউ” এবং এটি ব্যবহৃত হবে একটি নতুন ডকুমেন্ট খোলার ক্ষেত্রে
      • “সেইভ” অপশনটিকে টেক্সট এডিট বা রাইটিং শেষে ব্যবহার করে যেকোনো ফাইল সেইভ করতে হবে
      • যদি কখনো একই ডকুমেন্টকে ভিন্ন নামে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে “সেইভ এজ” অপশন ব্যবহার করে পছন্দের ফরম্যাট অনুযায়ী ফাইল সেইভ করতে হবে
      • “ক্লোজ” অপশনটিকে তখনই ব্যবহার করতে হবে যখন আপনার টেক্সটটি এডিট বা রাইটিংয়ের কাজ পুরোপুরি শেষ হয় যাবে

 

ওয়ার্ড প্রসেসর ও টাইপরাইটারের মধ্যে পার্থক্য কি কি?

লেখালেখি বা টাইপ রাইটারের সাথে ওয়ার্ড প্রসেসরের রয়েছে ছোটখাটো পার্থক্য! যদিও দু’টোর উদ্দেশ্য কিন্তু সম্পূর্ণ একই বলা চলে। তবে ইউজারের ধারণা ওয়ার্ড প্রসেসরে সহজে এডিটিং বা পরিবর্তন করা গেলে টাইপরাইটেরা সেই সুযোগ কম বা একেবারে নেই বললেই চলে। একটা লেখার পর ভুল হলে তা শুদ্ধ করতে ওয়ার্ড প্রসেসরের সাহায্যে এক নিমিষে কাজ হয়ে গেলেও টাইপরাইটারে তা নতুন করে শুরু করতে হয়৷ সুতরাং যারা ঝামেলা একেবারেি পছন্দ করেন না এবং টেক্সট ডিলিটের বিপদে পড়তে চান না তারা ওয়ার্ড প্রসেসরের যেকোনো জনপ্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

 

ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করে কি কি করা যায়

সোজা কথায় ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যার ব্যবহার করার হয় টেক্সট ফাইল তৈরির কাজে। এটি টেক্সট ফাইল তৈরির পাশাপাশি টেক্সটের এডিটিংয়ের কাজেও পারদর্শী! টেক্সটে যেকোনো ইমেইজ বা ভিডিও এডিং, ফরম্যাটিং ইত্যাদি যেকোনো কাজে মোবাইল বা পিসিতে ব্যবহার করা হয় এই ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যার।

 

আশা করি আপনারা ইতােমধ্যে ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করে লেখালেখি কিভাবে করতে হয় তা জেনে গেছেন! পাশাপাশি জেনে গেছেন এটি ব্যবহারের সহজ কৌশল বা টিপসগুলি। আজকের আর্টিকেলে সাজানো ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যারগুলির যেকোনো একটি সফটওয়্যার ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে পারলে লেখালেখি নিয়ে আপনাকে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না! আর হ্যাঁ..কোন ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনি সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

Facebook Comments
Top