সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা: সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটি উচ্চমানের ক্ষেত্র, যেখানে কম্পিউটার বিজ্ঞান, গণিত, এবং প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতার মাধ্যমে সফটওয়্যার প্রযুক্তির বিভিন্ন দিকে অনুশীলন এবং উন্নতি করা হয়।
আর বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনবরত বেড়ে চলেছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা। বলতে পারেন- ২১ শতকে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নের ক্ষেত্রটি। আর তাই ক্যারিয়ার হিসেবে অনেকেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে ইচ্ছা পোষণ করছেন।
মূলত আজকে জানাবো, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তত্থাবলি এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ও আনুষঙ্গিক আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে।
তো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে এখনি জানুন- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা কি, কাজ কি এবং এর ভবিষ্যৎ ও পারিশ্রমিক কেমন এ সম্পর্কে এ টু জেড। সেই সাথে আপনি যদি ঘরে বসে স্মার্ট ইনকাম এর হাতে খড়ি পেতে চান তাহলে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট freelancingtherapy.com– এতে।
আরও পড়ুনঃ গার্মেন্টস অপারেটর এর কাজ কি সে সম্পর্কে এ টু জেড।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি | সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে সফটওয়্যার সিস্টেমগুলোর তৈরি এবং ডিজাইনের ওপর দৃষ্টি নিবন্ধন করে অধ্যয়নের একটি দুর্দান্ত ক্ষেত্র। আর একটু সহজ ভাবে বললে বলা যায়, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং হলো এমন একটি বিষয় যেখানে কোম্পানির চাহিদা বুঝে একটি সফটওয়্যার কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করা হয় যেটি ওই কোম্পানির চাহিদাটি পূরণ করতে পারে। আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর এই ব্যাপারটি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত।
আপনি যদি সফটওয়্যার এবং ইঞ্জিনিয়ার এই দুইটি শব্দ আলাদাভাবে বিভক্ত করে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানেন তাহলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়টি আরো বেশি সুস্পষ্ট হবে। দেখুন কমবেশি হয়তো জানবেন যে, সফটওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের প্রোগ্রাম অর্থাৎ ডেটা।
যেখানে ডেটার পাশাপাশি কিছু ইলেকট্রনিক নির্দেশনা থেকে থাকে। আর এই ডেটা প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক নির্দেশনার মাধ্যমে পরিচালিত হয় কম্পিউটার। আর কম্পিউটার হচ্ছে বর্তমান সময়ের একটি ডিজিটাল ডিভাইস। যেখানে ছোট-বড় এপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায় আর সেই এপ্লিকেশন গুলোই হচ্ছে এক একটি সফটওয়্যার।
অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়, কোন কিছু নতুন আঙ্গিকে ইউনিক বুদ্ধি খাটিয়ে তৈরি করা। যদি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অর্থাৎ সফটওয়্যার গুলো থেকে থাকে তাহলে সেই সফটওয়্যার গুলো তৈরির প্ল্যানিং, ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং সহ যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি সম্পাদনের দায়িত্ব থেকে থাকে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি। আশা করি এর দ্বারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলতে কী বোঝায়, এই প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে সুস্পষ্ট।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে যোগ্যতা হিসেবে কি কি প্রয়োজন পড়ে। এমনকি আপনি যদি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেতে চান তাহলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা হিসেবে কত পয়েন্ট প্রয়োজন? সেটা জানতে নিচের উল্লেখিত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। পাশাপাশি আরও জেনে নিন– চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কি যোগ্যতা প্রয়োজন | কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যোগ্যতা হিসেবে প্রয়োজন পড়ে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেট। মূলত যারা সাইন্স সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করছেন তাদের জন্যই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা। আপনি যদি মোটামুটি ভালো শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় ও মেধা তালিকায় স্থান থাকার সাপেক্ষে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার সুযোগ পেতে পারেন।
ইতোমধ্যে যারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছেন তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে অথবা ভর্তির সার্কুলার লক্ষ্য করলে জানতে পারবেন, সাধারণত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হবার জন্য পদার্থবিজ্ঞান, ইংরেজি ও গণিত সাবজেক্টে ন্যূনতম ৩.৫ পয়েন্ট থাকার প্রয়োজন পড়ে। একইভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতে বিজ্ঞান শাখা থেকে ন্যূনতম ৩.৫ এবং উভয় পরীক্ষাতে মোট জিপিএ কমপক্ষে ৭ পয়েন্ট থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার পয়েন্ট যদি এত থেকে থাকে তাহলে আপনি স্বপ্ন দেখতে পারেন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।
বাংলাদেশ সফটওয়্যার প্রকৌশল হওয়ার যোগ্যতা | বাংলাদেশে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা
বাংলাদেশে যদি আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়তে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে এটা দেখতে হবে যে আপনি এসএসসি ও এইচএসসিতে আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পেরেছেন কিনা। অতএব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পাদনে, যে পয়েন্ট এর কথা উল্লেখ থাকে আপনি সেটা অর্জন করতে পারছেন কি না।
যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে সিদ্ধান্ত নিন অতঃপর প্রস্তুত হন এডমিশন পরীক্ষার জন্য। কেননা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়। আর আপনি যদি ভর্তি পরীক্ষাতে টিকে যান তাহলে শুরু হবে আপনার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যাত্রাপথ।
তবে হ্যাঁ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ পয়েন্ট কখনো কখনো কমবেশির কথা উল্লেখ করা থাকে নোটিসে, এমনকি বেসরকারি ভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় শিথিল করা হয়, তাই ভর্তি হওয়ার সময় সম্প্রতি প্রকাশিত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি নোটিসটি ভালোভাবে লক্ষ্য করবেন অথবা পরবর্তী আপডেট পর্যন্ত আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে পারেন।
পাশাপাশি আপনি যদি চাকরির খোঁজ পেতে চান তাহলে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। কেননা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং গাইড, অনলাইন ইনকাম, অর্থ উপার্জনের জরুরি টিপস সহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়মিত সাবমিট করি।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার উপায় কি | সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর অন্যান্য যোগ্যতা ও দক্ষতা
একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য একাধিক দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই জানতে চান সেই দক্ষতা এবং যোগ্যতাগুলো মূলত কি ধরনের! আর তাই ধারণা প্রদানের জন্য তুলে ধরছি নিচের পয়েন্টগুলো।
- প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা
- ডেটা structure ও অ্যালগরিদম
- প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে ধারণা
- কম্পিউটার সাইন্স ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ব্যাচেলর অথবা মাস্টার্স ডিগ্রী
- কোডিং এর প্র্যাকটিক্যাল ব্যবহার
- অন্যান্য প্রোগ্রাম এবং কোডিং সম্পর্কে ধারণা
- ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং স্কিল
- উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান
- সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা এবং কমিউনিকেশন দক্ষতা সহ টেস্টিং দক্ষতা ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষ।
তো পাঠক বন্ধুরা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা এবং অন্যান্য দক্ষতা হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে বিস্তারিতভাবে জেনেছি। এখন আসুন বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর পড়ে নেওয়ার মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার বিষয়ে আরো বিস্তারিত।
আরো দেখুন: কম্পিউটার অপারেটর এর কাজ
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর
১. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য কোথায় ভর্তি হওয়া যায়?
✓ বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ভর্তি হওয়া যায়। তবে সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধীনে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
২. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সেরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি কোনটি?
✓ বাংলাদেশ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার জন্য কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যাংকিং প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
৩. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মসংস্থানের সুযোগ কেমন?
✓ কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা যদি বলা হয় তাহলে সত্যি এটাই যে বর্তমান এই টেকনোলজিক্যাল যুগে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর কদর রয়েছে আর তাদের রয়েছে চাকরির অহরহ সুযোগ। তাই এক কথায় এটাই বলা যায় কর্মসংস্থানের সুযোগ দারুন অথবা অসম্ভব ফাটাফাটি। যদি আপনি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেশ ভালো স্ট্যান্ডার্ড জব করতে পারবেন।
৪. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ কেমন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ কত?
✓ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ক্ষেত্রে মিনিমাম ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। আর যদি আপনি পরিচিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তে bsc in software engineering কমপ্লিট করতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ পূর্বে মোটামুটি ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। তবে এই ইউনিভার্সিটিগুলোতে সাধারণত মেধাবী ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কে আর্থিক সহায়তা ও বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে এমনকি সরকারের ইউনিভার্সিটিগুলোতে অন্যান্য ডিগ্রির মত নামমাত্র খরচেও ডিগ্রী নেওয়ার সুযোগ থাকে। তবে এভারেজ খরচ বলা যায় ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
৫.সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশ | বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নাম কি কি?
✓ বাংলাদেশে অবস্থিত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে–
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
- বুয়েট /বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়
- আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম
- সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
- ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
- আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- খুলনা প্রকৌশল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ প্রভৃতি।
যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উন্নত ল্যাবরেটরি এমনকি অভিজ্ঞ ফ্যাকাল্টি সদস্যদের সাথে কাজ শিখতে পারবেন এমনকি নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সীমাকে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারবেন।
৬. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি প্রক্রিয়া কেমন?
✓ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির জন্য যোগ্যতা হিসেবে যা যা প্রয়োজন সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়ার সম্পাদনের জন্য ধারাবাহিকভাবে যে কাজগুলো করতে হবে আপনাকে সেগুলো হলো–
প্রথমত বিজ্ঞান বিষয়ে কম করে ১২ বছরের শিক্ষা থাকা এমনকি প্রাসঙ্গিক প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলোতে ভালোভাবে উত্তীর্ণ হওয়া। সেই সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রতিলিপি জমা দিয়ে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ দেওয়া। অতঃপর একটি প্রবেশদ্বার সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে ভর্তির সর্বশেষ ধাপে পৌঁছানো এবং প্রাসঙ্গিক ফি প্রদান করার মাধ্যমে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হওয়া। ব্যাস এটুকুই।
৭. পাবলিক ভার্সিটিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা কি?
✓ পাবলিক ভার্সিটিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার যোগ্যতা হচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে ন্যূনতম 3.5 পয়েন্ট অর্জন করা এবং বিভিন্ন ভার্সিটির সার্কুলারে আবেদন করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পাদনের মধ্য দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগদান করা।
৮. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য কোন সাবজেক্ট নিয়ে পড়বো?
✓ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে আমাদের দেশে কয়েকটি সাবজেক্ট নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। তাই আপনি যদি বাংলাদেশের থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চান সে ক্ষেত্রে সাবজেক্ট হিসেবে বাছাই করতে হবে,
- সি এস
- সিএসই
- আইটিও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং
মূলত উল্লেখিত এই তিনটির মধ্যে থেকে আপনি যে সাবজেক্টটি বাছাই করুন না কেন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পড়াশুনা একই বিষয়কে কেন্দ্র করে। মানে আপনি মোটামুটি ৭০% পর্যন্ত মিল খুঁজে পাবেন একটি সাবজেক্টের আরেকটি সাবজেক্ট এর সিলেবাসে।
৯. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে কি কি জানা লাগবে?
✓ আপনি যদি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চান তাহলে আপনাকে আপনার কাজকে প্রফেশনালি করার জন্য জানতে হবে–
- প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ
- ডেটাবেজ সম্পর্কে এ টু জেড
- সফটওয়্যার ডিজাইন থেকে শুরু করে বিস্তারিত।
১০. সাইন্স নিয়ে না পড়লে কি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায় না?
✓ অনেকেরই প্রশ্ন, সাইন্স ব্যতীত অন্যান্য বিভাগের স্টুডেন্টরা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে কিনা। আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাই, অথচ আমি সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করিনি, তাহলে আমি কি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারবো? সত্যি বলতে আপনি যদি সরাসরি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান তাহলে পারবেন না তবে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যতীত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অসম্ভব নয়। মানে আপনি পড়তে পারবেন।
১১. বিদেশে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা কি?
✓ অনেকেই রয়েছে যারা বিদেশে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ফুলফিল করতে চান। তাই জানতে চান এর জন্য যোগ্যতা হিসেবে কি কি প্রয়োজন। মূলত বিদেশে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে একাডেমিক রেজাল্ট ভালো হতে হবে। পাশাপাশি
- ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে
- একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অর্থাৎ প্ল্যান সাজাতে হবে
- চেষ্টা করতে হবে স্কলারশিপ এর জন্য নিরলস পরিশ্রম করার
১২. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন কত?
✓ একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরির শুরুতে বেতন শুরুর দিকে মোটামুটি আমাদের বাংলাদেশে ৪৫০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা। আর বাহিরের দেশগুলোতে বেতন আলাদা আলাদা রকমের। কোন দেশে কত টাকা বেতন পেয়ে থাকেন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, বার্ষিক হিসেবে তুলে ধরছি আলোচনার এ পর্যায়ে। যথা –
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) গড় বেতন – $110,000 – $140,000 প্রতি বছর।
- সিঙ্গাপুর গড় বেতন – SGD 60,000 – SGD 100,000 প্রতি বছর।
- নেদারল্যান্ডস গড় বেতন – €40,000 – €60,000 প্রতি বছর।
- আস্ট্রেলিয়া গড় বেতন – AUD 70,000 – AUD 100,000 প্রতি বছর।
- জার্মানি গড় বেতন – €50,000 – €70,000 প্রতি বছর।
- কানাডা গড় বেতন – CAD 70,000 – CAD 100,000 প্রতি বছর।
- জাপান গড় বেতন – JPY 6,000,000 – JPY 8,000,000 প্রতি বছর।
- যুক্তরাজ্য (UK) গড় বেতন – £40,000 – £60,000 প্রতি বছর।
- সুইডেন গড় বেতন – SEK 500,000 – SEK 700,000 প্রতি বছর।
- ভারত গড় বেতন – INR 800,000 – INR 1,500,000 প্রতি বছর।
১৩. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ কি?
✓ একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ হচ্ছে
- বাস্তব জীবনের সমস্যা সফটওয়্যার তৈরি করে সমাধান করা
- সফটওয়্যার তৈরি করে সহজ ভাবে সমাধানের পথ অনুসন্ধান করা
- মিরপুর বাথ্রটি মুক্ত সফটওয়্যার তৈরি করা
- সহজে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যার তৈরি করা
- কম জনবল দিয়ে কম খরচে সহজ ভাবে কম সময় সফটওয়্যার তৈরি করা সহ প্রভৃতি।
১৪. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কত বছর লাগে / এসএসসি-এর পর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কত বছর লাগবে?
✓ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা এসএসসির পর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে সরকারি ও বেসরকারি যেকোনো ইউনিভার্সিটি থেকে ফুলফিল করতে সময় লাগবে মোটামুটি চার বছর বা তার অধিক। কেননা বেশ লম্বা সময় এর প্রয়োজন পড়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া কমপ্লিট করতে।
তো পাঠক বন্ধুরা, আপনি যদি একটা স্ট্যান্ডার্ড জব করতে চান এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার জীবন গড়ে তুলতে চান তাহলে এখন থেকেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা গুলো আয়ত্ত করার চেষ্টা করুন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।