You are here
Home > ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার > ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার নষ্ট হতে পারে যেসব ভুলে

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার নষ্ট হতে পারে যেসব ভুলে

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার নষ্ট কারন

 

ফ্রিল্যান্সাররা অনেক সময় তাদের অজ্ঞতাবশত অনেক বড় ধরনের ভুল করে বশে। যার জন্য তাদের আইডি ডিজেবল অথবা পার্মানেন্টলি নষ্ট ও হয়ে যেতে পারে। আর এখন মাল্টিপল এ্যাকাউন্ট খোলার কথা তো ভাবাও যায় না। তাই নতুন ফ্রিল্যান্সার রা শুরুতেই এসব বিষয় নিয়ে হোঁচট খেতে পারেন। কিছু কিছু কমন মিসটেক এর জন্য আপনার উপার্জনের পথটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণত যারা মার্কেটপ্লেসে নতুন কাজ করতে আসে তারাই এই ধরনের ভুলগুলো বেশি করে। যার ফলে তারা তাদের ফাইভার, আপওয়ার্ক অথবা সে যে প্ল্যাটফর্ম এই কাজ করুক না কেনো সেই এ্যাকাউন্ট টি নষ্ট করে ফেলে। এই আর্টিকেল টি সাজানো হয়েছে কিছু কমন মিসটেক নিয়ে, যা প্রতিটি নতুন ফ্রিল্যান্সার-ই করে বশে না জানার ফলে। এবং তাতে যে কারো ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার নষ্ট হতে পারে। তাই আমি মনে করি আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নতুন হয়ে থাকেন তাহলে  অবশ্যই এই আর্টিকেল টা আপনার পড়া উচিৎ। নিম্নোক্ত ভুলগুলো এ্যাভোয়েড করতে পারলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কে আপনি অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন এবং আপনি ও হতে পারবেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সিং এ সফলতা অর্জনের কৌশল কি? জানতে পড়ুন লিংক করা পোষ্টটি।

 

১.পোর্টফলিও কপি করা থেকে বিরত থাকুনঃ

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো আপনার একটি পোর্টফলিও থাকতে হবে। আপনি যদি একজন ডিজাইনার হন তাহলে আপনি বিহ্যান্স অথবা ড্রিবল এ আপনার এ্যাকাউন্ট ওপেন করুন এবং আপনার পোর্টফলিও গুলো সেখানে রাখুন। আপনি যদি অয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং আপনার পোর্টফলিও গুলো সেখানে রাখুন। আবার আপনি যদি এনড্রোয়েড এ্যাপ ডেভেলপার হোন তাহলে আপনার সফটওয়্যার টি প্লে স্টোর এ রাখুন। আপনি যদি একজন কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটি ফাইভার এ্যাকাউন্ট খুলুন এবং সেখানে আপনার পোর্টফলিও গুলো রাখুন। মুলত আপনি যে সেক্টরেই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করুন না কেনো আপনার পোর্টফলিও থাকা উচিৎ। কারণ আপনার ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে কাজ দিবে তখন সে আপনার আগের কাজ গুলো দেখতে চাইবে তখন আপনি স্যাম্পল হিসেবে রাখা কাজ গুলো দেখাতে পারবেন। ধরুন আপনি এনড্রোয়েড এ্যাপ ডেভেলপার, একজন ক্লায়েন্ট আপনার কাছ থেকে একটি এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে চাইলো তখন আপনি আপনার স্যাম্পল দেখিয়ে বলতে পারবেন যে আপনি কি রকম ভাবে এ্যাপ টি ডেভেলপ করতে পারেন। তাহলে আপনার কাজ সম্পর্কে ক্লায়েন্ট এর ধারণা টা ক্লেয়ার হলো। আপনি যদি ডিজাইনার হোন তাহলে আপনার ডিজাইন এর পোর্টফোলিও ক্লায়েন্ট কে দেখালে সে বুঝতে পারবে আপনি কেমন ডিজাইন করেন। আবার আপনি একজন রাইটার হয়ে থাকলে আপনার আর্টিকেল এর স্যাম্পল ক্লায়েন্ট দেখতে চাইবে, আপনার  আর্টিকেল টি দেখার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ সম্পর্কে অবগত হবে এবং আপনি ভালো কাজ করতে পারলে আপনার উপর ভরসা রাখতে পারবে এবং আপনাকে পরবর্তী প্রজেক্ট এর জন্য হায়ার করবে। নতুন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পোর্টফোলিও তৈরি  করার সময় যে ভুলগুলো করে তা হলো তারা বিভিন্ন লোকের পোর্টফোলিও কপি করে এনে এমন ভাবে সেট-আপ করে প্রেজেন্ট করে যেনো মনে হয় পোর্টফোলিও গুলো তাদের নিজের। আবার একজন নতুন ডিজাইনার অন্যের ডিজাইন চুরি করে এনে তার পোর্টফোলিও সাজালেও একজন দক্ষ ক্লায়েন্ট তা সহজেই বুঝে ফেলে কারন তারা বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে ঘুড়েই ফ্রিল্যান্সার দের কে  কম দামে হায়ার করতে আসে। আর একজন ক্লায়েন্ট যদি বুঝে ফেলে আপনি কপি পেস্ট করে পোর্টফোলিও তৈরি করেছেন তাহলে আপনাকে কাজ তো দিবেই না বরং আপনার আইডি তে ব্যাড রিপোর্ট দিয়ে যাবে যার ফলে আপনার আইডি টা ব্যান হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের কপি পেস্ট করার ফলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আমার সাজেশন হলো আপনি নিজে কাজ পারলে তবেই মার্কেটপ্লেস এ আসুন। আপনি ডিজাইনার হলে আপনার নিজের করা লোগো, কার্ড অথবা আপনি এ্যাপ ডেভেলপার হলে আপনার আইডিয়া দ্বারা সফটওয়্যার তৈরি করুন। আর আপনি যদি রাইটার হোন ইউনিক ভাবে লেখার চেস্টা করুন। ফ্রিল্যান্সিং পেশাটাই সৃজনশীল তাই আপনি আপনার সৃজনশীল  মেধার দ্বারা ভালো কাজ করুন এবং আপনার বেস্ট কাজ টা স্যাম্পল হিসেবে পোর্টফোলিও তে রাখুন। কোনো মতেই কপি পেস্ট করে কাজ চালিয়ে যেতে চাইবেন না, নয়তো বড় ধরনের ধরা খাবেন ভবিষ্যতে।

 

২.কনটাক্ট ইনফো শেয়ার করবেন নাঃ

আপনার যদি ফাইভারে এ্যাকাউন্ট থাকে, আর সেখানে যদি আপনি ১০০ ডলার এর কোনো কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি পাবেন ৮০ ডলার আর ফাইভার নিয়ে নিবে ২০ ডলার। তেমনি আপনি যদি আপওয়ার্ক এ ১০০ ডলার এর কাজ করে থাকেন তাহলে আপওয়ার্ক ২০ ডলার কেটে নিবে কিন্তু আপনি যদি ৫ হাজার ডলার এর উপরে কাজ করেন সেক্ষেত্রে টাকা কেটে নেওয়ার রেশিয়ো টা কমবে। মার্কেটপ্লেস গুলো ফ্রিল্যান্সার দের থেকে অনেক টাকাই চার্জ নিচ্ছে। নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ভাবে এতো টাকা ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিলান্সার, বিহ্যান্স চার্জ কাটছে,  এতো টাকা তো আমি দিবো না। কোনো মতে ক্লায়েন্ট দের কে বাইরে বের করে আনলে তো আর চার্জ দিতে হবে না। এর ফলে একজন ফ্রিল্যান্সার এর ২ টা প্রব্লেম ফেস করতে হতে পারে। প্রথমত ফাইভার এ কাজ করলে আপনার ক্লায়েন্ট কাজ শেষ হওয়ার পরে আপনাকে টাকা দিয়ে বাধ্য। টাকা না দিয়ে সে যেতে পারবেনা। অপরদিকে মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করলে আপনার ক্লায়েন্ট যে আপনাকে টাকা পেমেন্ট করবেই তার কি নিশ্চয়তা? এরকম নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে। আবার প্রি-পেমেন্ট নেওয়ার পর আপনি যদি ক্লায়েন্ট কে কাজটা ডেলিভারি না দিয়ে উধাও হয়ে যান। এই জন্য মার্কেটপ্লেসের বাইরে কেও কাওকে বিশ্বাস করতে পারে না। আর মার্কেটপ্লেসগুলো তে প্রতারণা হয় না বললেই চলে। তাই মার্কেটপ্লেসের উপর আপনার কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। মার্কেটপ্লেস গুলো অনেক টাকা খরচ করে যাতে ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। তাই এতো কিছুর পরও আপনি মার্কেটপ্লেস কে প্রোফিট দিবেন না তা তো হতে পারে না। মার্কেটপ্লেস কখনোই চায়না আপনি কন্টাক্ট ইনফো শেয়ার করে ক্লায়েন্ট কে মার্কেটপ্লেসের বাইরে নিয়ে যান। আপনি যদি কন্টাক্ট ইনফো শেয়ার করে ক্লায়েন্ট কে মার্কেটপ্লেসের বাইরে নিয়ে যান তাহলে আজ না হয় কাল আপনি ধরা খাবেন শিওর কারণ মার্কেটপ্লেস এগুলো ফিল্টার করে। কোনো ভাবে যদি বুঝে যায় আপনি কন্টাক্ট ইনফো শেয়ার করেছেন তাহলে আপনার আইডি টা ডিজেবল হয়ে যাবে এবং আপনি ফাইভার, আপওয়ার্ক অথবা অন্য কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন না। তাই আপনি কন্টাক্ট ইনফো শেয়ার করে ক্লায়েন্ট কে মার্কেটপ্লেসের বাইরে আনার চেষ্টা করবেন না। আবার অনেক সময় ফ্রিল্যান্সার রা কন্টাক্ট ইনফো শেয়ার করলে ক্লায়েন্ট সরাসরি রিপোর্ট মেরে দেয়, এতে আপনার আম ও যাবে ছালাও যাবে অর্থাৎ আপনি কাজ ও হারালেন এবং আপনার প্রোফাইলটা ও গেলো। তাই কখনোই এই ধরনের ভুল করবেন না। ফাইভারে অনেক টপ রেটেট ফ্রিল্যান্সাররা ও এই ধরনের ভুল করে বশে, ফাইভার টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে এইটা তারা সহ্য করতে পারে না। যার ফলে তারা কন্টাক্ট ইনফো শেয়ার করেছে এবং তাদের আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে। অতএব, আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আগে থেকেই সাবধান করে দিচ্ছি কন্টাক্ট ইনফো শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

 

৩.না বুঝে আগেই কাজ না নেওয়াঃ

নতুন ফ্রিল্যান্সাররা এই ভুলগুলো বেশি করে থাকে। যখনি কোনো ক্লায়েন্ট তার প্রজেক্ট এর জন্য নতুন কোনো ফ্রিল্যান্সার কে হায়ার করে তখন সে তাড়াতাড়ি কাজ টা নিয়ে নেয়। এটা ভাবে না যে সে কাজটা কম্পলিট করতে পারবে কিনা। না বুঝে তাড়াহুড়া করে কখনোই কাজ নেওয়া উচিত নয়। আপনাকে যদি কোন ক্লায়েন্ট হায়ার করে এবং আপনি যদি কোনো প্রজেক্ট এর ৯৫% করতে পারেন এবং ৫% কাজ পারেন না এবং ভাবেন যে ৯৫% কাজ করে ক্লায়েন্ট কে দিয়ে দেবো তাহলে এটি আপনার খুবই ভুল ধারণা। কারণ ক্লায়েন্ট আপনাকে যেখানে টাকা দিয়ে হায়ার করছে সেখানে আপনাকে সিম্প্যাথি দেখিয়ে সে কেনো ৯৫% কাজ নিবে? আপনি ৯৫% প্রজেক্ট টি ডান করে ক্লায়েন্ট কে দিলে সে আপনাকে ওয়ান অথবা ট্যু স্টার দিয়ে চলে যাবে। পরবর্তীতে কোনো ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল এ ঘুড়ে যদি দেখে ব্যাড রেটিং তাহলে তার ফার্স্ট ইম্প্রেশন টা-ই নষ্ট হয়ে যাবে, যার ফলে সে আপনাকে কাজ দিবে না। এর ফলে প্রতিনিয়ত আপনি অর্ডার এর লেভেল হারাতে থাকবেন, এক  পর্যায়ে আপনার আইডি টা ও ডিজেবল হয়ে যেতে পারে। তাই আপনি যদি কোনো প্রজেক্ট এর ৯৫% পারেন তাহলে আপনার উচিত হবে আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে এক্সট্রা টাইম নেওয়া এবং কোনো টপিক বুঝতে অসুবিধা হলে ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে জেনে নেওয়া। আপনি এমন প্রোজেক্ট হাতে নিন যেটা আপনি ১০০% কম্পলিট করতে পারবেন।  এবং আপনি মার্কেটপ্লেসে নতুন হলে একটা টাইম বের করুন যে টাইম টা তে আপনি কাজ শিখবেন। আপনি যদি নতুন কাজ না শেখেন তাহলে দেখবেন আপনার সব কাজ ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে। এবং হঠাৎ করে আপনি বেকার হয়ে ও যেতে পারেন। তাই নিয়মিত নতুন নতুন কাজ শিখতে থাকুন। যার ফলে আপনার স্কিল ডেভেলপ হবে ও আপনার স্যালারি ও বাড়তে থাকবে এবং মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের অভাব হবে না।

 

৪.প্রজেক্টের টাইমলাইন শেয়ার না করাঃ

মনে করুণ আপনি একজন রাইটার।  আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে আর্টিকেল লিখতে দিলো এবং আপনি ভাবলেন যে ১ দিনে ডেলিভারি দিয়ে দিবেন। কিন্তু কোন কারণ বশত আপনি টাইম শেষ হওয়ার ১ ঘন্টা অথবা আধা ঘণ্টা আগে ডেলিভারি দিলেন। লাস্ট টাইম এ ডেলিভারি দেওয়ার ফলে ক্লায়েন্ট এর মনে আপনার সম্পর্কে ব্যাড ইম্প্রেশন তৈরি হয়। যার ফলে সে ব্যাড রেটিং দিয়ে চলে যেতে পারে। তাই আপনার প্রজেক্ট এর টাইমলাইন তৈরি করে সেটা আপনার ক্লায়েন্ট কে জানাতে থাকুন। যেমন ধরুন আপনি একটি প্রজেক্ট এর ৩০% কম্পলিট করেছেন সেটা আপনার ক্লায়েন্ট কে স্ক্রিনশট অথবা লিংক শেয়ারিং এর মাধ্যমে দেখালেন। এতে তার যদি আপনার আর্টিকেল গুলো ভালো লাগে তার মনে গুড ইম্প্রেশন তৈরি হবে এবং ভালো রেটিং পেতে এটা খুবই সহায়ক। আবার কাজ করতে করতে আপনার যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয় সেটাও ক্লায়েন্ট কে জানান এবং জিজ্ঞেস করুন কাজ টা কিভাবে করলে ক্লায়েন্ট টার বেশি ভালো লাগবে। এর ফলে সে আপনার অসুবিধাগুলো তো সল্ভ করে দিবেই, পাশাপাশি সে বুঝবে আপনি কাজের প্রতি কত টা ডেডিকেটেড।

 

৫.প্রিমিয়াম প্রোডাক্টসের নকল ফাইল ক্লায়েন্ট কে দেওয়া থেকে বিরত থাকুনঃ

ধরুন আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার। আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে প্রোজেক্ট দিলো এবং আপনি সেটা ফ্রি ফ্রন্ট, প্রক্সিমা নোভা দিয়ে করে দিলেন। আপনি ফ্রন্ট টা তো কেনেন নি, জাস্ট গুগলে সার্চ দিয়ে ক্র‍্যাক ভার্সন টা ডাউনলোড করে ব্যবহার করলেন। ক্লায়েন্ট কিন্তু কখনো জিজ্ঞেস ও করবেনা আপনি প্রিমিয়াম ফ্রন্ট নাকি ফ্রি ফ্রন্ট ব্যাবহার করেছেন। এতে যে বিরাট ক্ষতি টা হতে পারে তা হলো ক্লায়েন্ট কখনো কপিরাইট ইস্যু তে পড়লে আপনি বিপদে পরে যাবেন। তাই কখনো যদি কোনো প্রিমিয়াম ফ্রন্ট অথবা অন্য কোনো প্রিমিয়াম থিংকস এর দরকার হয় সেটা অবশ্যই ক্লায়েন্ট কে জানাবেন। তাকে বলবেন প্রিমিয়াম টি কিনতে টাকা লাগবে হয় সে আপনাকে প্রিমিয়াম টি দিবে অথবা সে আপনাকে প্রিমিয়াম টি কেনার জন্য টাকা পেমেন্ট করবে। মূল কথা আপনার কোনো প্রিমিয়াম ফ্রন্ট লাগলে সেটা ক্লায়েন্ট কে ইনফর্ম করুন, কিন্তু কখনোই প্রিমিয়াম প্রোডাক্টসের নকল ফাইল ক্লায়েন্ট কে দিবেন না।

 

সঠিক আইডেন্টিটি শেয়ার করুনঃ

আপনার উচিত হবে সব সময় নিজের সঠিক আইডেন্টিটি টা শেয়ার করা। যেমনঃ আপনি আপনার প্রোফাইল পিকচার এ আপনার নিজের একটা ফরমাল পিক দিবেন কোনো এ্যাভাটার, ফুল-পাখির ছবি, লোগো ইত্যাদি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনার এ্যাবাউটে ও আপনার সম্পর্কে সঠিক তথ্য টি দিবেন, কপি পেস্ট করে দিবেন না অর্থাৎ আপনার প্রোফাইল এ যে ইনফোগুলো শেয়ার করতে হবে সব ইনফো-ই সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করবেন। এতে আপনার সুবিধা হলো আপনি ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে বেটার ট্রাস্ট অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং আপনার টাকা তুলতে সুবিধা হবে। তাই অবশ্যই আপনি আপনার আইডি তে পারসোনাল যে ইনফো গুলো শেয়ার  করতে হয় তা সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। দিন শেষে উপকার টা আপনার-ই হবে।

আপনি ইন্টার ইমিডিয়েট ছাত্র/ছাত্রী অথবা অনার্স-মাস্টার্স কম্প্লিট করা ব্যক্তি যে-ই হোন না কেনো, ফ্রিল্যান্সিং যদি আপনার প্যাশন হয়ে থাকে তাহলে প্যাশন টা কে  পেশা তে কনভার্ট করে ফেলুন। এখানে পার্ট-টাইম কাজ করলাম, চলে গেলাম এমনটা হয় না। এতে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি আপনার আইডেন্টিটি গড়তে পারবেন না। আপনি চাইলে এখানে সারা জীবন কাজ করতে পারবেন এবং ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই শর্ট কাট ওয়েতে বড় ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখা বাদ দিন। কথায় আছে সফল হওয়ার কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা একটা রেস এর মত, এখানে আস্তে আস্তে কাজ করতে করতে আপনার স্কিল ডেভেলপ হবে। প্রতিদিন নতুন নতুন কাজ শিখতে থাকবেন আর এভাবেই দিনে দিনে আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন। পরিশ্রম করুন, সফলতা ধরা দিবেই!

Facebook Comments
Top