বর্তমান সময়ের অন্যতন জনপ্রিয় পেশা ফ্রিল্যান্সিং। নিজের সৃজনশীলতাকে পুঁজি করে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেটপ্লেসে সাফল্যের সাথে কাজ করছে অনেক বাংলাদেশী তরুণ। তবে ছোট – বড় অসংখ্য মার্কেটপ্লেসের ভিড়ে অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার আবার খেই হারাচ্ছে কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করবে, কোন মার্কেটপ্লেসটি তাঁর জন্য ভাল হবে, এই ভেবে।
ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেটপ্লেস কী?
মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো মূলত বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী একটি মাধ্যম বা ওয়েবসাইট হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বায়াররা তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি করানোর জন্য ঐ কাজটিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খোঁজ করে থাকেন।
অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য কোনো একজন বায়ার জব পোষ্ট করে থাকেন। উক্ত কাজটি করতে আগ্রহী বিশ্বের নানা অঞ্চলের অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সারের মধ্য থেকে তাঁর কাজটি সম্পন্ন করার জন্য যোগ্য ফ্রিল্যান্সার কে খুঁজে নিয়ে তাকে দিয়ে কাজটি করিয়ে থাকেন। আবার অনেকক্ষেত্রে জব পোষ্ট ব্যতীত বায়াররা ও ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইলের তথ্য ঘেটে কিংবা আরো অন্যান্য প্রক্রিয়ায় তাঁদের কাজটির জন্য যোগ্য ফ্রিল্যান্সারটিকে খুঁজে বের করেন।
কোনো একটি নির্ধারিত কাজ কোনো একজন ফ্রিল্যান্সার করার মাধ্যমে ঐ কাজের জন্য বায়ারের নিকট থেকে পূর্বনির্ধারিত অর্থ পেয়ে থাকে। মোটকথা, একজন ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে বায়ার তাঁর প্রয়োজনীয় কাজ নির্ধারিত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করিয়ে নেওয়ার মাধ্যমই হলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেটপ্লেস। প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসের কাজের ধরন, পেমেন্ট মেথড এ কিছু ভিন্নতা থাকে।
বিভিন্ন দেশের অনেক ছোট – বড় ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে যেখান থেকে ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের দক্ষতা অনুযায়ী নানান কাজ পেয়ে থাকে। তবে নানান ফ্রিল্যান্সিং সাইটের ভিড়ে অনেকসময়ই নতুন ফ্রিল্যান্সাররা বুঝে উঠতে পারেনা কোনটিতে কাজ শুরু করবে। তবে নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী পছন্দসই ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেটপ্লেস টি খুঁজে নিজের প্রোফাইল তৈরী করে ধৈর্য সহকারে লেগে থাকলেই কিন্তু কাজ পাওয়া সম্ভবপর।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক, নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ৫ টি ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কেঃ
Table of Contents
আপওয়ার্ক (Upwork)
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে আপওয়ার্ক (Upwork). আর মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর আইডিয়া নিয়ে ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম কোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে বিশ্বে হাজির হয় ওডেক্স; যা আপওয়ার্ক এর পূর্বসূরী। অর্থাৎ ২০১৫ সালে ওডেক্স এর সাথে ইল্যান্স যুক্ত হয়ে নতুন নামে তথা আপওয়ার্ক হিসেবে বাজারে আসে।
সেবার মান উচ্চ হওয়ায় ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ারদের জন্য নির্ভরতার অন্যতম মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক। মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠানও এই সাইটটির ফ্রিল্যান্সার দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে থাকেন। আপওয়ার্ক এ কাজের পরিমাণ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় তুলনামূলক বেশি হওয়ায় আপনার দক্ষতা থাকলে এখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার থেকে শুরু করে কাস্টমার সার্ভিস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে এখানে কাজ করার সুযোগ।
আপওয়ার্ক এ একজন ফ্রিল্যান্সার মূলত দুই ধরনের কাজ পেয়ে থাকেন। যথাঃ ঘন্টা ভিত্তিক এবং মূল্য ভিত্তিক। অর্থাৎ আপনি যদি কোনো কাজ ঘন্টাভিত্তিক করেন তাহলে আপনার প্রতি ঘন্টা নির্দিষ্ট রেট অনুযায়ী কোনো একটি কাজের জন্য ঐ ক্লায়েন্ট টাকা পরিশোধ করে থাকবেন। আর আপনি যদি কোনো কাজ মূল্য ভিত্তিক করেন তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোনো একটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী ক্লায়েন্ট অর্থ পরিশোধ করবেন।
তবে এক্ষেত্রে কোনো একটি জব বিড এর জন্য আপওয়ার্ক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়ে থাকে। এছাড়াও ক্লায়েন্ট কতৃক ফ্রিল্যান্সারদের প্রদত্ত পেমেন্ট থেকে ক্ষেত্রে বিশেষ ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ নিয়ে থাকে। তবে অন্যান্য সাইটগুলোর তুলনায় তুলনামূলক বেশি অর্থ নেয় না আপওয়ার্ক। আর ক্লায়েন্ট কতৃক এই প্রাপ্ত অর্থ আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল, পেওনিয়ার, ডিরেক্ট ডিপোজিট ইত্যাদির মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন।
ফাইভার (Fiverr)
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ফাইভার ছোট – বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বায়ারদের নিকট এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফ্রিল্যান্সারদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট। কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটি, ডিজাইন থেকে শুরু করে অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো প্রায় সব ক্ষেত্রই ফাইভারে রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ছোট ছোট কাজের সুবিধা রয়েছে ফাইভারে।
বিভিন্ন সেবা বেশি মূল্য থেকে একদম কম মূল্যে থাকার সুবিধার্থে বায়ারদের অন্যতম পছন্দের একটি মার্কেটপ্লেস ফাইভার। শুধু বায়ার কেন বরং নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ও কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ফাইভার অত্যন্ত জনপ্রিয়। এর কারণ অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো যেকোনো কাজে বিড করার জন্য ফাইভার কে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। তাই একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের কাছে এটি খুবই দারুণ এবং সুবিধাজনক একটি ব্যাপার।
ফাইভ ডলারে ফ্রিল্যান্সার পাওয়া যাবে এই ধারণা থেকেই ফাইভারের উৎপত্তি হয়েছিল। এবং এখনো ফাইভারে হাজার হাজার ডলার ব্যয়ে যেমনি কোনো কাজ করাতে পারে। ঠিক তেমনি পাঁচ ডলার পরিমাণ অর্থ দিয়েও কাজ করাতে পারে। এজন্যই মাত্র পাঁচ ডলারে ফ্রিল্যান্সার পাওয়া যায় বলে অধিকাংশ ক্লায়েন্টেই তুলনামূলক সস্তায় কোনো কাজ করাতে চাইলে ফাইভারকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের এখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ফাইভারে একজন ফ্রিল্যান্সার মূলত ফিক্সড প্রাইস প্রজেক্ট তথা মূল্য ভিত্তিক কাজ করে থাকেন। ফাইভারে সকল কাজই এই মূল্য ভিত্তিক অর্থাৎ কোনো একটি কাজের জন্য ক্লায়েন্ট চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ একজন ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে থাকেন। এখানে ঘন্টা ভিত্তিক কিংবা প্রতিযোগিতা ভিত্তিক কোনো কাজ পাওয়া যায় না। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও আপনি পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতিতে উত্তোলন করতে পারবেন।
অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মতো ফাইভারেও একজন ফ্রিল্যান্সার যে কোনো কাজের জন্য বিড করতে পারে। অতঃপর মূল্য সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় ক্লায়েন্ট কাজটি তার পছন্দসই কোনো এক ফ্রিল্যান্সার কে দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বায়াররা সরাসরি ফ্রিল্যান্সার সার্চ করেও বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। সর্বোপরি বিডিং চার্জ না থাকায় একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের কাছে তুলনামূলক সুবিধাজনক একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে ফাইভার।
ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.Com)
সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডট কম। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানটি বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়ের কাছেই বেশ গ্রহণযোগ্য এবং নির্ভরতাপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০ লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার ফিল্যান্স ডট কম এ কাজ করে থাকেন। এত বেশি সংখ্যক ফ্রিল্যান্সারের বিপরীতে জবের সংখ্যাও তুলনামূলক কম নয়। আপনার নিজ কাজে দক্ষতা এবং একটু ধৈর্যশীল হলে এই মার্কেটপ্লেসটি থেকে পেতে পারেন অপ্রতুল কাজ। অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মতো এখানেও সফটওয়ার, মোবাইল ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন থেকে শুরু করে কপিরাইটিং সহ রয়েছে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ। আর নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ডট কম এ কাজ করা তুলনামূলক সুবিধাজনক।
ফ্রিল্যান্সার ডট কম এ একজন ফ্রিল্যান্সার মূলত তিন ধরনের কাজ পেয়ে থাকেন। যথাঃ ঘন্টা ভিত্তিক, মূল্য ভিত্তিক, প্রতিযোগিতা ভিত্তিক। ঘন্টা ভিত্তিক এবং মূল্য ভিত্তিক কাজগুলো মূলত আপওয়ার্কের মতো প্রক্রিয়াতেই হয়ে থাকে। তবে প্রতিযোগিতা ভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে কোনো একটি প্রজেক্ট একজন ক্লায়েন্ট ঘোষণা করে থাকেন। এবং সেই প্রজেক্টের বিপরীতে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজস্বতা দিয়ে প্রজেক্ট টি সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জমা দেয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের জমাকৃত প্রজেক্টের মধ্যে থেকে ঐ ক্লায়েন্ট একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এবং বিজয়ী ফ্রিল্যান্সারকে পূর্ব নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করে থাকে।
অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো ফ্রিল্যান্সার ডট কম এও একজন ফ্রিল্যান্সার কে কোনো একটি কাজের জন্য বিডিং করতে হয়। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার সপ্তাহে সর্বোচ্চ দশটি কাজের জন্য বিড করতে পারে। তবে যারা প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ গ্রহণ করে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো যত ইচ্ছা তত কাজের জন্য বিড করতে পারে। আর এই ফ্রিল্যান্সার ডট কম থেকে আপনার অর্জিত অর্থও আপনি পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার সিস্টেম এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)
ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ারদের চাহিদায় অন্যতম জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হলো পিপল পার হাওয়ার। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে লন্ডন – যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এই মার্কেটপ্লেসটি। প্রচলিত অন্যসব মার্কেটপ্লেসের মতো পিপল পার হাওয়ার এও ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে বিজনেস সাপোর্ট সব ধরনের কাজই পাওয়া যায়।
পিপল পার হাওয়ার মার্কেটপ্লেসে একজন ফ্রিল্যান্সার ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে নির্ধারিত মূল্যে কাজ করতে পারেন। অথবা কোনো একটি প্রজেক্টের জন্য নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়েও কাজ করতে পারেন। তবে ঘন্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতো টাইম ট্রাকের মাধ্যমে এখানে সময় পরিমাপের প্রয়োজন নেই। এখানে আপনি আপনার নির্ধারিত কাজটি শেষ করার পর ক্লায়েন্টের নিকট আপনার কাজটি সম্পন্ন করার সময়ের পরিমাণ আপনি লিখে দিতে পারেন।
পিপল পার হাওয়ার মার্কেটপ্লেসটিতে আপনি কোনো একটি কাজ বিড করে যেমন পেতে পারেন। ঠিক তেমনি আপনি সার্ভিস সেল করেও কাজ পেতে পারেন। সার্ভিস সেল হচ্ছে আপনার দক্ষতার ক্ষেত্রটির উপর আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রকাশপূর্বক তা পোষ্ট করা। এই পোষ্টের মধ্যে কোনো একটি কাজের জন্য আপনার কাঙ্ক্ষিত মূল্যটিও নির্ধারণ করে দিতে হবে।অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো এখান থেকে অর্জিত অর্থ ও আপনি পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের তুলনায় এখানে কাজের রেট অনেক বেশি। কাজের রেট অনেক বেশি হওয়ায় এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটটিতে টিকে থাকতে হলে আপনার দক্ষতার ও বেশি প্রয়োজন। তাই আপনার যদি পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকে তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে এই মার্কেটপ্লেসটিতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
গুরু ডট কম (Guru.Com)
পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গে ১৯৯৮ সালে মুনলাইটার.কম নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ফ্রিল্যান্সিং সাইটটি বর্তমানে গুরু ডট কম নামে পরিচিত। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো এখানেও প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আর্কিটেকচার, সেলস এন্ড মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, রাইটিং সব ক্ষেত্রই রয়েছে। তবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও বিষয়ক কাজ এ সাইটে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
গুরু ডট কম এ মূলত আপওয়ার্কের মত ঘন্টাভিত্তিক এবং মূল্য ভিত্তিক এই দু ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আর গুরু ডটকম এ কোনো একটি কাজ ক্লায়েন্ট থেকে দলভিত্তিক কিংবা একজন হিসেবেও নিতে পারেন। মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা বড় প্রজেক্ট গুলোতে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে দলবদ্ধ হয়ে একইসাথে কাজ করতে পারবেন।
গুরু ডট কম থেকে আপনার উপার্জিত অর্থ পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্র্যান্সফার সহ eCheck এর মাধ্যমেও নিতে পারেন। এছাড়া ও রয়েছে সেফ পে পদ্ধতি। আপনার সম্পন্ন করা কোনো বড় প্রজেক্টের বায়ার কতৃক প্রাপ্ত আপনার পারিশ্রমিকের ২ শতাংশ ‘লয়্যালটি ক্যাশ’ হিসেবে জমা থাকে সেফ পে পদ্ধতির মাধ্যমে। এই জমাকৃত অর্থ পরবর্তীতে আপনি আপনার যে কোনো প্রয়োজনীয় কাজে লাগাতে পারবেন।
বর্ণিত এই পাঁচটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট ব্যতীত আরো অসংখ্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে। এছাড়াও বিল্যান্সার, স্বাধীন কাজ সহ আরো অনেক দেশীয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট ও রয়েছে। এই সাইটগুলো থেকে আপনার পছন্দসই যেকোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রোফাইল তৈরী করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। পরিশেষে আপনার দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার মিশেলে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে সফলভাবে কাজ করুন।