You are here
Home > অনলাইন ইনকাম > শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস কি? জেনে নিন

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস কি? জেনে নিন

ইন্টারনেট থেকে আয় করার উপায়

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস কি, ছাত্র জীবনে শিক্ষার্থীদের ইনস্ট্যান্ট টাকা ইনকামের মাধ্যম কি কি অথবা ছাত্রজীবনে ইনকামের সবচেয়ে সেরা মাধ্যম কি কি– এই ধরনের প্রশ্ন মূলত তারাই করে থাকে, যাদের ছাত্রজীবনে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে ইনকাম করার প্রয়োজন পরে। 

আবার আর্থিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা বেশিরভাগই ইনকামের সোর্স খুঁজে বেড়ায়। সত্যি বলতে– ছাত্র জীবন অনেক মজার এবং অত্যন্ত শিক্ষনীয় সময়। আর তাই বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সব সময় তাদের এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চায়। ঠিক এ কারণেই চাকরি হিসেবে বেছে নিতে চায় এমন একটি পেশা, যেটা তার অর্থ উপার্জনে সাহায্য করবে, জ্ঞানের পরিসীমাকে বাড়াবে এবং পড়াশোনাতে খুব বেশি খারাপ প্রভাব ফেলবে না। 

এমনই কিছু মাধ্যম বা উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব আমরা আমাদের আজকের এই নিবন্ধনটিতে। তো, আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস কি–  এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন এবং শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কেননা শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস কি এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে আজকের নিবন্ধনটিতে।

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস কি?

শিক্ষার্থীদের আয়ের অন্যতম দুইটি প্রধান উৎস হচ্ছে–

  • টিউশনি এবং
  • ফ্রিল্যান্সিং

তবে এর বাইরেও আরো বেশ কয়েকটি সোর্স রয়েছে ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে হিসেবে। সেগুলো হলো–

  • পার্ট টাইম চাকরি
  • ছোটখাটো ব্যবসা
  • উদ্যোক্তা
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সহ প্রভৃতি।

আমরা মূলত আলোচনার এ পর্যায়ে– শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে সবচেয়ে সেরা কয়েকটি বিষয় একটু বিস্তারিত আলোচনা করব। আর এই আলোচনার মাধ্যমে খুব সহজেই এটা নির্বাচন করতে পারবেন– ছাত্র জীবনে মূলত কোন কাজটি করা সবচেয়ে বেশি ভালো হবে এবং আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে কার্যকরী হবে। 

শিক্ষার্থীদের আয়ের উপায়সমূহ

দেখুন এটা আমরা সবাই জানি– ছাত্র জীবন হচ্ছে নিজেকে তৈরি করার মোক্ষম সময়। আর তাই এই সময়ে যে যত বেশি পড়াশোনা করবে, যত বেশি নিজের স্কিল ডেভেলপ করবে, তত বেশি এগিয়ে যাবে। মূলত এ কারণে শিক্ষার্থীদের আয়ের উপায় সমূহ সম্পর্কে জানাটা জরুরি এবং অল্পস্বল্প হলেও ইনকাম করা প্রয়োজন।

কেননা ছাত্র জীবন থেকে যদি কেউ অর্থ উপার্জন করা শিখতে পারে তাহলে খুব সহজেই ওই শিক্ষার্থী এটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবে– টাকা ইনকাম করা কতটা কষ্টের। সেই সাথে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে শিখবে। পাশাপাশি ছাত্র জীবনে ইনকামের রয়েছে আরও বেশ কিছু সুবিধা বা উপকারিতা। আবার কিছু অপকারিতাও রয়েছে বটে। যেগুলো আমরা আলোচনার শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করব। তবে এখন জেনে নিন– আমাদের উল্লেখিত ইনকাম সোর্স গুলো মূলত শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে কেন সর্বোত্তম!

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস টিউশনি

ছাত্র জীবনে সবচেয়ে সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় ইনকাম মাধ্যম টিউশনি। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে– বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্নাতক শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জনের মূল উৎস হচ্ছে তাদের থেকে নিচু ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কে পড়ানো অর্থাৎ টিউশনি। 

আর যদি এই সংখ্যাটাকে পার্সেন্টেজ এ রূপান্তরিত করতে চান, তাহলে দেখা যাবে যে প্রায় ৮০ শতাংশ স্টুডেন্ট টিউশনি করিয়ে তাদের হাত খরচ চালায়, এমনকি অনেকে পড়াশোনার পুরো খরচ চালিয়েও ফ্যামিলিকে সাহায্য করে। 

কেননা যারা ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে এবং পড়াশোনায় খুব বেশি ভালো তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই বাবা-মা তাদের সন্তানদেরকে টিউশনি করানোর জন্য দিয়ে থাকেন। গ্রাম অঞ্চলের কথা যদি ভাবেন তাহলে এক্ষেত্রে টিউশনি করিয়ে যে টাকা ইনকাম করা যাবে সেটা খুবই সীমিত। তবে আপনি যদি শহরাঞ্চলে অবস্থান করেন সেক্ষেত্রে বিষয়টা পুরোই উল্টো। 

কারণ শহরাঞ্চলে শুধুমাত্র ক্লাস ১ থেকে ৫ পর্যন্ত পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের জন্য মাসে টিউশনি পারিশ্রমিক হিসেবে প্রদান করা হয় সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে শুরু করে দুই আড়াই হাজার টাকা। আর যদি হাইস্কুলে পড়ুয়ারত স্টুডেন্টকে পড়ান তাহলে সেক্ষেত্রে মাসিক বেতন হিসেবে সর্বনিম্ন পাবেন আড়াইহাজার টাকা। 

আমরা মূলত সর্বনিম্ন রেট এখানে উল্লেখ করেছি। তবে এমন অনেক শিক্ষার্থীরা রয়েছেন যারা ছাত্র জীবনে আয়ের উৎস হিসেবে টিউশনিকে বেছে নিয়ে শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থীকেও 5000 এমনকি 10000 টাকা দিয়েও পড়িয়ে থাকে। তবে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে আপনার পরিচিতি, আপনি কেমন স্টুডেন্ট এবং আপনি কেমন পড়াতে পারেন বা বোঝাতে পারেন এই প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। 

মূলত সবদিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে অন্যতম ইনকাম সোর্স হয়ে অবস্থান করছে টিউশনি। আর হ্যাঁ, এখন মূলত টিউশনি পেশা শুধুমাত্র যে অফলাইনে চলমান রয়েছে এমনটা নয়। অতএব আমরা বোঝাতে চাচ্ছি আপনি যে শুধুমাত্র স্টুডেন্ট দের বাসায় গিয়ে বা তার সামনে উপস্থিত থেকে তাদেরকে টিউশনি করাতে পারবেন এমনটা নয়। 

কেননা বর্তমানে অনলাইন টিউশনি চালু হয়েছে। আর তাই আপনি যদি অনলাইনে একজন টিউটর হিসেবে নিজের পোর্টফলিও দাঁড় করাতে পারেন এবং নিজের একটা পরিচিতি থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। সত্যি বলতে আপনি লাখপতিও হয়ে যেতে পারেন শুধুমাত্র টিউশনি করিয়ে। 

তবে অবশ্যই যেহেতু আপনি নিজেও একজন শিক্ষার্থী, তাই টিউশনির সংখ্যা নির্বাচন করতে হবে অবশ্যই নিজের পারিপার্শ্বিকতা এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে, যাতে করে সেটা পরীক্ষা বা আপনার ছাত্রজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে না পারে। এবার আসুন শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে আর যে সকল মাধ্যম খোলা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক খুঁটিনাটি।

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস ফ্রিল্যান্সিং

সত্যি বলতে বর্তমান সময়টা এমন অবস্থানে পৌঁছেছে যে– এখন প্রত্যেকেই চায় অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে। আর তাই শিক্ষার্থী হোক বা কোন পেশাদার মানুষ প্রত্যেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলায় আগ্রহী। মূলত শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ও একটি অন্যতম মাধ্যম বা ইনকাম সোর্স।

কেননা অনলাইন প্লাটফর্মে এমন বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো শুধুমাত্র অবসর সময়ে করে ফেলা সম্ভব। এর জন্য প্রথমত ফ্রিল্যান্সিং কি, ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে, ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো কি অর্থাৎ একজন ফ্রিল্যান্সারকে সাধারণত কি কি কাজ করতে হতে পারে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। এই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে খুঁটিনাটি। 

আর আপনি যদি এই সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়তে চান তাহলে এখনই আমাদের ফ্রিল্যান্সার থেরাপি ওয়েবসাইটের বাকি পোস্টগুলো অনুসরণ করতে পারেন। কেননা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে ঘরে বসে স্মার্ট ইনকামের হাতে খড়ি হিসেবে যা যা জানা প্রয়োজন তার সবটাই বেশ কিছু আর্টিকেল আকারে প্রকাশ করেছি। 

এ পর্যায়ে আপনাদের সুবিধার্থে হাতেগোনা কয়েকটি আর্টিকেল লিংক শেয়ার করছি। আপনি মূলত এই লিংকগুলোতে ক্লিক করে সরাসরি ভিজিট করার মাধ্যমে জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি। তাই আমাদের সাজেস্টকৃত আর্টিকেলগুলো এখনই পড়ুন এবং এটা নির্বাচন করুন যে শিক্ষার্থী হয়ে আপনি মূলত অনলাইনের কোন কাজটি করলে লাভবান হবেন, আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে ক্যারিয়ার জীবনেও কাজে আসবে এবং আপনার পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না! 

আর্টিকেল লিংকগুলো হলো –

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস অফলাইন চাকরি

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে মূলত অফলাইনে বেশ কিছু চাকরি রয়েছে। যেমন ধরুন সেটা হতে পারে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বা এজেন্ট, প্রোডাক্ট রিভিউয়ার, প্রোডাক্ট সাপ্লাই, খন্ডকালীন অফলাইন চাকরি, ভলেন্টিয়ার সহ প্রভৃতি।

আপনি যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে মাঝেমধ্যেই দেখতে পাবেন যে বিভিন্ন কোম্পানি যারা নতুন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তাদের প্রোডাক্ট এর পরিচিতি তৈরির জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা মাঝে মধ্যেই অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়ে থাকে। যারা তাদের ওই প্রোডাক্ট এর প্রচারণায় কিছু বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে এবং কমিশন হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।

মূলত আপনি যদি এ বিষয়ে পারদর্শী হন এবং তাদের জন্য পারফেক্ট হয়ে উঠতে পারেন তাহলে এ ধরনের প্রজেক্টে কাজ করার মাধ্যমে অফলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এমনকি এটা অনলাইনে টাকা ইনকামের সাথেও সম্পর্কযুক্ত। কেননা বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটি বিজনেস অফলাইন এবং অনলাইন উভয়ের উপর নির্ভর করেই খুব দ্রুত এগিয়ে চলে। আর তাই প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য পরিচিতির জন্য অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেওয়া হয় যারা তাদের নির্ধারণকৃত পণ্যটি অডিয়েন্সদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার কার্য সম্পাদন করে।

একইভাবে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন বড় বড় অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন সেমিনারে মূলত ভলেন্টিয়ারের প্রয়োজন পরে। তাই শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি চাইলে মাঝে মধ্যে এ সকল অনুষ্ঠানে ভলেন্টিয়ার হিসেবে যোগদান করে সামান্য হলেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ধরনের কাজে সাধারণত দিনভিত্তিক পেমেন্ট করা হয়। যেটা আপনাকে দ্রুত টাকা ইনকামে সাহায্য করবে আপনার অভিজ্ঞতাকে বাড়াবে এবং আপনার প্রফেশনালিজমও বৃদ্ধি পাবে। 

মূলত আমাদের উল্লেখিত কাজ বা ইনকাম সোর্স গুলো ছাড়াও অফলাইনে এমন অনেক কাজ হারামের সেই আপনাদের চোখে পরবে। আর তাই শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে আপনি নিঃসন্দেহে এগুলোকে বেছে নিতে পারেন। এবার আসুন শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে ছোটখাটো ব্যবসা গুলো কতটা সহযোগী সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস ছোটখাটো ব্যবসা

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে ছোটখাটো ব্যবসা দারুন একটি ইনকাম মাধ্যম। মনে করুন আপনার সামান্য পরিমাণ টাকা রয়েছে, যেটা আপনি টিফিন খরচ বা ঈদ বোনাস অথবা অন্য কোন ভাবে জমাতে পেরেছেন। আর ভাবছেন ওই টাকাগুলো বাজে কাজে বা একদমই শেষ না করে ফেলে কোন কাজে লাগাতে চান যেটা ভবিষ্যতে আপনার জন্য প্রফিট হিসেবে ফিরে আসবে। 

এর জন্য ওই সকল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করাটা দারুন একটি মাধ্যম। ব্যবসা মূলত যে কোন একটা হতে পারে এটা মূলত সম্পূর্ণই আপনার ভালো লাগার উপর নির্ভর করবে। যদি আপনার গাছ লাগাতে ভালো লাগে চারা উৎপাদন করতে ভালো লাগে তাই আপনি চাইলে চারা বিক্রির বিজনেস শুরু করতে পারেন এমনকি ফুল বিক্রিরও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

আবার আপনি যদি রান্নায় পারদর্শী হয়ে থাকেন খুব ভালো রান্না করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ছোটখাটো একটি স্টল বা হোটেল দিতে পারেন। শুরুর দিকে যদি হোটেল দিতে চান সেক্ষেত্রে টাকার পরিমাণটা অনেকটা বেশি লাগবে এর জন্য ছোটখাটো ভ্যান গাড়িতে বা নির্দিষ্ট একটা স্থানে বসে আপনি খাবার গুলো বিক্রি করে ধীরে ধীরে জমানোর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে বড় করতে পারবেন। 

একদিকে যেমন আপনি পড়াশোনা কে কন্টিনিউ রাখতে পারবেন ঠিক একইভাবে পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবেন, যদি পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারবেন এমনকি ভবিষ্যতেও আপনার এই ছোট্ট ব্যবসা বড় আকার ধারণ করতে পারে যেটা আপনার ক্যারিয়ারের একটি অন্যরকম মোর দেবে। আর তাই শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে অন্যতম সেরা উৎস হিসেবে নির্বাচন করা যায় এটিকে।

শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস উদ্যোক্তা হওয়া

উদ্যোক্তা শব্দটির সাথে এখন সবাই পরিচিত। উদ্যোক্ত মূলত তাদেরকে বলা হয় যারা নতুন কোন উদ্যোগ নিয়ে একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনার সাহায্যে পর্যক্রমে এগিয়ে চলে এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়। দেখুন সফল হওয়া না হওয়া সেটা যেমন ভাগ্যের ব্যাপার ঠিক একই ভাবে সঠিক পরিশ্রম করলে অবশ্যই যে কোন কাজে সফলতা আসে।

তাই শিক্ষাজীবন থেকে যদি আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি কোন ভালো লাগার বিষয়কে কেন্দ্র করে উদ্যোগ নেন এবং সেটাকে ব্যবসায় পরিণত করতে চান বা অন্য কোন পরিকল্পনা থাকে সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়া বেশ কার্যকরী একটি মাধ্যম বলে আমরা মনে করছি। 

শুধু বলতে এখন কারো কাজের শিল্পকর্ম হারিয়ে যাচ্ছে বলেই চলে। কিন্তু এখনো এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা খুব সুন্দর কারো কার্য করতে পারে। অনেক ভালো নকশি কাঁথা সেলাই করতে পারে এমনকি আরও অনেক প্রতিভা রয়েছে। তাই যে কেউ চাইলে যেকোনো একটি ভালো লাগার বিষয়কে কেন্দ্র করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। 

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আয়ের ব্যতিক্রম উৎস বা ইনকাম সোর্স হিসেবে আরো কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে। তবে আশা করছি আমরা আলোচনার ইতিমধ্যে যে কয়েকটি মাধ্যম তুলে ধরেছি এর মাধ্যমগুলোয় সবার প্রথমে নির্বাচন করবে যে কোন শিক্ষার্থী। তবে হ্যাঁ আরেকটি কথা, কোন কাজই ছোট নয়। 

আর তাই শিক্ষা জীবনে অথবা ক্যারিয়ার জীবনে আপনি যে কাজটাই করেন না কেন, সেটা সমান সম্মানজনক। তাই যে কাজটা করবেন সেটা মনোযোগের সাথে করার চেষ্টা করবেন এবং সবচেয়ে ভালোভাবে এবং নিজের সবটা দিয়ে করার জন্য পরিশ্রম করবেন। কেননা তবে সফলতা আসবে। 

শিক্ষার্থীদের আয়ের ব্যতিক্রম উৎস বা ইনকাম সোর্স

শিক্ষার্থীদের আয়ের ব্যতিক্রম উৎস হচ্ছে– কৃষি কাজ করা, বড় কোন নার্সারি অথবা বড় কোন বাসা বাড়িতে মালির কাজে নিয়োজিত হওয়া, খামার বাড়িতে কাজ করা, পুরাতন বই বিক্রি করা ইত্যাদি ইত্যাদি। এ পাশাপাশি আরও একটি দারুন ইনকাম সোর্স রয়েছে যেটা অনেকটাই ব্যতিক্রম ধর্মী। সেটা হচ্ছে নিজের তৈরি কোর্স বিক্রি করা।

আপনি যদি অনেক ভালো শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং আপনার শিক্ষাজীবনে ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই অন্যদের থেকে ভিন্ন রকম ভাবে আপনি, ভালো পড়াশোনার জন্য কি কি করা জরুরী এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারবেন। এছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনি চাইলেই নোট তৈরি করতে পারেন বা একটা কোর্স বানাতে পারেন। 

আর বর্তমানে অনলাইন কোর্সের কদর সম্পর্কে তো প্রায় সবাই জানে। আপনি যদি ভালো কিছু আপনার কোর্সে বা আপনার নোটে রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা সেল করার মাধ্যমে ছাত্র জীবনে ইনকাম করতে পারবেন বেশ মোটা অ্যামাউন্ট এর টাকা। তাহলে আর দেরি কেন আজই পরিকল্পনা করুন এবং এগিয়ে চলুন ইনকামের উদ্দেশ্যে। 

ছাত্রজীবনে টিউশনির বিকল্প

সচরাচর অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন ছাত্র জীবনে টিউশনির বিকল্প কি? এ প্রশ্নের উত্তর মূলত আপনারা চাইলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি থেকে নিজেই সংগ্রহ করতে পারেন। কেননা ইতিমধ্যে আমরা সাজু জীবনে আয়ের উৎস হিসেবে বেশ কয়েকটি মাধ্যমকে সাজেস্ট করেছি। তাই ছাত্র জীবনের টিউশনির বিকল্প হিসেবে আপনি এ কাজগুলো করতে পারেন। 

আয়ের উৎস সম্পর্কিত সাধারণ কিছু টিপস

তো পাঠক বন্ধুরা, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস কি এ সম্পর্কে বেশ ভালই আলোচনা করা হলো। কিন্তু মনে রাখবেন আপনি যদি ছাত্র জীবনে ইনকামের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েন তাহলে কিন্তু লেখাপড়ার বারোটা বাজবে। আর তাই অবশ্যই একটি নিয়মের মধ্যে চলার চেষ্টা করবেন। সবসময় নজর রাখবেন–

  • ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন যেন আপনার পড়াশোনায় খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে না পারে
  • আপনি যেন অধিক বেশি টাকা ইনকামের দিকে ঝুঁকে না পড়েন
  • সব সময় নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে চলতে পারেন এবং টাইম ভালোভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন। 

কারণ আপনি যদি টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ছাত্র জীবনে অন্যান্য কাজ যেমন ভালোভাবে করতে পারবেন ঠিক একই ভাবে সমান তালে লেখাপড়া টা কেও চালিয়ে যেতে পারবেন অনেক ভালোভাবে। 

তো আজকের আলোচনা এ পর্যন্তই, পরবর্তীতে আবারো নতুন টপিকের নতুন কোন আলোচনায় দেখা হবে কথা হবে। এতক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। 

Facebook Comments

Leave a Reply

Top