You are here
Home > জরুরী টিপস > সিম হ্যাক হলে বোঝার উপায় | সহজ উপায় জানুন

সিম হ্যাক হলে বোঝার উপায় | সহজ উপায় জানুন

সিম হ্যাক হলে বোঝার উপায় হিসেবে বেশ কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরী। আর তাই সেই প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা– সিম হ্যাক হলে বোঝার উপায় কি যদি এ সম্পর্কে এ টু জেড জানতে চান তাহলে পড়তে থাকুন আমাদের আজকের এই আর্টিকেল এবং জেনে নিন–  সিম হ্যাক হলে করণীয় এবং এই বিষয়বস্তু সম্পর্কে আরো খুঁটিনাটি। 

সিম হ্যাক হলে বোঝার উপায়

হ্যাকিং এর জগতের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। কেননা হর-হামেশাই হ্যাকাররা বিভিন্ন ওয়েবসাইট, বিভিন্ন মোবাইল ফোন বা সিম হ্যাক করে থাকে। হ্যাক করার মূলত বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য থেকে থাকে। তবে উদ্দেশ্য যেটাই হোক না কেন, এটা আইনগত দিক থেকে অবৈধ এবং অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত। 

তবে আজকের এই আলোচনায় যেহেতু আমরা সিম হ্যাক হলে সেটা বুঝবো কিভাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি তাই হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা বন্ধ রাখি। তো আসুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেই– আপনার সিম হ্যাক হলে কোন কোন উপায়ে বা কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন! 

সিম হ্যাক হওয়ার লক্ষণ সমূহ

সেম হ্যাক হলে সাধারণত নিম্ন বর্ণিত লক্ষণ বা সমস্যাগুলো দেখা দেয়। যেমন–

  • কিছু সময় পরপর ওয়ার্নিং মেসেজের নোটিফিকেশন আসে
  • হঠাৎ কাউকে কল দিলে সেটা যায় না
  • কখনো কখনো টেক্সট মেসেজ পাঠাতেও সমস্যা দেখা দেয়
  • আপনার সিমটি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় কল যায় এবং আজেবাজে বা আপনি অবগত নন এমন এসএমএস পৌঁছায়।

এক কথায়– কেউ যদি আপনার সিম হ্যাক করে থাকে তাহলে সেটা অন্যজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং আপনি আপনার সিমটি যে যে কাজে ব্যবহার করেন সেই সকল কাজে সেও ব্যবহার করতে পারে। 

কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে– আপনার ফোনে না হয় মাঝে মাঝে ওয়ার্নিং এসএমএস আসছে অথবা কোন আত্মীয়-স্বজন বা আপনার বন্ধুবান্ধব বলছে যে আপনার এই সিম থেকে তাদেরকে কল করে বিরক্ত করা হচ্ছে! তো এই সমস্যা গুলো যদি দেখা দেয় তাহলে আপনি কিভাবে শিওর হবেন যে আপনার সিম সত্যি সত্যি হ্যাক হয়েছে। আর এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কাজ কি হবে? 

আমরা মূলত সিম হ্যাক হওয়ার লক্ষণ হিসেবে যেগুলো তুলে ধরেছি এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে আপনি নিশ্চিত হয়ে যেতে পারেন যে আপনার সিম সত্যি সত্যি হ্যাক হয়েছে। অতএব সিম হ্যাক হলে বোঝার উপায় কি সেটা সুস্পষ্ট। কিন্তু সিম হ্যাক হলে পরবর্তীতে করণীয় কাজ কি? জানতে হলে নিচের পয়েন্ট গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সিম হ্যাক হলে করণীয়

আপনি যদি কোন ভাবে এটা বুঝে যান যে আপনার মোবাইল সিমটি হ্যাক হয়েছে তাহলে সর্বপ্রথম কাজ হবে– থানায় জিটি করা। কেননা সিম হ্যাক করে সাধারণত অনৈতিক কাজকর্মগুলো করা হয় যেটা সম্পাদন করবে অন্য কেউ অথচ নাম হবে আপনার। এর জন্য যদি আপনি বুঝে যান যে আপনার সিমটি ইতোমধ্যে হ্যাকাররা হ্যাক করে ফেলেছে তাহলে থানায় যান, পুলিশ স্টাফদেরকে বিস্তারিত খুলে বলুন এবং সঙ্গে সঙ্গে জিটি করুন। 

কারণ এতে করে যদি আপনার সিমটি ব্যবহার করে কোন খারাপ বা অনৈতিক কাজ করা হয়েও যায় তাহলে সেটার দায়ভার আপনার ওপর বরদাস্ত করা হবে না। অতএব আপনি চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন বিপদে পড়া থেকে বেঁচে যাবেন। 

আর হ্যাঁ, অনেকেই এটাই বুঝে উঠতে পারেন না যে সিম ইতোমধ্যে হ্যাক হয়ে গিয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আপনি খুব বেশি সতর্ক নন। মনে রাখবেন বর্তমান প্রযুক্তির এত এত উন্নয়ন আমাদের জন্য যেমন আশীর্বাদস্বরূপ ঠিক একই ভাবে অভিশাপ স্বরূপ। তাই অবশ্যই আপনি যে জিনিসটাই ব্যবহার করেন না কেন সেটার ভালো খারাপ উভয়ের দিক জানতে হবে এবং ওই জিনিসটি ব্যবহারের জন্য কি কি বিষয়ে লক্ষ্য রাখা জরুরি সে সম্পর্কেও অবগত হতে হবে।

আর তাই আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা কয়েকটি সহজ টিপস দেব আপনাদেরকে। আপনি যদি সতর্কতার সাথে এই টিপসগুলো ফলো করেন তাহলে আপনার সিমটি আদৌ হ্যাক হয়েছে কিনা সেটা একদম নিশ্চিত ভাবে জানতে পারবেন। 

সিম হ্যাক সম্পর্কিত সেরা টিপস

সিম হ্যাক হয়েছে এটা সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য যে কেউ নিজেদের টিপস গুলো অনুসরণ করতে পারেন। 

টিপস নাম্বার ১: মোবাইলের সেটিং থেকে ভালোমতো এটা চেক করার মাধ্যমে যে আপনার নম্বর ব্যতীত অন্য কোন নম্বরের উপস্থিতি রয়েছে কিনা। এর জন্য মূলত 

  • প্রথমত– আপনাকে মোবাইলের সেটিং অপশনে যেতে হবে। 
  • দ্বিতীয়ত–  নেটওয়ার্ক সেটিং এর আওতায় থাকা ডাটা কানেক্টিভিটি ডিটেলসে ক্লিক করতে হবে
  • তৃতীয়ত–ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে যে উক্ত স্থানে আপনার নম্বর ব্যতীত অন্য কোন নম্বর আদৌ রয়েছে কিনা।

যদি সেখানে অন্য কোন নাম্বারের উপস্থিতি থেকে থাকে তাহলে এটা নিশ্চিত হয়ে যান যে আপনার মোবাইলে থাকা সিমটি ইতিমধ্যে হ্যাক হয়ে গিয়েছে। তাই মাঝে মাঝেই চেষ্টা করুন মোবাইলের সেটিং অপশন থেকে নেটওয়ার্ক সেটিং এর আওতাভুক্ত ডাটা কানেক্টিভিটি ডিটেলস চেক করবার।

টিপস নাম্বার ২– শরণাপন্ন হয়ে যান আপনার নিকটস্থ থাকা সিম অপারেটর কোম্পানির। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার মোবাইলে থাকা সিম কি ইতিমধ্যে হ্যাক হয়ে গিয়েছে কিন্তু আপনি নিশ্চিত নন বা পুরোপুরি ভাবে বুঝতে পারছেন না, সে ক্ষেত্রে দেরি না করে আপনি আপনার সিম হ্যাক হয়েছে কিনা সেটা সুনিশ্চিত হতে নিকটস্থ সিম অপারেটর কোম্পানির কাছে আপনার নম্বরটি পরীক্ষা করার জন্য দিয়ে দিন। 

কেননা আপনি যদি আপনার সমস্যার কথা তাদেরকে জানান তাহলে ঐ সকল সিম কোম্পানিগুলো আপনার সিম নম্বরের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে রিপোর্ট জানিয়ে দেবে। আর ওই রিপোর্ট থেকে আপনি এটা নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার সিম হ্যাক হয়েছে কিনা সে সাথে এটাও জেনে নিতে পারবেন ওই সময় আপনার করণীয় কাজ কি হবে।

টিপস নাম্বার ৩– নেটওয়ার্ক ইনফো নামের একটি অ্যাপস ইনস্টল করে রাখতে পারেন আপনার মোবাইলে। কেননা এ ধরনের বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যে এপসগুলো আপনাকে এটা জানিয়ে দিতে পারবে আপনার সিমের ইনকামিং এবং আউটগোয়িং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আর আপনি যদি এই তথ্যগুলো সর্বদা পেতে পারেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার সিমটি কখন হ্যাক হয়ে গেল এটাও বুঝে উঠতে পারবেন। 

তবে হ্যাঁ, সত্যি বলতে সচরাচর সিম হ্যাক হয় না বললেই চলে, মূলত মোবাইল হ্যাকিং এর বিষয়টা খুব বেশি নজরে আসে। কেননা মোবাইল হ্যাক করে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়। আর তাই আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল ফোন হ্যাক হলে সেটা বুঝবেন কিভাবে এই সম্পর্কিত আরো একটি আর্টিকেল পড়তে পারেন। 

তবে আলোচনার শেষ পর্যায়ে মোবাইল হ্যাকিং এর সাধারণ কিছু উপলক্ষ গুলো তুলে ধরছি। মূলত নিম্নে উল্লেখিত উপলক্ষ্য গুলো প্রকাশ পেলে এটা সুনিশ্চিত হয়ে যেতে পারেন যে আপনার মোবাইলটি হ্যাকাররা হ্যাক করে ফেলেছে। যথা–

  • ফোন হঠাৎ করে অনেক বেশি স্লো হয়ে গেলে
  • অপরিচিত মেসেজ খুব বেশি পরিমাণে আসলে
  • ফোন লক অথবা অফ না হলে
  • পরিচিত কোন ওয়েবসাইট অন্যরকম আচরণ করলে
  • মোবাইলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপনের আবির্ভাব ঘটলে
  • খুব ঘন ঘন স্প্যাম মেইল আসলে
  • অনেক বেশি ডাটা খরচ হয়ে গেলে
  • হঠাৎ কোনো ডকুমেন্ট বা ফাইল ডিলিট হয়ে গেলে
  • মোবাইলের চার্জ খুব দ্রুত ফুরিয়ে গেলে

তাই সব সময় আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। 

কেননা যদি ফোন অথবা সিম হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনার ইচ্ছার বাইরে এমন অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ ঘটে যেতে পারে যেটার দায়ভার আপনার ওপর এসে পড়বে কিন্তু আপনি সে সম্পর্কে এতটুকুও জানবেন না। 

সিম হ্যাক হলে বোঝার উপায় সর্বশেষ কথা

তো পাঠক বন্ধুরা, আশা করছি আমাদের উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনি এটা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারবেন যে আপনার মোবাইলটি বা আপনার মোবাইলে থাকা সিমটি আদৌ হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়েছে কিনা। 

আর হ্যাঁ অনেকে মূলত প্রশ্ন করে থাকেন– সিম হ্যাক করার নিয়ম কি, সিম হ্যাক করার সফটওয়্যার হিসেবে কোন সফটওয়্যার রয়েছে কিনা, যদিও বা কোন সফটওয়্যার রয়েছে তাহলে মোবাইল হ্যাক করার সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে থেকে কোনটি সব থেকে সেরা? এ সম্পর্কে না জানাটাই ভালো কেননা এটা অনৈতিক এবং আইন বিরোধী একটি কাজ। 

তবুও আপনি যদি এ সকল বিষয়ে জানতে চান তাহলে গুগলে এ সম্পর্কে সার্চ করতে পারেন কিংবা ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন। তাছাড়াও হ্যাকিংয়ে এক্সপার্ট হওয়ার জন্য মূলত বিভিন্ন কোর্স রয়েছে তাই আপনি নিজেকে যদি একজন হ্যাকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে সেই কোর্সগুলোও সম্পন্ন করতে পারেন। 

তবে হ্যাঁ, প্রত্যেক হ্যাকাররা খারাপ নয়। কেননা ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এবং হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এই দুই ধরনের হ্যাকার রয়েছে। যাদের মধ্যে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার অর্থাৎ কালো টুপি হ্যাকাররা অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিয়োজিত থাকে অপরদিকে নৈতিক হ্যাকার হচ্ছে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার। যাদেরকে গ্রেট হ্যাট হ্যাকারও বলা হয়। কারণ এরা মূলত নৈতিকতার সাথে কাজ করে থাকে এবং বেশ কিছু রুলস ফলো করে চলে যেগুলো আইনিভাবে উপলব্ধ। 

তো আজকের আলোচনা এপর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। 

Facebook Comments

Leave a Reply

Top