You are here
Home > ফেসবুক > সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব

সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব

সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কি

 সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব সকল বিষয় আজকে এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।  সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কেও গাইড লাইন দেয়া হয়েছে।  সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শিখতে পারবেন তার সবকিছুই আজকের এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। 

সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া বলতে কি বুঝায়?

সোজা ভাবে বললে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) হলো এমন এক টেকনিক বা প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন আলাদা আলাদা Social Media Platform যেমন, Facebook, YouTube, Instagram, LinkedIn এবং আরো অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলিতে সক্রিয় থাকা লোকেদের লক্ষ্য (target) করে, পণ্যের গুণমান সচেতনতা (product brand awareness) ছড়ানো হয় বা বিভিন্ন product, service এবং business এর প্রচার (marketing) করা হয়।

কোন মার্কেটিং এজেন্সি কোন প্রোডাক্ট, সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে প্রমোট করে এবং মার্কেটিং করে, সেটিকে কাস্টমার পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য যে সমস্ত জিনিস গুলি করে থাকে সেটিকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। যেহেতু এই ধরনের মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে, সেই কারণে এই ধরনের মার্কেটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নাম দেওয়া হয়।

সোজাকথায় – সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করলে তাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে Targeted Product কে Targeted Customer এর কাছে, খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়া যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করবার জন্য কাস্টমারদের Interect করতে আলাদা আলাদা Tecnique এর ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে কাস্টমার প্রোডাক্ট নিতে বাধ্য হয়। সোশ্যাল মিডিয়া Marketer, Text/Video Form এ Product Advertising এর সাহায্যে নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের Benifit, Advantages, Disadvantages, Price সব কিছু কাস্টমারকে বলে দেয়।

সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কি

এবং কখনও কখনও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের ওয়েবসাইট এবং ব্লগের ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে, সাইটের মধ্যে টার্গেট অডিয়েন্স নিয়ে আসে। এবং তাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রডাক্ট লিস্টিং করে, কাস্টমারদের সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে পুরো ইনফরমেশন দেয়।

এটিও জেনে নিন –  Mbps কি – Mbps এর পূর্ণরূপ কি, Mbps ও MBps এর মধ্যে পার্থক্য

সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আলাদা আলাদা জিনিস অনুসরণ করতে হয়। সেগুলি হল –

  1. Content Writing
  2. Product Design
  3. Video Making
  4. Infographic Create
  5. Social Media Page Creating
  6. Price Discussion Etc.

বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং এজেন্সি, এই জিনিসগুলো কে আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করে, এগুলির সাহায্যে মার্কেটিং করে থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন করতে হয়?

কথায় আছে ঢেকি সর্গে গেলেও ধান ভানে, উদ্যোক্তারা অনেকটা ঢেকির মত। তারা সবসময় ব্যাবসা এবং  এর প্রসার নিয়ে ভাবে। একজন সফল উদ্যোক্তার সবচাইতে বড় গুন হচ্ছে সে থেমে থাকে না, যখন কোন সমস্যা আসে তখন ব্যাস্ত থাকে সমস্যা সমাধানের জন্য। আর যখন কোন সমস্যা না আসে তখন ব্যাস্ত থাকে নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্টের জন্য। আর এই স্বভাবের জন্যই পৃথিবীতে ছোট ছোট অনেক স্টার্টআপ আজ অনেক বড় হয়েছে। নতুন নতুন আইডিয়া জেনারেট হয়েছে।

ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এরকম আইডিয়ারই ফসল। আজ সোসায়াল মিডিয়া ছাড়া আমারা আমাদের জীবন চিন্তাই করতে পারি না। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ লক্ষ ফেসবুক ব্যাবহারকারি রয়েছে এবং এই সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনার যদি সোসায়াল মিডিয়া ছাড়াই পর্যাপ্ত ক্রেতা থাকে, তবুও সোসায়াল মিডিয়া মার্কেটিং এর দিকে আপনার নজর দেয়া উচিত। এটা আপনার ব্যাবসার প্রসার কয়েকগুন বাড়িয়ে দিতে পারে। আর যদি আপনার পর্যাপ্ত ক্রেতা না থাকে তাহলে অনলাইন মার্কেটিং হতে পারে কম খরচে পর্যাপ্ত ক্রেতা পাওয়ার উপযুক্ত মাধ্যম।

মার্কেটিং প্রেক্ষাপট থেকে আপনার লক্ষ কি হতে পারে?

  1. আপনার পণ্য এবং প্রতিষ্ঠান এর পরিচিতি বৃদ্ধি।
  2. মানুষকে আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান অথবা ওয়েবসাইট এ আসতে উৎসাহিত করা।
  3. আপনার পণ্যের ভাল দিক গুলো তাদের কাছে তুলে ধরা।
  4. আপনার পণ্য বিক্রি করা।
  5. ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করা, যাতে তারা পুনরায় পন্য ক্রয় করতে আসেন।
  6. ক্রেতা যাতে তার পরিচিতজনদের কাছে আপনার প্রতিষ্ঠান / পন্য এর প্রশংসা করে তার ব্যাবস্থা করা।
  7. আপনার নতুন নতুন পণ্য  অথবা বিশেষ অফার গুলো আপনার ক্রেতা অথবা সম্ভাব্য ক্রেতাদের নিকট পৌছে দেয়া।
  8. আর সবশেষে তাদের কোন প্রশ্ন, অভিযোগ থাকলে তারা যেনো সেটা আপনাকে সহজেই জানাতে পারেন, এবং আপনি সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে পারেন সে ব্যবস্থা করা।

এছাড়াও ছোট বড় আপনার আরো অনেক লক্ষ থাকতে পারে। ব্যাবসার ধরন এবং মাপের উপর ভিত্তি করে আপনার লক্ষ, প্লান এবং এক্সিকিউশন ভিন্ন হতে পারে। সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন করবেন তার কিছু কারন এখন বর্ননা করছি।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার নিয়ম গুলো জেনে নিন 

Social Media Marketing করার কিছু নিয়ম ও নীতি আছে।

ডিগ্রি অনুসরণ করলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে অবশ্যই সফল হবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নীতি গুলি নিচে দেখে নিন।

১. Law of Focus:

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে প্রডাক্ট সম্পর্কে সব থেকে ভাল কনটেন্ট প্রোভাইড করুন।

যার মাধ্যমে কাস্টমার খুব সহজেই engage হয়ে যায়।

২. Law of Listening :

আপনার টার্গেট কাস্টমারদের ট্র্যাক করতে থাকুন এবং তারা কি চাইছে, সেই হিসেবে তাদের সামনে পণ্য প্রদর্শন করুন।

এর জন্য তাদের সাথে প্রডাক্ট সম্পর্কে আলোচনা করুন।

৩. Law of Quality :

টাকার থেকে সর্বপ্রথম কাস্টমার এর পন্যের কোয়ালিটির উপর নজর রাখুন।

যদি আপনি আপনাকে ভাল প্রোডাক্ট কাস্টমারকে দিতে পারেন।

তাহলে আপনার ব্যবসা অটোমেটিক বেড়ে ওঠা শুরু করবে।

৪. Law of patience :

যে কোন জিনিস রাতারাতি সাকসেসফুল হয় না।

এর জন্য আপনাকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং ধৈর্য রাখতে হবে।

আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। তাহলে আপনি একদিন অবশ্যই সফল হবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়

উপর থেকে এই পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আপনাকে এখন বলব কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়। Social Media মার্কেটিং বিভিন্ন উপায়ে করা যায়। তবে প্রথমে আপনাকে বাছাই করে নিতে হবে আপনি কিসের সার্ভিস দিচ্ছেন এবং কি রিলেটেড সার্ভিস দিচ্ছেন। এবং আপনার ব্যবসার ক্যাটেগরির উপর ডিপেন্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেইসম মানুষকে টার্গেট করতে হবে যারা আপনার সার্ভিস নিতে আগ্রহী।

প্রথমেই বলেছিলাম, মনে করুন  –  আপনার একটি নতুন ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে এবং আপনি সেখানে কম্পিউটার এক্সেসরিজ বা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট বিক্রি করেন।  আপনার ব্যবসা প্রসার করার জন্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া বাছাই করে নিবেন। এবং সেইসব Social Media গুলোতে আপনার ব্র্যান্ড বা কোম্পানির নামে একটি প্রফেশনাল মানের প্রোফাইল বা পেইজ খুলে নিবেন। সেই একাউন্ট বা পেইজ থেকে আপনার ব্র্যান্ডের মার্কেটিং করতে পারবেন।  আমি এই ব্লগে জনপ্রিয় ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম এবং সেগুলোতে কিভাবে প্রোপার ওয়ে তে মার্কেটিং করবেন সেগুলো শেয়াকরব। চলুন দেখে নেয়া যাক –

১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম

নিম্নের ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম এবং সেগুলোর মধ্যে কিভাবে মার্কেটিং করবেন সেসব বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই যদি একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়েন তবে অবশ্যই উপকৃত হবেন।

১. Facebook – ফেসবুক

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য #১ বেস্ট প্লাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। পৃথিবীজুড়ে ফেসবুকের মাসিক ব্যবহারকারী প্রায় ২.৮৯ বিলিয়ন। যেখানে ফেসবুকের বাংলাদেশী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৮ মিলিয়ন। আর আপনি চাইলে সহজেই আপনার ব্যবসা কে ফেসবুকের মাধ্যমে বড় করে ফেলতে পারেন। এখন পর্যন্ত সবেচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং প্লাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুকে আপনি দুইভাবে মার্কেটিং করতে পারেন।

১. পেইড মার্কেটিংঃ সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

পেইড মার্কেটিং হচ্ছে আপনি আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডকে ফেসবুক এড এর মাধ্যমে সহজেই আপনার টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে পৌছাতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আপনার ব্র্যান্ড এর যেকোন প্রডাক্ট এর বিবরণ দিয়ে একটি আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন তৈরি করতে হবে। ফেসবুক এডস ম্যনেজার (Facebook Ads Manager)  দিয়ে সহজেই আপনার বিজনেস ব্র্যান্ডের নামে একটি এড চালু করতে পারেন। এতে সুবিধা হচ্ছে আপনি এই এড এর মাধ্যমে আপনার নির্দিষ্ট লোকেশন ভিত্তিক, নির্দিষ্ট টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে আপনার ব্র্যান্ড পৌঁছাতে পারবেন।

যেমন, কোন বয়সী মানুষেরা আপনার সার্ভিস নিবে, আপনার সার্ভিস কি শুধু ছেলেদের জন্য নাকি মেয়েদের জন্য এটা সিলেক্ট করে দিতে পারবেন এবং কোন অঞ্চলের মানুষের কাছে আপনার সার্ভিস পৌঁছাতে চান সেটাও সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। আবার আপনার বিজনেস এর ক্যাটেগরি ভিত্তিক মানুষের আগ্রহ(Interest) এর উপর নির্ভর করে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারেন।

২. ফ্রি মার্কেটিংঃ সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

আপনি যদি নতুন স্টার্টআপ দিয়ে থাকেন বা অল্প পরিসরে কাজ শুরু করে থাকেন তবে আপনার জন্য ফ্রি মার্কেটিং করাটাই বেস্ট হবে বলে আমি মনে করি। ফেসবুকে সহজেই ফ্রি মার্কেটিং করে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছাতে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

প্রথমতঃ আপনার ব্র্যান্ড/বিজনেস এর নামে একটা পেইজ খুলে নিবেন এবং সেখানে আপনার ব্র্যান্ড বা বিজনেস এর সকল সঠিক তথ্য দিয়ে আপডেট করে রাখবেন। সেই পেইজে আপনার যাবতীয় সকল কন্টেন্ট, প্রোডাক্ট, আপডেট নিউজ পাবলিশ করবেন। এবং পরচিত মানুষদের ফেসবুক পেইজে ইনভাইট দিয়ে ফলোয়ার এবং লাইক পূর্ণ করে ফেলতে পারেন। এক্ষেত্রে ফলোয়ার সংখ্যা যদি বেশ ভাল পরিমাণে বাড়াতে পারেন তবে বেশ ভাল পরিমাণে একটা সারা পাবেন।

দ্বিতীয়তঃ আপনার যে কন্টেন্ট গুলো  আছে সেগুলোর পরিপুর্ন তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, আপনি যে গ্রুপে পোস্ট করছেন সেটি যেন আপনার ব্র্যান্ড ক্যাটেগরি হয়। যেমন, আপনি যদি ইলেক্ট্রিনিক জিনিষ বিক্রি করতে সেটির জন্য একটি পরিপূর্ন তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট কোন একটা সাহিত্যিক গ্রুপে পাবলিশ করেন তবে কিন্তু সেখানে আপনি সুবিধা করতে পারবেন না। তাই আপনাকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বা আপনারবিজনেস ক্যাটেগরি রিলেটেড যে গ্রুপ গুলো আছে সেগুলোতে আপনি আপনার প্রডাক্ট শেয়ার করতে পারেন। এতে করে বেশ সারা পাবেন আশা করি।

২. WhatsApp – হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

আপনি ইতিমধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং করেছেন। এবং সেখান থেকে বেশকিছু মানুষের সারাও পেয়েছেন। এবার তারা যদি আপনার সার্ভিস নিতে আগ্রহী হয় তবে তাদেরকে WhatsApp – হোয়াটসঅ্যাপে নিয়ে আসুন। এতে করে তাদের সাথে কমিউনিকেশন করতে অনেক বেশী সুবিধা হবে। WhatsApp Business হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ব্যবসা ম্যানেজ করার সব দারুণ ফিচার পেয়ে যাবেন।

৩. Instagram – ইন্সটাগ্রাম দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

ব্যবসার ব্র্যান্ড ভাল্যু বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে স্মার্ট মার্কেটিং প্লাটফর্ম হচ্ছে ইন্সটাগ্রাম। ইনস্টগ্রাম ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ডকে সহজেই আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। ইনস্টাগ্রাম এর #হ্যাশট্যাগ অলগরিদম খুব স্পেশাল। আপনি চাইলে আপনার ব্যবসা, ব্র্যান্ড বা যা নিয়েই কাজ করেন না কেন সেটি নিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্স করে সহজেই আপনার ব্র্যান্ডকে সকলের নজরে নিয়ে আসতে পারেন। আপনি চাইলে ইনস্টাগ্রামেও পেইড মার্কেটিং করতে পারেন। যেহেতু এটি মেটা (Meta) বা ফেসবুকের আন্ডারে তাই আপনি চাইলে ইন্সটাগ্রামেও এড চালু করে পেইড মার্কেটিং করতে পারেন।

৪. Twitter – টুইটার দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য অন্যতম আরেকটি প্লাটফর্ম হচ্ছে টুইটার। আপনি সহজেই টুইটারে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন টুইটার একাউন্ট এবং সঠিক অডিয়েন্স। টুইটারেও আপনি স্মার্ট ভাবে #হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারেন।

৫. LinkedIn – লিঙ্কডইন দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

আপনি যদি প্রফেশনাল মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চান তবে লিংকডইন হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট চয়েস। লিংকডইন – LinkedIn এ আপনি সব প্রফেশনাল মানুষদের দেখা পাবেন। এই প্লাটফর্মে আপনি একাউন্ট করে আপনার ব্র্যান্ডকে প্রফেশনাল এবং কর্পোরেট মানুষদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন এবং আপনার মার্কেটিং লেভেল কে নিয়ে যেতে পারেন এক অনন্য মাত্রায়।

৬.Telegram – টেলিগ্রাম দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

টেলিগ্রামও হোয়াটসঅ্যাপ  এর মতই ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য বেস্ট একটি প্লাটফর্ম। তবে এখানে বেশ এক্সট্রা কিছু ফিচার রয়েছে। টেলিগ্রামের সাহায্যে আপনি চ্যানেল খুলতে পারবেন এবং আপনার সকল মার্কেটিং ওই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইভারদের সাথে করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনি টেলিগ্রামে বেশী সাবস্ক্রাইবার আর্ন করতে পারেন তবে বেশ ভাল প্রফিট পাবেন।

৬. Tumblr – টাম্বলার দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তবে Tumblr – টাম্বলার আপনার জন্য বেস্ট অপশন গুলোর মধ্যে একটি। এখানে আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে পারবেন এবং শেয়ার করতে পারবেন। এখানে বড় সুবিধা হচ্ছে কিওয়ার্ড #হ্যাশট্যাগ সিমস্টেম করে পোস্ট করা যায়। আপনি চাইলে আপনার ব্যবসা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে চাইলে এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারেন।

৭. Reddit – রেডডিট দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

রেডডিট হচ্ছে একটি সামাজিক যোগাযোগ মেসেজিং মাধ্যম। সাধারণত বিনোদন এবং বিভিন্ন ছবির সাথে লেখা যুক্ত করে পোস্ট করার সিস্টেম রয়েছে তবে ব্যবহারকারিরা সেসব পোস্টে মন্তব্য এবং বোট করতে পারে।

৮.Pinterest – পিন্টারেস্ট দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

পিন্টারেস্ট হচ্ছে একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক। যেখানে ইউজাররা মূলত তাদের শখের যেকোন মেমরি’স, আইডিয়া শেয়ার করে। তবে আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তবে Pinterest-পিন্টারেস্ট একটি বেস্ট প্লাটফর্ম আপনার জন্য। আপনি চাইলে সহজেই আপনার ব্লগের যেকোন কন্টেন্ট পিন্টারেস্টে আপলোড করে রাখতে পারেন। এবং বেসিক এসইও করলেই আপনার সেই কন্টেন্ট থেকে ভাল পরিমাণে ট্রাফিক পাবেন।

 ৯.Snap Chat – স্নাপচ্যাট দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

এটিও একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন্দের সাথে যোগাযোগ, মেসেজিং, ছবি, ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। তবে এই অ্যাপ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য অতটা স্পেশাল না।

১০. Skype – স্কাইপ দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য একটি জন্যপ্রিয় অ্যাপ এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই, অডিও/ভিডিও কল, চ্যাট এবং স্কাইপ বিজনেস অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য একটি বেস্ট প্লাটফর্ম। তবে এটি মার্কেটিং করার জন্য না।

উপরিউক্ত মোট ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক এর মধ্যে প্রথম ০৫ টি আপনি মার্কেটিং এর জন্য স্পেশালি বেছে নিতে পারেন। তা’ও যদি না হয় তবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফেসবুক এবং, ইন্সটাগ্রাম বেছে নিতে পারেন। এবং আস্তে আস্তে আপনার মার্কেটিং পরিধি বাড়াতে পারেন।

এবার চলুন জেনে নেয়া যাক প্রফেশনালি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে কোথায় থেকে শিখবেন। আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে অনেক  সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাজেন্সি থেকে আপনার ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কেটিং করিয়ে নিতে পারেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আপনার ব্যবসা অথবা ক্যারিয়ারে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?

১) পরিচিতি বৃদ্ধি

যে কোন মার্কেটিং ক্যম্পেইন এর একটি মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে কোন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধি করা। নতুন নতুন অফারগুলোকে প্রচার করা। সম্ভাব্য সব ক্ষেত্র থেকে ক্রেতা খুজে বের করা। আপনার ব্যবসা ছোট হোক অথবা বড়, ব্যবসার সফলতা অনেকটা নির্ভর করবে আপনি কতটা পরিচিত। আপনি যত বেশী পরিচিত, আপনার ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশী। আর আপনি যদি পরিচিতি পেতে চান আপনাকে সেখানেই একটিভ থাকতে হবে যেখানে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতার উপস্থিতি রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টিভি, রেডিও এবং পত্রিকার পর সোস্যাল মিডিয়া বেশী জনপ্রিয়, এবং এর জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে খুব দ্রুত এটা অন্য সবগুলাকে ছাড়িয়ে যাবে অথবা আরো বেশী জনপ্রিয় হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

ফেসবুকের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য আপনি নিচে প্রদত্ত ডাটা গুলো দেখে নিতে পারেন।

  • ফেসবুকের বর্তমানে (২০২১) একটিভ ব্যবহারকারির সংখ্যা ২.৮ বিলিয়ন।
  • ২০০ মিলিয়ন ব্যবসা ফেসবুকে একটিভ আছে বর্তমানে (২০২১)।
  • ৬৫% ফেসবুক ব্যবহারকারীর বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
  • ৯৮.৩% মানুষ ফেসবুক মোবাইল এপ থেকে ব্যবহার করে।
  • পৃথিবীব্যাপী ফেসবুক ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতি মাসে ১৯.৫ ঘণ্টা ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে।
  • ৮৬% আমেরিকান মার্কেটার ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
  • ৭৮% আমেরিকান, ফেসবুকে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখার পর সেই পণ্য কিনে থাকে।

২) যোগাযোগ তৈরী

আপনি অনেক পরিচিতি পেলেন, কিছু ক্রেতাও পেলেন, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনার কাজ শেষ বা আপনি সফল হয়ে গেলেন। কাজের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলেও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আপনাকে এখনই করতে হবে। আর তা হচ্ছে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। তারা আপনার পণ্য বা সেবাতে সন্তুষ্ট কিনা এর উত্তর বের করা। তাদের কোন অভিযোগ অথবা পরামর্শ আছে কিনা তা জানতে চাওয়া। অথবা আপনার পণ্য এবং সেবা সংক্রান্ত যেকোন ব্যাপারে তারা কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা এবং হয়ে থাকলে সেটা কি ধরনের। এই উত্তর গুলো যদি আপনি বের করতে না পারেন এবং বের করার পর যদি এর সমাধান বের করতে না পারেন তাহলে আপনি যতই প্রচারনা চালান, আপনার ব্যবসা বেশীদিন টিকে থাকবে না। আর এই উত্তর গুলো পাওয়ার সব চাইতে সহজ উপায় হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া। কারন মানুষ ফোনে অথবা সামনা সামনি অভিযোগ দেয়ার চাইতে লিখতে বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করেন। একই ঘটনা ঘটবে প্রশংশা করার বেলায়। আবার সোস্যাল মিডিয়াতে লিখার সময় মানুষ পর্যাপ্ত সময় নিতে পারে, যা অন্য মাধ্যমগুলাতে সম্ভব নয়। তাই সোস্যাল মিডীয়াকে শুধু মাত্র প্রচারনার জন্য ব্যাবহার করা হলে তা ভুল হবে। সোস্যাল মিডিয়াকে ক্রেতা অথবা সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করতে হবে।

৩) ভাইরাল প্রমোশন

মানুষ শেয়ার করতে ভালোবাসে, সোস্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরো বেশী সত্য। মানুষ সারাদিন কি করলো, কিভাবে করলো, কোথা থেকে করলো এই ধরনের ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি শেয়ার করে। এই সুযোগটাই আপনাকে কাজে লাগাতে হবে। একটা উদাহরন দেই, পিজা হাটে এক রোযার মাসে ইফতারের সময় ৮০০ টাকায় একজনের জন্য আনলিমিটেড পিজা এর ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। এই খবরটি হয়ত অনেকেই জানতেন না। একটা স্ট্যাটাস দিন, “আজ পিজা হাটে ৮০০ টাকায় ৪ টা পিজা খেয়েছি, হুররে!” আর কিছু লাগবে না, আপনার ফ্রেন্ডলিষ্ট থেকে কম করে হলেও ৩০-৪০ জন নতুন মানুষ এই তথ্যটা পেয়ে যাবে, তার মানে কোন খরচ ছাড়াই প্রচারনা। আর এই ৩০-৪০ জন এর থেকে যদি একজনও যায় তাহলে এখানেও খরচ ছাড়াই কাষ্টমার। এখন পিজা হাটের পরিবর্তে আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে ভাবুন, আপনিও একই ভাবে সুবিধা পেয়ে যেতেন।

৪) পণ্য অথবা সেবা বিক্রি করা

প্রচারনা আর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই নয় আপনি চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমেও আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। শপিফাই ইতিমধ্যেই ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করার সুবিধা দিচ্ছে। তাই একই মিডিয়াতে যদি প্রচারনা, যোগাযোগ এবং বিক্রি করা যায় তাহলে একে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে নিজের ব্যাবসার অনেকগুলো সুযোগ নিজ হাতে বন্ধ করে দেয়া।

একজন ব্যাবসায়ী হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে আপনার ক্রেতার সব চাওয়া, সব সুবিধা তাদের হাতের কাছেই রাখা, আর তা করতে হলে আপনাকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। আপনাকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কৌশল গুলো জানতে হবে। তাহলেই আপনি এই চ্যানেল থেকে পর্যাপ্ত সুবিধা নিতে পারবেন, আপনার ব্যাবসার প্রসার ঘটাতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ডিমান্ড কেমন?

এবার আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। তো যখন আপনি Social media marketing করতে যাবেন। তখন অনেকেই আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে যে, এই মার্কেটিং এর ডিমান্ড কেমন।

তো যেহুতু আপনি আর্টিকেলের এই পর্যন্ত চলে এসেছেন। সেহুতু আপনি বলুন তো, এর ডিমান্ড কেমন? কি বলতে পারবেন?

থাক! আপনাকে বলতে হবে না। বরং আমিই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলছি।

দেখুন ডিমান্ড নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার উপর। কেননা, আপনি যদি সোশ্যাল মার্কেটিং এর স্ট্রাটেজিকে সঠিকভাবে ফলো করতে পারেন। তাহল আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আর যখন আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তখন কিন্তুু আপনার মার্কেটিং এর ডিমান্ড থাকবে।

অপরদিকে আপনি যদি এই Social Marketing এর স্ট্রাটেজিকে সঠিকভাবে বুঝতে না পারেন। আপনি যদি সেই টেকনিক গুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারেন।

তাহলে কিন্তুু আপনি কোনোভাবে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।

আর আপনি যদি সফলতা অর্জন করতে না পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজির তেমন কোনো ডিমান্ড থাকবে না।

কারন কি জানেন? এর প্রধান কারন বুঝতে হলে আপনাকে একটি প্রবাদ শুনতে হবে। সেটি হলো,  “যতোদিন আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। ততোদিন আপনার গল্পের কোনো মূল্য থাকবে না”।

কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হয়? 

যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই বিষয় গুলো নিয়ে এবার বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

দেখুন, প্রত্যেকটি কাজে কিছু টেকনিক থাকে। আর যখন সেই টেকনিক গুলো অবলম্বন করা হয়। ঠিক তখনি উক্ত কাজে সফলতা পাওয়া যায়।

ঠিক তেমনি, যখন আপনি এই সোশ্যাল Marketing এর সাথে যুক্ত হতে চাইবেন। তখন আপনাকেও অনেক বিষয়ের দিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে।

আর আপনি যখন এই বিষয় গুলো গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখবেন। তখন উক্ত সেক্টরে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনাও কয়েক গুন বেড়ে যাবে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কি সেই বিষয় যেগুলো ফলো করলে আপনিও অন্যদের মতো Social media marketing করে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়তে পাড়বেন?

তো চলুন এবার সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক। 

সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচন (Social media selection) 

দেখুন, যদি আপনি সোশ্যাল মার্কেটিং করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে। আপনি আসলে কোন মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করবেন।

হতে পারে আপনি ফেসবুকে মার্কেটিং করবেন অথবা টুইটারে মার্কেটিং করবেন। তো এই বিষয়টা আপনাকে আগে থেকেই নির্বাচন করতে হবে।

তবে এটা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আপনার মার্কেটিং পন্যের উপর। অর্থ্যাৎ, আপনি আসলে কি পন্যের মার্কেটিং করবেন তার উপর নির্ভর করে এই সোশ্যাল মিডিয়াকে নির্বাচন করতে হবে।

তবে যখন আপনি এই ধাপটিতে অবস্থান করবেন। তখন আপনি নিজেই নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করবেন। এবং এই প্রশ্ন গুলোর উওর খুজে বের করার চেস্টা করবেন। যেমন, 

আপনি কোন লোকেশনকে টার্গেট করবেন? 

কোন সোশ্যাল প্লাটফর্মটি আপনার টার্গেটেড অডিয়্যন্স সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে?

সবশেষ কোন প্লাটফর্মটি ব্যবহার করলে আপনি আপনার টার্গেটেড অডিয়্যান্সের কাছে খুব দ্রুততার সাথে পৌঁছাতে পারবেন। 

আপাততো যখন আপনি মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে নির্বাচন করবেন। তখন এই বিষয় গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ম অনুসারে কাজ করা

যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আসলে আপনার কোন সোশ্যাল প্লাটফর্মকে বেছে নেয়া উচিত। তখন উক্ত প্লাটফর্মের যেসব নিয়ম কানুন আছে। সে নিয়ম কানুন অনুযায়ী আপনাকে কাজ করে যেতে হবে।

যেমন, আমি ধরে নিলাম যে আপনি মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া কে বেছে নিয়েছেন। এখন আপনি যদি এই ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি করতে হবে?

প্রথমত আপনাকে একটি বিজনেস পেজ তৈরি করতে হবে। এর সেই পেজটিকে আপনার প্রতিষ্ঠান বা পন্যের সাথে মিল রেখে সাজিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে হবে।

অপরদিকে আপনি যদি সোশ্যাল প্লাটফ মার্কেটিং করার জন্য YouTube কে বেছে নেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে অন্যভাবে কাজ করতে হবে, তাইনা?

তো আপনি যদি ইউটিউবকে বেছে নেন। তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি Youtube channel তৈরি করতে হবে। তারপর সেই চ্যানেলকে সঠিকভাবে কাস্টমাইজড করতে হবে। এরপর উক্ত চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে হবে।

ঠিক এভাবেই আপনি যেকোনো সোশ্যাল প্লাটফর্ম নির্বাচন করুন না কেন। উক্ত প্লাটফর্ম এর যাবতীয় নিয়ম কানুন গুলো মেনে তারপর আপনার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। 

প্রমোশন বা প্রচার করা 

Social media share করার এটিই হলো শেষ ধাপ। এই ধাপে আপনাকে আপনার পন্য বা প্রতিষ্ঠানকে প্রচার করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি আপনার মার্কেটিংকে সফলতার পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবেন।

তো এই ধাপে আপনাকে মূলত Advertising এর উপর নির্ভর করতে হবে। অর্থ্যাৎ, আপনার মার্কেটিং এ আপনি যে ধরনের অডিয়্যান্সকে টার্গেট করবেন। সেই অডিয়্যান্সের কাছে দ্রুত গতিতে পৌঁছানোর একটি সহজ পথ হলো, বিজ্ঞাপন প্রচার করা।

যেমন, আমরা যখন ফেসবুক ব্যবহার করি। তখন আমাদের নিউজফিডে বেশ কিছু Sponsored দেখতে পাই। মূলত এগুলোই হলো পেইড প্রোমোশন। যার মাধ্যমে তারা আপনার মতো অডিয়্যান্সকে টার্গেট করে নিজেদের পরিচিতি বৃদ্ধি করছে। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ কি কি শিখতে হবে?

যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে চান। তাহলে আপনাকে শুরু থেকে কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি আপনি সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

তাহলে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে।

তো Social media marketing করার আগে আপনাকে ২ টি বিষয়ের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যথাঃ 

  1. Marketing Strategy 
  2. Advertising Process

হুমমম আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই বিষয় গুলো সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিতে হবে। তাই এবার চলুন সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

What is Marketing Strategy? 

একটু ভেবে দেখুন,  একজন সবজি বিক্রেতা যদি ওষুধ বিক্রি করে। তাহলে বিষয়টা কেমন দেখাবে? নিশ্চই তা অনেকের কাছে পছন্দসই হবে না, তাইনা?

ঠিক একইভাবে কোনো ফার্মেসিতে যদি ঔষুধের পাশাপাশি আল পটল বিক্রি করা হয়। তাহলেও কিন্তুু বিষয়টা তেমন মানানসই হবে না।

এবার আপনি সোশ্যাল মার্কেটিং এর কথায় আসুন। তো এখানেও কিন্তুু আপনাকে সব দিক বিবেচনা করে কাজ করতে হবে।

একটি পন্যের প্রচার কোথায় করলে তা মানসম্মত হবে। এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার পূর্নাঙ্গ ধারনা থাকতে হবে।

এর পাশাপাশি কিভাবে আপনার পন্যের প্রচার করলে তা অডিয়্যান্সের কাছে উপযুক্ত বলে মনে হবে। সে সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারনা রাখতে হবে। 

Advertising Process 

সোশ্যাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো, Advertising করা। কারন এই পদ্ধিত প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

তো যখন আপনি সোশ্যাল মার্কেটিং শিখবেন৷ তখন আপনাকে Advertising Process টা কে ভালোভাবে বুঝতে হবে। কারন একেকটি সোশ্যাল প্লাটফর্ম এর Ad প্রদানের ধরন কিন্তুু আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

যেমন আপনি যদি ফেসবুকের মাদ্যমে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে চান। তাহলে এখানে আপনি যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে Advertising করতে পারবেন। সেই প্রক্রিয়াতে কিন্তুু Twitter কিংবা Instagram এ করতে পারবেন না। 

কারন, প্রত্যেকটা প্লাটফর্মের কাজের ধরন আলাদা রকমের হয়ে থাকে।

আর কোন সোশ্যাল প্লাটফর্মে কিভাবে Advertising করতে হয়। সে সম্পর্কে যদি আপনার কোনো ধারনা না থাকে। তাহলে কিন্তুু আপনি অন্যদের তুলনায় অনেক গুন পিছিয়ে থাকবেন।

তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার আগে অবশ্যই এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। যাতে পরবর্তীতে আপনার কোনো প্রকার সমস্যা না হয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া কোথায় থেকে শিখব?

যদি আপনি এই সোশ্যাল মার্কেটিং শিখতে চান। তাহলে আপনার সামনে অনেক গুলো পথ খোলা থাকবে। আপনি চাইলে যেকোনো একটিকে পছন্দ করে সেই অনুযায়ী শিখে নিতে পারবেন।

প্রথমত আপনি যদি কোনো It Center এ গিয়ে শিখতে চান। তাহলে আপনি সেখান থেকে হাতে কলমে শিখতে পারবেন।

আবার বর্তমানে অনলাইনে এমন অনেক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স আছে। আপনি চাইলে সেই কোর্স গুলো ফলো করেও অনেক কিছু শিখতে পারবেন।

এছাড়াও ইউটিউবে অনেক চ্যানেল আছে। যারা বিনামূল্যে অনেক টিপস শেয়ার করে থাকে। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকেও শিখে নিতে পারবেন।

অর্থ্যাৎ, আপনি আসলে কিভাবে শিখতে চান। তা সম্পূর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে। 

পেশা হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেমন হবে?

পেশা হিসেবে কিন্তুু চুরি করাও অনেক ভালো একটা টেকনিক। যতোক্ষণ পর্যন্ত না ধরা পড়বেন। 

ঠিক একইভাবে আপনি যদি Social media marketing কে কাজে লাগাতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক ভাল পজিশনে আসতে পারবেন।

তখন আপনি যদি চান যে এই কাজটিকে নিজের পেশা হিসেবে নির্ধারন করবেন। তাহলে আপনার চিন্তার মধ্যে কোনো ভুল থাকবে না।

কিন্তুু আপনি যদি এই কাজে সঠিকভাবে দক্ষ হতে না পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে। আর এমতাবস্থায় আপনি এই সেক্টরকে পেশা হিসেবে বিবেচনা করাটা বিরাট বড় ভুলের কারন হয়ে দাড়াবে।

তাই এই সেক্টরে আসার আগে পুনরায় ভাবুন। আর খুজে বের করার চেস্টা করুন যে, আপনি আসলে এই সেক্টরে কাজ করার জন্য কতটুকু সিরিয়াস। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে শেষ কথা

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি তা আশা করি আপনারা আজকের এই পোস্ট করে জানতে পারলেন।  এছাড়াও আমরা চেষ্টা করেছি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখা সম্পর্কিত কিছু ভিডিও টিউটোরিয়াল দেয়ার।  আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে এবং ভিডিওগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখলে আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে নিতে পারবেন।  সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করতে পারেন।  আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেয়ার জন্য।

Facebook Comments
Top