You are here
Home > অনলাইন ইনকাম > মোবাইল দিয়ে কি কি করা যায় | জানলে অবাক হবেন

মোবাইল দিয়ে কি কি করা যায় | জানলে অবাক হবেন

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল দিয়ে কি কি করা যায়, মোবাইল ফোনের উপকারিতা সমূহ কি কি, কিভাবে মোবাইল ফোন কাজ করে এবং মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সহজ উপায় কি কি! যদি জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন এই সকল প্রশ্নর সমাধান, তাহলে পড়ে ফেলুন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি।

কেননা আজ আমরা একটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে কি কি করা যায়, মোবাইল ফোন মানুষের কি কি কাজে আসে তার সবটাই আলোচনা করব আজকের পোস্টে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক– মোবাইল দিয়ে কি কি করা যায় সে সম্পর্কে খুঁটিনাটি। 

মোবাইল দিয়ে কি কি করা যায়?

দেখুন এটা আমরা সবাই কম বেশি জানি যে— বর্তমান সময়ে মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হলো মোবাইল ফোন। কেননা দৈনন্দিন জীবনে যাবতীয় কাজকর্মগুলো মূলত এই ফোনের সাহায্য নিয়েই সম্পাদন করা হয়ে থাকে। 

তবে আমরা যারা মোবাইল এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা তারা অনেকেই মনে করি–  মোবাইলের ব্যবহার বলতে– ফেসবুক, ইউটিউব ঘাটাঘাটি, গেম খেলা আর কথা বলা, ব্যাস এতোটুকুই। কিন্তু সত্যি বলতে এটা আমাদের ভুল ধারণা। কেননা বর্তমানে মোবাইল দিয়ে এমন অনেক কাজ করা যায় যেটা আমাদের ভাবনারও বাহিরে। 

এমনকি মোবাইলের সাহায্যে এমন কিছু কাজ করে নিজের একটি দারুন ক্যারিয়ারও গড়ে তোলা সম্ভব। আর এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ইনফরমেশন আমরা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরব। তবে তার আগে এটা জেনে নিন– মোবাইল এর ব্যবহার। অতএব, একটি মোবাইল ফোন সাধারণত কি কি কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়!

মোবাইল ফোনের ব্যবহার

মোবাইল ফোন দিয়ে যেসব কাজগুলো করা যায় বা যে সকল কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো —

  • ফোন কল ও এসএমএস পাঠানো।
  • ইন্টারনেট ব্রাউজিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার
  • বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি ও সংরক্ষণ
  • নিরাপত্তা বিষয়ক কাজকর্ম সম্পাদন
  • বিভিন্ন ফাইল শেয়ারিং বা অফিসের কাজকর্ম সম্পাদন
  • ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে জরুরী মিটিং সম্পাদন
  • মোবাইলকে নোটবুক বা রিমাইন্ডার হিসেবে ব্যবহার
  • ফটো অথবা ভিডিও এডিটিং
  • মিউজিক বা বিনোদনমূলক যেকোনো ভিডিও দেখা
  • ম্যাপ ও নেভিগেশন করা
  • গেম খেলা
  • অনলাইন শপিং
  • ক্যালেন্ডার এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেটআপ 
  • প্রতিরক্ষা ও সেটিং ব্যবস্থাপনা তৈরি সহ প্রভৃতি। 

এক কথায়– আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনলাইন এবং অফলাইনে যে সকল কাজকর্ম করার প্রয়োজন পড়ে তার সবটাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সম্পাদন করা পসিবল। 

আর আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় এবং মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের আরো কিছু এক্সট্রা মাধ্যম সম্পর্কে এ টু জেড জানেন,  তাহলে মোবাইল ফোনের উপকারি বিষয় এবং এর ব্যবহার বা ব্যবহারের পরিধি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি পড়া শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যান।

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার উপায়

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের রয়েছে একাধিক মাধ্যম। বিশেষ করে আপনি যদি স্মার্ট পদ্ধতিতে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান। দেখুন– সত্যি বলতে এখন অনলাইন ইনকামের বিষয়টি কারো কাছেই অজানা নয়। বলা যায় এখন প্রত্যেকটি মানুষই জেনে গিয়েছে যে, অনলাইন প্লাটফর্মে একাধিক ওয়েতে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। 

কিন্তু ইনকাম সম্পর্কে অনেকে জানলেও এমন বিশাল সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যারা এটা সম্পর্কে অবগত নন যে, কিভাবে বা কি কি কাজ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। তবে আপনি যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ফ্রিল্যান্সার থেরাপি ওয়েবসাইটের বেশ কিছু আর্টিকেল এখনই পড়তে পারেন। কারণ অনলাইন ইনকাম রিলেটেড বেশ কিছু পোস্ট আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে। 

তবে হ্যাঁ, এ পর্যায়েও মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় হিসেবে কোন কোন মাধ্যম ফাঁকা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরব। তো আসুন জেনে নেই মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় সমূহ। যথা –

  • মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে আয় 
  • মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় 
  • মোবাইলের মাধ্যমে ব্লগিং করে ইনকাম 
  • ফটোগ্রাফ অথবা ভিডিও তৈরি, ভিডিও এডিট এবং সেগুলো বিক্রি করে ইনকাম সেই সাথে– 
  • অনলাইন টিউশনি করিয়ে
  • বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করে
  • ফেসবুক ই কমার্স এর মাধ্যমে
  • মোবাইল দিয়ে ইনস্টাগ্রাম এর সাহায্যে
  • মাইক্রোওয়ার্ক ওয়েবসাইট থেকে
  • ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইট থেকে
  • বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করে বা ওয়েবসাইট ডিজাইন সার্ভিস প্রদান করে
  • ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে
  • কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে বা ডিজিটাল মার্কেটিংকে কেন্দ্র করে। 

তবে হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে যদি আরও সুস্পষ্ট ধারণা পেতে চান তাহলে নিচের অংশ টুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম

আপনার হাতে যদি একটি উন্নত মানের স্মার্ট ফোন থেকে থাকে তাহলে নিজেকে একজন প্রফেশনাল ইউটিউবার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করাতে পারেন। 

কেননা মোবাইল ব্যবহার করে ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট এবং আপলোড পর্যন্ত যে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করার প্রয়োজন পড়ে তার সবটাই করা পসিবল। এর জন্য মূলত আপনাকে ধারাবাহিকভাবে নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো করতে হবে, যথা —

  • প্রথমত– গুগল একাউন্ট দিয়ে লগইন করতে হবে ইউটিউবে। এর জন্য youtube.com লিখে প্রথমত সার্চ করুন এবং সাইন ইন করতে যে ইনফরমেশন গুলো প্রদান করার প্রয়োজন সেগুলো পূরণ করুন। 
  • দ্বিতীয়ত– নিজের পছন্দের ব্র্যান্ডের নামে অথবা আপনি যে বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে ভিডিও বানাতে চাচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করুন।
  • তৃতীয়ত– চ্যানেল ক্রিয়েট করার পরবর্তীতে চ্যানেলটি সাজিয়ে গুছিয়ে তুলুন এবং শুরু করুন ভিডিও আপলোড। 

পরবর্তী পর্যায়ে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন রুলস অনুযায়ী কাজ করুন এবং মনিটাইজেশন অন করার মাধ্যমে ইনকাম করুন টাকা। তবে হ্যাঁ, ইউটিউবে শুধুমাত্র যে মনিটাইজেশন করে ইনকাম করা যায় এমনটা নয়। 

ইউটিউবে টাকা ইনকামের জন্য রয়েছে একাধিক মাধ্যম বা কলাকৌশল। যেগুলো সম্পর্কে জানতে এখনই গুগলে সার্চ করতে পারেন অথবা এই সম্পর্কিত কোন ইউটিউব ভিডিও দেখে নিতে পারেন। তবে যে কাজগুলোই করা হোক না কেন, তার সবকিছুই আপনি আপনার কাছে থাকা শক্তিশালী স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম

আপনি যদি ক্রিয়েটিভ মাইন্ডের হয়ে থাকেন এবং আপনার খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে যেকোন বিষয়ে উপস্থাপন করার সক্ষমতা থেকে থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজটি করতে পারেন আপনি। বর্তমানে একজন কন্টেন্ট রাইটারের কদর অনেক বেশি। কেননা youtube ভিডিও থেকে শুরু করে গুগলের যেকোনো কার্যকলাপে মূলত কনটেন্ট অথবা স্ক্রিপ্ট লেখার প্রয়োজন পড়ে। 

আর আপনি যদি লেখালেখিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করার মাধ্যমে মাসে ইনকাম করতে পারেন সর্বনিম্ন ১৫০০০ টাকা। আর যদি ইংরেজি লেখালেখিতেও পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে মাসে সে আপনি সব মিলিয়ে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন ৩০ হাজার থেকে এক লক্ষ পর্যন্ত। অতএব মোবাইল দিয়ে কি কি করা যায় এ প্রশ্নের উত্তরে একটি পয়েন্ট অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে– মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়। 

মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের একটি দারুন ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন– 

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অর্থাৎ এসইএম
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • মোবাইল মার্কেটিং
  • ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ প্রভৃতি।

এছাড়াও আরো রয়েছে– ভিডিও এডিটিং, ভয়েজ আমার আর্টিস্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ফটো এডিটিং সহ প্রভৃতি কার্যাবলী। যে কাজগুলো একটি উন্নত মানের স্মার্টফোন ব্যবহার করে সম্পন্ন করা সম্ভব। 

আর তাই এই বিষয়গুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করেও মোবাইল ফোনের সাহায্যে অনলাইন ইনকামে নিয়ে যেতে হওয়া পসিবল। তো পাঠক বন্ধুরা– ইতিমধ্যে আমরা যে আলোচনাটুকু করেছি আশা করছি এটা সুস্পষ্ট যে মোবাইল ফোনের উপকারিতা কি এবং মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায় অথবা মোবাইলের ব্যবহার কি! 

তো আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় মোবাইল ফোনের পাঁচটি ব্যবহার লিখ, তাহলে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর ভাবে পাঁচটি লাইন মোবাইল এর ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখ করতে পারবেন, কি তাইতো? নিশ্চয়ই আপনার উত্তর হবে হ্যাঁ। তবে আসুন এবার আলোচনার শেষ পর্যায়ে মোবাইল ফোন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। যেগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

মোবাইল সম্পর্কে কিছু তথ্য

বিশ্বে যতগুলো সেরা আবিষ্কার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মোবাইল ফোন। যেটা বর্তমানে কম্পিউটারের জায়গা পর্যন্ত দখল করে নিচ্ছে। আশেপাশে তাকালে প্রত্যেকটি মানুষের হাতেই এই ডিভাইসটি চোখে পরে, কেননা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের হাতেই এখন মোবাইল ফোন রয়েছে। সেটা হোক বাটন ফোন অথবা স্মার্ট বা অ্যানড্রয়েড ফোন। 

তবে বেশিরভাগ মানুষের হাতেই এখন স্মার্টফোন রয়েছে। কেননা স্মার্ট মোবাইল এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভিডিও কল, ভয়েজ কল, টেক্সট মেসেজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মিডিয়া প্লেব্যাক, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ইন্সটল ও সেগুলোর ব্যবহার পর্যন্ত করা যায়। 

আর এই মোবাইল ফোনটি আবিষ্কার করেছেন মার্টিন কুপার। জানা গিয়েছে তার সবচেয়ে প্রিয় বই কমিক্স থেকে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোনের ডিজাইনের ধারণা নেওয়া হয়। আর পরবর্তীতে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় মোবাইল ফোন উন্নত হতে থাকে এবং তৈরি হয় আজকের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন, যেগুলো রকেটের গতিতে বিভিন্ন প্রকার কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম। 

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের আলোচনা এ পর্যন্তই। আপনি যদি ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের সাজেস্টকৃত লিঙ্কে ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায় সে সম্পর্কে জানতে চাইলেও এই রিলেটেড আরেকটি আর্টিকেল পড়তে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে । তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ। 

Facebook Comments

Leave a Reply

Top