You are here
Home > জরুরী টিপস > আইপি এড্রেস কি? আইপি এড্রেস কতপ্রকার ও কিভাবে কাজ করে?

আইপি এড্রেস কি? আইপি এড্রেস কতপ্রকার ও কিভাবে কাজ করে?

আইপি এড্রেস কি

 

কম্পিউটার, ট্যাব, মোবাইল, রাউটার ও প্রিন্টার ইত্যাদির অবস্থান সনাক্ত করার জন্য আমাদের কোনো একটি হাতিয়ারের প্রয়োজা পড়ে। আর এই হাতিয়ার হলো আইপি এড্রেস। যাকে আপাতদৃষ্টিতে এক ধরনের ইউনিক নাম্বারের মতো মনে হয়। একটা ডিভাইসে মাত্র একটি আইপি অ্যাড্রেস থাকে বলে যেকোনো ডিভাইস খুঁজে পেতে এই আইপি এড্রেসের প্রয়োজন পড়ে। সুতরাং আজ আমরা জানবো আইপি এড্রেস কি, আইপি এড্রেস দিয়ে কি কাজ করা যায়, IP Address বের করার নিয়ম, আইপি এড্রেস কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে! চলুন শুরু করা যাক!

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বেসিক কম্পিউটার জানা কতটা জরুরী? জানতে পড়ুনঃ

 

আইপি এড্রেস কত প্রকার?

আইপি এড্রেস বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। আইপি এড্রেস মূলত ৪ প্রকার। এগুলি হলোঃ-

  • প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস (private IP address)
  • পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস (public IP address)
  • স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস (static IP address)
  • ডায়নামিক আইপি অ্যাড্রেস (dynamic IP address)

 

এছাড়াও ভার্সন অনুসারে আইপি অ্যাড্রেসকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ-

IPv6 (আইপি ভর্সন ৬)

১২৮ বিটের একটি স্পেস হলো এই IPv6 (আইপি ভর্সন ৬) এড্রেস। যা তৈরি করেন জনপ্রিয় Internet Assigned Numbers Authority। বর্তমানে ইন্টারনেটে IPv4 ভার্সন থেকে IPv6 ভার্সনে রুপান্তরের ফলে এই IPv6 (আইপি ভর্সন ৬) আইপি সার্ভারের বেশ চল শুরু হয়েছে। Internet Engineering Task Force (IETF)  করে রূপান্তর এবং ব্যবহারের কাজটি করা হয় বলে এতে Dual Stack, Tunneling, Translation সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যখন কোনো একটি নেটওয়ার্কে একই সাথে IPv4 ও IPv6 Protocol ব্যবহার করা হয় তা Dual Stack IPv6 (আইপি ভর্সন ৬) এড্রেস হিসেবে বিবেচিত হয়। আবার যখন কোনো একটি নেটওয়ার্কে IPv6 এর প্যাকেটসমূহ ইজিলি IPv4 নেটওয়ার্কের ভিতর দিয়ে চলাচল করার সুযোগ পায় ঠিক তখনই সেটি হয়ে যায় Tunneling IPv6 (আইপি ভর্সন ৬) আইপি এড্রেস। IPv4 ও IPv6 Protocol যুক্ত  যেকোনো ডিভাইস অনেকসময় একসাথে ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। ঠিক তখনই NAT64 নামক একটি Translation পদ্ধতির দরকার পরে এবং IPv6 এ্যাড্রেস থেকে IPv4 এ্যাড্রেসে প্যাকেটসমূহকে অনুবাদ করে পাঠানো হয়। যা Translation IPv6 (আইপি ভর্সন ৬) এড্রেস হিসেবে পরিচিত!

IPv4 (আইপি ভার্সন ৪)

বিলুপ্ত হওয়ার পথে থাকা এই IPv6 (আইপি ভর্সন ৬) আইপি এড্রেসের পূর্নরূপ হলে Internet Protocol Version 4। ১৯৮৩ সালে এয়ারপ্যান্ট অর্থ্যাৎ Advanced Research Projects Agency Network কর্তৃক ৩২ বিট স্পেসের সাথে তৈরি হয়েছে। এটি ব্যবহার করে যেকোনো ব্যবহারকারী ইজিলি মিনিমাম ৫ বিলিয়ন অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে পারে৷ যদিও এই আইপি এড্রেস এখন খুব একটা ব্যবহার করতে চায় না। তবে বর্তমানে আমাদের ফোন ও কম্পিউটারে থাকা নেটওয়ার্কে এই আইপি এড্রেসই ব্যবহার করা হয়। 

 

আইপি এড্রেস কি?

ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি ডিভাইসের ঠিকানাকে আইপি এড্রেস বলে। যা তথ্য আদান প্রদানে সাধারানত ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভার্চুয়াল জগৎ থেকে আপনি যে তথ্য নিচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে এই আইপি এড্রেস তৈরি উদ্দেশ্যকে সিলেক্ট করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি এই আইপি এড্রেসকেই নিরাপত্তার হাতিয়ার হিসেবে ধরা হয়।

এই আইপি এড্রেস যদি না থাকতে তবে কম্পিউটার বা ওয়ার্কস্টেশনকে একটি স্বতন্ত্র অ্যাড্রেস প্রদান করা সম্ভব হতো না। তবে আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে যে, ইনটারনেটে বা নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা একসাথে দুটি কম্পিউটার বা ওয়ার্কস্টেশনের আইপি অ্যাড্রেস কিন্তু কখনোই একই হতে পারে না! এটি একেবারেি অসম্ভব। আর যদি এটি সম্ভব হতো তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা ডিভাইসগুলিকে কোনো টেকনিকেই বা এককভাবে চিহ্নিত করা সম্ভবই হতো না। তবে আইপি এড্রেস কয়েকধরণের হতে পারে! নিচে সে-সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

 

আইপি এড্রেস দিয়ে কি করা যায়?

আলাদা কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করার ক্ষেত্রে একটি আইপি নাম্বার ইউনিক এড্রেস হিসেবে কাজ করে। অর্থ্যাৎ কম্পিউটারের সঙ্গে আরেকটি কম্পিউটারের যোগাযোগ স্থাপন করতে গেলে যে ইউনিক এড্রেসটির দরকার পরে একটি আইপি নাম্বার সে ভুমিকাই পালন করে। বাইরের কোনো দেশের কারো সাথে আপনি ফোনে কথা করতে চান, সেক্ষেত্রে কল করার জন্য কিন্তু আপনার একটি নাম্বারের প্রয়োজন পড়বে। যা হবে পুরোপুরি ইউনিক। যেনো কারো নাম্বারের সাথে না মিলে! কেননা নাম্বার মিলে গেলে আপনি যে নির্দিষ্ট মানুষটির কাছে কল দিতে চাচ্ছেন সেই মানুষটির কাছে কল না গিয়ে নয়তো অন্য কারো কাছেও কল চলে যেতে পারে। আইপি এড্রেস ঠিক এই কাজটিই করছে! আশা করি আইপি এড্রেসের কাজ কি সেটা বুঝতে পেরেছেন।

 

IP Address বের করার নিয়ম কি কি?

মোবাইল বা কম্পিউটার ডিভাইস থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে গুগলে গিয়ে What is my IP সার্চ করুন। এতে আপনি মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ যেকোনো ডিভাইসের আইপি এড্রেস ইজিলি পেয়ে যাবেন এবং পরবর্তীতে তা ইজিলি ব্যবহার করতে পারবেন। 

 

আইপি এড্রেস কিভাবে কাজ করে?

মূলত একটি IP অ্যাড্রেস 32 বিট নিয়ে গঠিত হলেও এর ৪ বিটের এক-একটি থাকে। যা অকটে নামে পরিচিত। ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে গিয়ে আইপি এড্রেসকে মূলত কয়েকটি স্টেপ ফলো করতে হয়। যা ইন্টারনেট থেকে ডাটা অ্যাকসেস করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম।

একটি আইপি এড্রেসকে প্রতিটি হোস্টকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে সেসব হোস্টের আবার একটি করে ফিজিক্যাল এড্রেস তৈরি করে নিতে হয়। যা ঠিক করা ডিভাইস তৈরিকারক কোম্পানির দায়িত্বে পড়ে। ম্যাক এড্রেস বা ফিজিক্যাল এড্রেস তৈরি করার পর আবার একটি করে লজিক্যাল অ্যাড্রেস তৈরি করতে হয়। যা পরবর্তীতে ইন্টারনেট প্রটোকল আইপি অ্যাড্রেস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। যা নেটওয়ার্কে প্রতিটি কম্পিউটার একে অন্যের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আবার আপনি যদি লোকাল কম্পিউটার ডিভাইসকে আইপি এড্রেসের মাধ্যমে অন্য ডিভাইসে এড করতে চান তবে আপনাকে একটি কমন নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে অন্যান্য কম্পিউটার ডিভাইস গুলোর সাথে সংযুক্ত হতে হবে। এক্ষেত্রেও কিন্তু একটি আইপি এড্রেস সেইম কাজ করে থাকে। যা অপরপাশের কম্পিউটার ডিভাইসকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। সেই সাথে আপনি যদি যেকোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে চান, তবে আপনাকে এই আইপি এড্রেসের সাহায্যই নিতে হবে। আশা করি একটি আইপি এড্রেস কিভাবে কাজ করে বুঝতে পেরেছেন। 

 

ভার্চুয়াল জগৎ থেকে আপনি যে তথ্য নিচ্ছেন তার সাথে কিন্তু আইপি এড্রেসের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং এ-সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে নেওয়া উচিত। আশা করি আইপি এড্রেস সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি। পরবর্তী আর্টিকেল পেতে সাথে থাকুন এবং তথ্য প্রযুক্তির সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য এক নিমিষেই লুফে নিন।

Facebook Comments
Top