You are here
Home > জরুরী টিপস > মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম | মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো?

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম | মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো?

মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো

মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন এবং মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার বিস্তারিত নিয়ম জানতে আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সংক্রান্ত ভিডিও টিউটোরিয়াল আমরা যুক্ত করেছি এই পোস্টে।  সেগুলো দেখে দেখে আপনারা নিজেরাই নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল মোবাইল দিয়ে খুলে নিতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি প্রয়োজন?

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে – এই প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সহজ। আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে খুব সহজেই কয়েক ধাপেই খুলতে পারবেন ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব চ্যানেল খুলতে একটি জিমেইল বা গুগল একাউন্ট লাগে।

মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো

ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর চ্যানেল ভেরিফাই করে আরো ফিচার পেতে গেলে ফোন নাম্বার ব্যবহার করতে হয়। সেক্ষেত্রে বলা যায় ইউটিউব খুলতে লাগেঃ

  1. ইন্টারনেট সংযোগ
  2. জিমেইল অর্থাৎ গুগল একাউন্ট
  3. মোবাইল নাম্বার

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম | ভিডিও টিউটোরিয়াল

এই ভিডিও গুলো দেখে আপনারা মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম  জানতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো যারা এই প্রশ্ন করেন তারা এই ভিডিওগুলো দেখে নিজে নিজে ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে পারবেন মোবাইল দিয়ে।

সঠিক নিয়মে মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো জেনে নিন

যেভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন সঠিকভাবে

কিভাবে মোবাইল থেকে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? Step By Step

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম দেখুন ধাপে ধাপে।কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলে আমি এখানে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করছি – আপনি এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেন।

ধাপ – ১ঃ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্যে সর্ব প্রথম আপনি আপনার ব্রাউজার থেকে  m.youtube.com এ যান অথবা smart youtube tv apk এপপ্স টিভি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন আপনার মোবাইলে।

যাই হোক m.youtube.com এ ঢোকার পরে আপনার ব্রাউজার এর উপরে ডানপাশে কর্নারে একটা sign in অপশন পাবেন। এবং এখন থেকে আপনি আপনি আপনার পূর্বের তৈরী করা জিমেইল দিইয়ে লগইন করে নিন। আর জিমেইল না থাকলে আপনি এখানে নতুন করে জিমেইল খুলে নিতে হবে।

ধাপ – ২ঃ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ডান পাশের কর্নারে sign in বা ম্যান আইকন আইকনে ক্লিক করার পর আপনি আপনার যে জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান সেটি দিয়ে সাইন ইন করে ফেলুন। সাইন ইন করার পর আপনার দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

ধাপ – ৩ঃ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন হবার পরে আপনার সামনে ঠিক পূর্বের মত অর্থাৎ প্রথম ধাপেই যে পদ্ধতিটি বলা হয়েছে ঠিক সেই রকম করতে হবে।

আপনার জিমেইল আইকনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে কয়েকটি অপশন চলে আসবে সেখানে Your channel বা create a channel নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করতে হবে। এখন আপনার তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন হয়ে গেছে। বিস্তারিত জানতে নিচের ছবিটি ফলো করুন।

ধাপ – ৪ঃ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

চতুর্থ নম্বার ধাপটি হচ্ছে এবার আপনাকে একটি সুন্দর নতুন ইউনিক নাম সিলেক্ট করতে হবে। Your channel এ ক্লিক করার পর আপনার না সামনে নাম দেওয়ার জন্য দুইটি অপশন চলে আসবে। এখানে এই ২টি অপসন এর মাঝে আপনি চাইলে প্রথম টি সিলেক্ট করতে পারেন। এই টি সিলেট করলে আপনার জিমেইল এর নাম ই হবে আপনার ইউটিউব নাম। এছাড়া পরের টা আপনি চাইলে আপনার পছন্দের নাম এখানে লিখতে পারেন।

ধাপ – ৫ঃ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

আপনার চ্যানেলের নাম কি চয়েজ করার পর আপনার সামনে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার সর্বশেষ কাজটি চলে আসবে। নাম দেওয়ার পরই আপনার সামনে যে পেজটি ওপেন হবে সেখানে create নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করতে হবে। তো এখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল টি তৈরি হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে শুধুমাত্র ইউটিউব চ্যানেল সেটিং এবং কাস্টমাইজ করার নিয়ম।

ধাপ – ৬ঃ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

Create অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটা পেজ ওপেন হবে যেটাতে দুটো অপশন পাবেন একটি হচ্ছে customize channel আর অপরটি হচ্ছে YouTube studio।তো আপনি এই অপশন দুটোর মধ্যে প্রথমটি অর্থাৎ customize channel এ ক্লিক করে আপনি আপনার চ্যানেলের নাম, ডেসক্রিপশন ইত্যাদি এডিট করতে পারবে। YouTube studio এই অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার চ্যানেলের এনালাইসিস করতে পারবেন এবং ভিডিও আপলোড ইত্যাদি করতে পারবেন।

ধাপ – ৭ঃ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

আপনার চ্যানেলকে আরও সুন্দর করতে এবং আকর্ষিত করতে আপনার চ্যানেলের জন্য একটি কভার ফটো অ্যাড করতে হবে। তবে মনে রাখবেন আপনার কভার ফটো যেন 2560-1440 pixel সাইজের হয়।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম

আপনি অ্যাপের ভেতর থেকে আপনার চ্যানেলটিকে Verify করতে পারবেন না তাই আমাদের মোবাইল ফোনের ব্রাউসার ব্যবহার করতে হবে।

  1. সবার প্রথমে আপনার ফোনের ব্রাউসার খুলুন (Chrome ব্রাউসার হলে ভালো হয়)
  2. তার পর ওপরে ডান দিকে ৩টি ডট এর মধ্যে ক্লিক করুন তার পর > “Desktop site” এ ক্লিক করুন। যেরকম নিচে দেখতে পাচ্ছেন।
  3. তারপর ব্রাউসার URL bar-এর মধ্যে গিয়ে Youtube.com লিখে সার্চ দিন।
  4. তার পর আপনার সমানে ডেস্কটপ বা কম্পিউটার ভার্সনের মতো ইউটিউব খুলে যাবে। এরপর একদম ওপরে ডানদিকে “Sign in” বাটনে ক্লিক করে আপনার ওই একই গুগল একাউন্ট দিয়ে লগ ইন করেনিন।
  5.  লগ ইন হয়ে হওয়ার পর আরো একবার ওপরে ডানদিকের আইকনটিতে ক্লিক করুন এবং তার পর >”Settings” এ ক্লিক করুন।
  6. “Settings” এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে আরো একটি পেজ আসবে যেরকম নিচে দেখানো হয়েছে তারপর ক্লিক করুন > “Channel status and features”
  7. “Channel status and features” এ ক্লিক করার পর আরেকটি পেজ আসবে। সেখানে ওপরে বাঁ-দিকে দেখতে পাবেন “Verify” বলে একটি অপসন দেখাচ্ছে।
  8. আপনার চ্যানেলটি verify করতে > “Verify” বাটনে ক্লিক করুন।
  9. “Verify” বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সমানে আরেকটি পেজ আসবে যেখানে আপনার কান্ট্রি বা দেশ সিলেক্ট করতে হবে। এবং আপনি কোন পক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলটি Verify করবেন তা সিলেক্ট করতে হবে। আমরা এখানে সিলেক্ট করবো নিচের অর্থাৎ “Text me the verification code” এ অপশনটি। কারণ এটি সব থেকে সহজ পক্রিয়া।
  10. “Text me the verification code” অপশনটি সিলেক্ট করার পর আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। কারণ ওই মোবাইল নম্বরে একটি ৬ অক্ষরের Verification code আসবে যা আমাদের চ্যানেলটি Verify করার জন্য প্রয়োজন হবে। তো আপনার মোবাইল নম্বর প্রদান করে নিচে > “Submit” বাটনে ক্লিক করুন।
  11. “Submit” বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে আরেকটি পেজ আসবে এবং আপনার প্রদান করা নম্বরে একটি ৬ অক্ষরের কোড মেসেজের মাধ্যমে যাবে। আপনাকে ওই ৬ অক্ষরের “Verification code” টি নিচের বক্সে প্রদান করে “Submit’ বাটনে ক্লিক করতে হবে যেরকম নিচে দেখানো হয়েছে।
  12. এখন আপনার চ্যানেলটি সম্পূর্ণ ভাবে “Verified” হয়ে গেছে এবং আপনিও নিচে দেখানো ফোটোটির মতোই একটি পেজ দেখেত পাবেন। এবং যেখানে আগে আপনার চ্যানেলটি “Verify” দেখছিলো সেখান এখন “Verified” দেখাবে। এবার আপনার আরেকটু অল্প যে কাজটি বাকি থাকে তা হলো আপনার চ্যানেলটিকে সাজানো লোগো এবং চ্যানেল আর্ট বা কভার ফটো দিয়ে।

মোবাইল/পিসি দিয়ে যেভাবে প্রফেশনাল মানের ভিডিও বানাবেন

প্রোফেশনাল মানের ভিডিও হতে হলে কিছু শর্ত মানতে হয়। এসব শর্ত মেনে চলে ভিডিও বানালে ভিডিও প্রোফেশনাল হয়।  চলুন জেনে নিই শর্ত গুলো কি কি।

  • ভিডিওর সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো থাকতে হবে। এর জন্য আপনি মাইক্রোফোন ইউজ করতে পারেন।
  • উচ্চারন হতে হবে শুদ্ধ এবং বোধগাম্য। যদি আপনার উচ্চারন জনিত কিছু সমস্যা থাকে তাহলে আপনার ভিডিওর প্রোফেশনালিটি নষ্ট হবে। আপনার ভিডিও’র প্রতি আগ্রহ কমবে মানুষের। তাই উচ্চারন ঠিক রেখে ভিডিও বানাবেন।
  • সুন্দর এবং সহজ ভাবে আপনার আলচ্য বিষয়কে উপস্থাপন করতে হবে। তার জন্য ভিডিও তৈরির আগে অবশ্যই আপনাকে স্ক্রিপ্ট তৈরি করে রাখতে হবে।
  • কোলাহল মুক্ত জায়গায় ভিডিও তৈরি করতে হবে।
  • অনেকেই ভিডিও’র সামনে না এসে শুধু ভয়েস দিয়ে ভিডিও তৈরি করে। এটি করবেন না কারন ক্যামেরার সামনে এসে কিছু আলোচনা করলে মানুষের আপনার প্রতি আস্থা জন্মাবে যেটি ক্যামেরার পেছনে থাকলে জন্মায় না।
  • ভিডিওতে আপনার কন্টেন্ট রিলেটেড একটি ইনট্রো ব্যবহার করতে হবে।
  • ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড যদি সঠিকভাবে চেন্জ করতে পারেন তবেই  আর না হলে করবেন না। কালো বা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে ভিডিও করবেন। কারন ব্যাকগ্রাউন্ড খুবই সেনসিটিভ বিষয়।যদি ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক না থাকে তাহলে আপনার ভিডিও’র প্রোফেশনালিটি হারাবে।
  • ভিডিওতে সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করুন। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি হতে হবে।
  • ভিডিওতে কোনায় আপনার সকল সোশাল লিংক দিতে হবে যা স্লাইডের মতো একটির পর একটি আসবে।
  • এট্রাকটিভ এবং সুন্দর থাম্বনেইল ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইল বা পিসি তে সেরা থাম্বনেইল বানানোর ওয়েবসাইট canva.com।
  • এট্রাকটিভ এবং টপিক রিলেটেড টাইটেল দিতে হবে।
  • রিলেটেড সকল ট্যাগ ব্যাবহার করতে হবে।
  • আপনার ভিডিও রিলেটেড ছোটখাটো ডেসক্রিপশন দিবেন ডেসক্রিপশন box এ
  • উপযুক্ত আলোর মধ্যে ভিডিও তৈরি করতে। অতিরিক্ত আলো বা কম আলোয় ভিডিও শুট করবেন না।
  • যাবতীয় সোশাল লিংক অবশ্যই ডেসক্রিপশনে দিবেন।

উপরোক্ত সকল শর্ত মেনে আপনি সহজেই তৈরি করতে পাররেন প্রোফেশনাল মানের ভিডিও।

প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

  • অবশ্যই আপনার একটা প্রোফেশনাল লগো থাকতে হবে। যেটি আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে প্রেজেন্ট করে।
  • উন্নত মানের ব্যানার থাকতে হবে।
  • ট্রেইলার ভিডিওটা বানানোর ক্ষেত্রে সময় নিয়ে ভালোভাবে বানাবেন এটিই আপনার দর্শককে আপনার চ্যানেল সম্পর্কে বলবে। তাই এটির মানের দিকে জোর দিতে হবে।
  • ভালো ইনট্রো ভিডিও বানাতে হবে, সেটি অবশ্যই আপনার চ্যানেল টপিকের সাথে মিল রেখে বানাতে হবে।
  • সকল ধরনের সোশাল মিডিয়ায় একটিভ থাকতে হবে। শুধু ইউটিউব নিয়ে থাকলেই হবে না ইউটিউব থেকে আপনার দর্শকদের বলবেন ফেইসবুকে লাইক করতে ফেইসবুক থেকে বলবেন ইনস্টাগ্রামে ফলো করতে এভাবেই চারদিকে অডিয়েন্স বিল্ড করবেন এবং আপনার কোন ভিডিও পাবলিশ করলে সব সোশাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করবেন। 
  • চেষ্টা করবেন সকল অডিয়েন্সের কমেন্টের রিপ্লাই দিতে।
  • কনটেন্টের সংখ্যার দিকে না ভেবে মানের দিকে ভাবুন।
  • প্রথম দিকে ইনকামের চিন্তা মাথায় আনা যাবে না। ভালো কিছু করলে ভালো কিছু পাবেন অবশ্যই।
  • সাবসস্ক্রাইবার কেনা ভিউস কেনা থেকে বিরত থাকুন পারলে ঐ টাকা দিয়ে ইউটিউব এড দিন কিন্তু ধৈর্য আর ভালো কিছু করলে নিজে নিজেই গ্রো করবেন।
  • কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে, সঠিক ট্যাগ ইউস করে ভিডিও এসইও করুন। যত ভালোই কনটেন্ট বানান না কেন এসইও সকলের জন্যই দরকার।

এই ১০ টি প্রো-টিপস আপনার Youtube পথ চলাকে করবে সহজ।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুললে কিভাবে ইনকাম আসে?

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করলে কিভাবে টাকা আসে এই প্রশ্ন টি আপনাদের মনে আসতেই পারে তাই আমি আগেই এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেস্টা করব ইনসাআল্লাহ। প্রিয় পাঠক ইউটিউব চ্যানেল আপনাকে যেভাবে টাকা দেয় সেটা হলো –  উদাহরণ সরুপ, যেমন আপনি প্রতিষ্ঠানের কিংবা একটি ব্যক্তি মালিকানা দিন কোনো কাজ করলেন! আর সে ব্যক্তি কি করে আপনাকে কাজের মাধ্যমে টাকা দেয় কিংবা পেমেন্টে করে থাকে। 

যেমন, আপনি তার কাজ সম্পন্ন করে দিলেন আর সে আপনাকে কাজের বিনিময়ে টাকা দিলো। ঠিক একই ভাবে ইউটিউব ও আপনাকে কাজের বিনিময় টাকা দিবে তবে ইউটিউবরে নিয়ম টা একটু ভিন্ন রকম। ইউটিউব মানুষের মতো কাজের বিনিময় টাকা দেয় না ইউটিউব টাকা দিয়ে থাকে তাদের কিছু নিয়ম কিংবা রুলস এর মাধ্যমে।

যেমন, আপনি নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতেছেন কিন্তু এখানে একটি মজার বিষয় হলো আপনি উইইটউবে ভিডিও ছাড়তেছেন এর বিনিময় কিন্তু ইউটিউব আপনাকে টাকা দিবে না । যেমন টা আপনি কোনো কোম্পানির কিংবা ব্যক্তির কাজ করলে তারা তো কাজ করলেই টাকা দিয়ে দেয় কিন্তু এখানে পুরাই ভিন্ন রকম ভাবে ইউটিউব আপনাকে টাকা দিবে।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলা সম্পর্কিত কিছু বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ

ইউটিউব চ্যানেল ডেসক্রিপশন কি ?

উত্তরঃ এটা হলো একটি ইউটিউব চ্যানেল এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ যার মাধ্যমে user-রা আপনার চ্যানেল এর বিষয়ে সংক্ষেপে জেনেনিতে পারে। YouTube SEO-এর ক্ষেত্রেও এই ডেসক্রিপশন অংশ অনেক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ।

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন কি ?

উত্তরঃ চ্যানেল ভেরিভিকেশন এর ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে সেই নম্বর ভেরিফাই করতে হয়। এই প্রক্রিয়ার দ্বারা আপনি নিজের চ্যানেলকে একটি official channel-এর স্টেটাস দিতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা লাগবে ?

উত্তরঃ YouTube হলো Google-এর একটি পরিষেবা যেটা সম্পূর্ণ। তাই, এখানে ভিডিও দেখা এবং চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করা সবটাই সম্পূর্ণ ফ্রি।

ইউটিউবিং করতে DSLR লাগে?

উত্তরঃ বর্তমানে এমন স্মার্টফোন রয়েছে যেগুলো দিয়ে ভালো মানের ভিডিও শুট করা যায় তাই শুরুতেই DSLR এর কোন প্রয়োজন নেই।

মোবাইলে ইউটিউবিং সম্ভব?

উত্তরঃ মোবাইলে যেহুতু ভালো মানের ভিডিও তৈরি করা যায় এবং এডিটিং এর জন্য ভালো সফটওয়ার ও রয়েছে তাই মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করা যায়। কিন্তু চ্যানেল কাস্টমাইজেশন মোবাইল দিয়ে করলে একটু কষ্ট হবে কিন্তু করা যাবে না এমন না।

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন কি ?

উত্তরঃ ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন হলো ইউটিউবের একটি পরিষেবা যার দ্বারা creators-রা নিজের আপলোড করা ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পান।

ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

উত্তরঃ  ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো Google adsence কিন্তু বর্তমানে আরও অনেক ভাবেই আয় করা যায় ইউটিউব থেকে যেমন:- Affiliate marketing, sponsorship ইত্যাদি। তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

উত্তরঃ  তা নির্ভর করবে আপনার কনটেন্ট টপিক, অডিয়েন্স এর উপর। কিন্তু ইউটিউব এমন একটি প্ল্যটফর্ম যেখান থেকে কোটি টাকা আয়ের সুযোগ আছে। এবং মানুষ আয় করছেও।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ

আপনারা যারা মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলবো এবং মোবাইল দিয়ে টিভি চ্যানেল খোলার নিয়ম জানতে চান।  আশা করি আজকের এই পোস্ট টি পড়ে আপনারা সেটা শিখে নিয়েছেন। মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জানতে আজকের এই পোস্টটি যথেষ্ট বলে আমরা মনে করি।  মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন তার জন্য আমরা বেশ কিছু ভিডিও যুক্ত করে দিয়েছি।  এরপরও মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কিত কিছু জানার থাকলে আপনারা কমেন্ট  করতে পারেন। 

Facebook Comments
Top