এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়মঃ বর্তমানে এখন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে একের অধিক সিম রয়েছে। কেননা বর্তমানে সময়টা এতটাই আধুনিক যে মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে সিমের দরকার পড়ে। কখনো কখনো এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে বা এক সিম থেকে অন্য সিমে টাকা পাঠানোর প্রয়োজন পরে আমাদের। আর তখন স্বাভাবিকভাবেই মাথায় প্রশ্ন আসে— এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম কি?
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের প্রবন্ধে। আজ আমরা আপনাদেরকে জানাবো— কিভাবে এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানো যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত। কেননা আপনি নিশ্চয়ই এটা বুঝতে পারবেন মোবাইল আর অন্য মোবাইলের মধ্যে পার্থক্য অন্য কিছু নয়, শুধুমাত্র সিমে। কেননা প্রত্যেকটি সিমের মাধ্যমেই আমরা আমাদের টাকা আদান প্রদান করে থাকি। মোবাইল বলা যায় একটা শুধুমাত্র বাক্স, যেখানে সিম রাখা হয়।
তাই আজ এক সিম থেকে অন্য সিমে টাকা ট্রান্সফারের সকল প্রকার নিয়ম ও পদ্ধতি গুলো আমরা আপনাদেরকে এ টু জেড খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় জানাবো। তাই আপনারা যারা রবি এক সিম থেকে অন্য সিমে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে চান, জিপি থেকে অন্য অপারেটরে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার কথা ভাবছেন, বাংলালিংক থেকে অন্য অপারেটরে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করবেন ভাবছেন বা টেলিটক থেকে অন্য কোন সিমে টাকা আদান-প্রদানের কথা চিন্তা করছেন তাদেরকে বলব— আমাদের আজকের এই আর্টিকেল স্কিপ না করে সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে আসুন জেনে নেই এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু:
- জিপি সিম থেকে টাকা ট্রান্সফার
- বাংলালিংক সিমে থেকে টাকা ট্রান্সফার
- এয়ারটেল সিম থেকে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম
- রবি সিম থেকে টাকা ট্রান্সফার করার পদ্ধতি
- টেলিটক সিমে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম
- সিম থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার পদ্ধতি
এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আমাদের মাঝে বেশিরভাগ মানুষ এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে জানিনা। তাই কখনো কখনো কিছুটা ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। মনে করুন, এমন কোথাও আপনি অবস্থান করছেন যেখানে আপনার ফোনের ব্যালেন্স একদম শেষ হয়ে গেছে, অথবা এমন কোন জায়গায় অবস্থান করছেন যেখানে শুধুমাত্র আপনি একটি মাধ্যম থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
কিন্তু আপনার যে সিমে টাকা রয়েছে সেটা থেকে ট্রান্সফারের পদ্ধতি আপনি জানেন না। তাই অনেকেই সঠিক নিয়ম না জানার কারণে এক সিম থেকে অন্য সিমে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ঝামেলার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। আর এই ঝামেলা কে দূর করতে হলে আপনাকে অবশ্যই, “এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম” সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাহলে আসুন বেশ কয়েকটি ধাপে ধাপে আমরা আলাদাভাবে সেই নিয়মগুলো জেনে নেই।
এক সিম থেকে অন্য সিমে টাকা ট্রান্সফার
দেখুন– আপনি যদি বিকাশ, নগদ, রকেট থেকে টাকা অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার করতে চান সেক্ষেত্রে মূলত আপনাকে আলাদা নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তবে এ পর্যায়ে আমরা বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক এবং গ্রামীন সিম থেকে অন্য কোন মোবাইলের অন্য কোন সিমে টাকা পাঠানোর নিয়ম গুলো প্রথমত আলোচনা করব।
সেই সাথে রবি টাকা ট্রান্সফার কোড, গ্রামীন সিম থেকে টাকা ট্রান্সফার কোড, এয়ারটেল সিম থেকে টাকা ট্রান্সফারের কোড, টেলিটক সিম থেকে টাকা ট্রান্সফারের কোড সমূহ তুলে ধরব আপনাদের সুবিধার জন্য। তাহলে আসুন এবার আমাদের মূল আলোচনা-পর্ব শুরু করি।
এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা ট্রান্সফার পদ্ধতি
আপনি যদি এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা ট্রান্সফার করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ধাপে ধাপে কয়েকটি কাজ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ নিচে মাইজিপির ব্যালেন্স ট্রান্সফারের নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো।
ব্যালেন্স ট্রান্সফারের নিয়মরেজিস্ট্রেশন করার জন্য গ্রাহককে *121*1500# ডায়াল করে ১ প্রেস করতে হবে। গ্রাহক মাইজিপি অ্যাপ থেকেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার জন্য গ্রাহককে *121*1500# ডায়াল করে ২ প্রেস করতে হবে এবং প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। মাইজিপি অ্যাপ থেকেও ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যাবে।পিন নম্বর পরিবর্তন করতে হলে: *121*1500# ডায়াল করুন তারপর ৩ প্রেস করুন এবং প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসরণ করুন।অফারটি পেতে হলে গ্রাহককে ইতিমধ্যে ৬ মাসের অধিক সময় ধরে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে অথবা একবারে ৩০০ টাকা বা তার অধিক রিচার্জ করতে হবে।রিচার্জ লিমিট: ন্যূনতম ১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা।যে কয়বার রিচার্জ করা যাবে: প্রতি মাসে ১০ বার রিচার্জ করা যাবে।শুধুমাত্র প্রিপেইড সাবস্ক্রাইবারগণ অফারটি উপভোগ করতে পারবেন এবং যেকোনো প্রিপেইড/পোস্টপেইড গ্রাহককে ব্যালেন্স পাঠাতে পারবেন।এছাড়া অন্য কোনো সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য নয়। গ্রাহক অন্য কোনো গ্রাহককে ৫০ টাকা পাঠালে উক্ত গ্রাহক সম্পূর্ণ ৫০ টাকাই রিসিভ করতে পারবেন। |
বিষয়টি আরো ভালোভাবে বুঝতে আমাদের সাজেস্ট কৃত নিম্নে উল্লেখিত youtube ভিডিওটি দেখে ফেলতে পারেন।
বাংলালিংক সিম থেকে টাকা ট্রান্সফারের নিয়ম
বাংলালিংক সিম থেকে টাকা ট্রান্সফারের জন্য কিছু নিয়ম এবং শর্তাবলী রয়েছে। তাই একজন গ্রাহক হিসেবে অবশ্যই আপনাকে সেগুলো মেনে চলতে হবে। এখন জীবন অনেক সহজ হয়েছে আর তাই বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে নিয়ে এসেছে ব্যালেন্স ট্রান্সফার সার্ভিস সিস্টেম। তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই banglalink ব্যবহারকারী হয়ে বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে নিজের ফোনের ব্যালেন্স খুব সহজেই পাঠাতে পারবেন। তাহলে আসুন জেনে নেই বাংলালিংক ব্যালেন্স ট্রান্সফারের নিয়ম সমূহ কি কি সে সম্পর্কে।
প্রথমত: বাংলালিংক ব্যালেন্স ট্রান্সফারের জন্য ডায়াল করুন *1000#এই কোড এবং 1 , লিখে সেন্ট বাটন এ ক্লিক করুন।
দ্বিতীয়তঃ আপনার ফোনে একটি কোড আসলে সেটা নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।
তৃতীয়ত: আবারও banglalink ব্যালেন্স ট্রান্সফারের কোড লিখে লাস্ট ডিজিট 1 লিখে সেন্ট বাটনে ক্লিক করুন।
পঞ্চমত: সংগৃহীত সেই পূর্বের কোডটি বসিয়ে পুনরায় সেন্ড করুন।
ষষ্ঠমত: এবার লিখে ফেলুন টাকার পরিমান। এক্ষেত্রে আপনি 10 থেকে 100 টাকা পর্যন্ত এক সিম থেকে অন্য সিমে ব্যালেন্স ট্রান্সফার হিসেবে পাঠাতে পারবেন।
তাহলে আর দেরি কেন? আপনি আপনার প্রয়োজনমতো শুধুমাত্র এই নিয়ম অনুসরণ করে banglalink সিম থেকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করুন এতটা সহজে। চাইলে নিচের ইমেজ টি আবারও মনোযোগ সহকারে দেখে নিতে পারেন।
বাংলালিংক সিমে টাকা পাঠানোর শর্তাবলী:
আপনি যদি বাংলালিংক সিম থেকে টাকা পাঠাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিম্ন বর্ণিত শর্তগুলো মেনে চলতে হবে। যথা:
- ব্যালেন্স ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহৃত সিমটি কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য শুকরিয়া থাকতে হবে।
- বাংলালিংক ব্যালেন্স ট্রান্সফার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পরবর্তীতে ৩০ মিনিটের জন্য কোন ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে পারবেন না। অর্থাৎ ৩০ মিনিট পর পরবর্তী balance রিসিভ বা ট্রান্সফারের চেষ্টা করতে হবে আপনাকে।
- আপনার ইমারজেন্সি ব্যালেন্স বকেয়া থাকলে banglalink ব্যালেন্স ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন না।
- প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা এবং মাসে এক হাজার টাকা ব্যালেন্স ট্রান্সফার হিসেবে পাঠাতে পারবেন অন্য কোন সিমে।
- বাংলালিংক ব্যালেন্স ট্রান্সফার কোড ভুলে গেলে *1000# লিখে 3 চাপতে হবে আপনাকে এবং পুনরায় ব্যালেন্স ট্রান্সফার কোড সংগ্রহ করতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের শেষ চারটি সংখ্যা পাঠাতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে আপনি আপনার পিন কোডটি সংগ্রহ করার সুযোগ পাবেন।
গ্রামীন সিম থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
জিপি সিম অর্থাৎ গ্রামীন সিম থেকে আপনি খুব সহজেই ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে পারবেন। আমাদের মাঝে কিছু মানুষ রয়েছে যারা ভুলক্রমে কখনো কখনো নিজের বিকাশ, রকেট বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে ফোনে ফ্লেক্সিলোড করার সময় ভুলবশত 200 টাকা রিচার্জ করতে গিয়ে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করে ফেলেন। আর তাই কখনো যদি গ্রামীন সিমে আপনি এমনটা করে থাকেন তাহলে গ্রামীন সিম থেকে অন্য ফোনে বা অন্য কোন সিমে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি হিসেবে আপনাকে যে সকল বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা এ পর্যায়ে আলোচনা করব। তাহলে আসুন ধাপে ধাপে তার জেনে নেই।
আপনি যদি জিপি সিম থেকে টাকা ট্রান্সফার করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে
প্রথমত: গ্রামীণফোন থেকে ডায়লগ শুনে গিয়ে ডায়াল করতে হবে *121*1500# এবং পরবর্তীতে চারটি অপশন দেখতে পাবেন আপনি। সেগুলো হলো:
- রেজিস্ট্রেশন
- ট্রান্সফার ব্যালেন্স
- চেঞ্জ কারেন্ট পিন
- আপনি কত টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন তার সীমা এখানে হতে জানতে পারবেন।
অর্থাৎ গ্রামীণফোন থেকে 121*1500#ডায়াল করার পর আপনাকে 4 অপশনে যেতে হবে.
দ্বিতীয়ত: আপনার ব্যালেন্স টাকা ট্রান্সফার করার জন্য রেজিস্ট্রেশন অপশন সিলেক্ট করুন এবং পরবর্তী মেসেজের মাধ্যমে একটি পিন নাম্বার সংরক্ষণ করুন।
তৃতীয়ত: আবারো ট্রান্সফার ব্যালেন্স সিলেক্ট করুন এবং যে নম্বরে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে চান সেই নম্বরটি লিখুন।
চতুর্থত: যত টাকা পাঠাতে চান সেই অ্যামাউন্ট লিখুন পরবর্তীতে তা ট্রান্সফার করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি গ্রামীন সিমের একজন গ্রাহক হিসেবে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১০ বার ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ব্যালেন্স ট্রান্সফারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
জিপি ব্যালেন্স ট্রান্সফারের শর্তাবলী
আপনি যদি গ্রামীন সিম থেকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে চান সে ক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু শর্তাবলী মেনে চলতে হবে। সেগুলো হলো:
- আপনার প্রিপেইড সিম ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে ব্যবহার করতে হবে।
- আপনি ৩০০ টাকার একক রিচার্জ করে থাকলে এ সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন।
- আপনি প্রতি মাসে ১০ বার পর্যন্ত জিপি ব্যালেন্স ট্রান্সফারের সুবিধা পাবেন এর অধিক নয়
- ব্যালেন্স ট্রান্সফারের জন্য পিন কোড অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
রবি সিম থেকে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম
রবি সিম থেকে টাকা ট্রান্সফারের পদ্ধতি অনেকটাই সহজ। তাই রবি সিম থেকে টাকা অন্য কোন মোবাইলে পাঠানোর জন্য আপনি যা যা করবেন,
প্রথমত: ডায়াল করুন *140*6*2#
দ্বিতীয়তঃ রবি সিম থেকে আপনি যে পরিমাণ ব্যালেন্স পাঠাতে চান তার পরিমাণ লিখুন।
তৃতীয়ত: রবি সিম থেকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার শেষ ধাপে আপনি যে নাম্বারে ব্যালেন্স পাঠাতে চান সেটি লিখুন
চতুর্থত: সেন্ড অপশন চাপুন।
রবি সিম থেকে আপনার ব্যালেন্স ট্রান্সফার হয়ে যাবে আর লাস্ট পর্যায়ে আপনার কাছে ব্যালেন্স ট্রান্সফারের একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা আসবে।
নিচের ইমেজটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন
রবি সিম থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর শর্তাবলী:
আপনি যদি রবি সিম থেকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে চান তাহলে শর্ত হিসেবে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো হলো:
- প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ট্রান্সফার করার সুযোগ পাবেন।
- একক লেনদেন সর্বনিম্ন ১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত করতে পারবেন
- প্রতিমাসে এক হাজার টাকা সর্বোচ্চ ট্রান্সফার করার সুযোগ পাবেন।
তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনি আপনার রবি সিম থেকে অন্য কোন মোবাইলে টাকা সেন্ড করুন।
টেলিটক সিমে টাকা ট্রান্সফার পদ্ধতি
টেলিটক সিম থেকে টাকা ট্রান্সফারের জন্য ধাপে ধাপে আপনাকে নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো করতে হবে।
প্রথমত: আপনাকে ডায়াল করতে হবে *124*
দ্বিতীয়তঃ আপনার পিন নম্বরটি বসাতে হবে
তৃতীয়ত: আপনি যত টাকা ট্রান্সফার করতে চাচ্ছেন সেই অ্যামাউন্ট বসাতে হবে।
চতুর্থত: প্রাপকের ফোন নাম্বার অর্থাৎ আপনি যে নাম্বারে টাকা ট্রান্সফার করবেন সেই নম্বরটি বসাতে হবে।
পঞ্চমত: সেন্ড অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ব্যাস, তাহলেই আপনার টাকা ট্রান্সফার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে এবং আপনার কাছে একে নিশ্চিত বার্তা পৌঁছানো হবে সঙ্গে সঙ্গে।
টেলিটক সিম থেকে টাকা ট্রান্সফারের শর্তাবলী:
টেলিটক সিম থেকে আপনি যদি অন্য কোন সিমে টাকা ট্রান্সফার করতে চান সে ক্ষেত্রেও বাকি সিম অপারেটর গুলোর মত আপনাকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। কেননা –
- টেলিটক সিম অপারেটর থেকে আপনি সর্বোচ্চ ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার সুযোগ পাবেন
- দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন
- দৈনিক সর্বোচ্চ ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে পারবেন ১০ বার।
- মাসে টেলিটক সিম থেকে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা।
তাই অবশ্যই এ বিষয়গুলো টাকা ট্রান্সফার করার সময় মাথায় রাখুন এবং ঠিকঠাক এমাউন্ট বসান।
এয়ারটেল সিম থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
এয়ারটেল সিম থেকে আপনি টাকা পাঠাতে চাইলে আপনাকে ধাপে ধাপে নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো করতে হবে। যথা:
✓ আপনি আপনার ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখুন BTR XXXX (PIN – ঐচ্ছিক) 016XXXXXXXX (গ্রাহকের মোবাইল নম্বার) ১০০ (টাকার পরিমাণ) এবং পাঠিয়ে দিন ১০০০ নম্বারে।
আর এক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার পিন নাম্বার ভুলে যান তাহলে পিন নাম্বারের জন্য রিকোয়েস্ট করতে টাইপ করুন PIN এবং এসএমএস পাঠিয়ে দিন 1000 এই নম্বরে. সে সাথে বিষয়টি আরো ভালোভাবে জানতে নিচের ইমেজটি মনোযোগ দেখুন এবং উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করুন।
টাকা ট্রান্সফার/এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানো
টাকা ট্রান্সফার সার্ভিসিং সিস্টেম খুবই প্রয়োজনীয় এবং গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। তবে এ সম্পর্কে না জানার কারণে অনেকেই রয়েছেন যারা ভুলবশত বেশ মোটামুটি টাকা ফ্লেক্সি দেওয়া সত্ত্বেও সেটা নিয়ে চিন্তা করেন এবং দীর্ঘদিন যাবত ওই টাকাগুলো এদিক সেদিক করেই খরচ করে ফেলেন। তবে আপনি আমাদের উল্লেখিত এই সিস্টেমগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার সিমের টাকা অর্থাৎ ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে পারবেন।
শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি মোবাইল থেকে আপনি বিভিন্ন অ্যাপস ইনস্টল করার মাধ্যমেও ব্যালেন্স ট্রান্সফার সিস্টেমকে চালু করে নিতে পারবেন। ওই অ্যাপসগুলোর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই শুধুমাত্র তাদের দেওয়া কয়েকটি স্টেপ ঠিকঠাক অনুসরণ করে মুহূর্তের মধ্যেই পাঠাতে পারবেন টাকা। তাই দেরি না করে এখনই আপনি প্রবেশ করুন আপনার গুগল প্লে স্টোরে। সার্চ করুন টাকা ট্রান্সফার এপপ্স অথবা টাকা ট্রান্সফার লিখে।
তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই রিভিউ এবং আরও বিষয়বস্তু দেখে আপনি অ্যাপস ইন্সটল করবেন। কেননা অ্যাপস এর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ভুয়া এপ্স গুলো একই রকম হয়ে থাকে। তাই কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত এবং কোনটা ইন্সটল করার মাধ্যমে আপনি আপনার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন অবশ্যই এ বিষয়টা যাচাই-বাছাই করে নেওয়াটা জরুরি।
পরিশেষে: তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম অর্থাৎ টাকা ট্রান্সফারের নিয়ম সম্পর্কিত আমাদের আলোচনা পর্ব এখানেই শেষ করছি। অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আপনারা আমাদের দেওয়া ইন্সট্রাকশন অনুসরণ করে আপনার এক সিম থেকে অন্য সিমে টাকা পাঠাতে পারছেন কিনা।
যদি এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানার পরবর্তীতেও কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানান। নিয়মিত এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট এর নোটিফিকেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।