ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল হবে তা জানার জন্য আজকের এই পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আমরা এই পোস্টে আরো আলোচনা করেছি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ ডেস্কটপ ভালো হবে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল হবে সেটাও আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই পোষ্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ল্যাপটপ টি বাছাই করে নিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কেন ব্যবহার করবেন
বর্তমানে আমাদের দেশে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। আর বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররাই ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন ল্যাপটপ ব্যবহার করে।ল্যাপটপ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করার সবচেয়ে সহজতম উপায়। যার কারণে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে অনেকেই একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে চাই।বর্তমান বাজারে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেশকিছু ভালো ল্যাপটপ রয়েছে যে ল্যাপটপগুলো আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো আপনারা কোন ধরনের অসুবিধা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন।
কম দামে ভালো ল্যাপটপ ২০২৩ – ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কেনার আগে যা জানা জরুরি
সাধারণ কাজের জন্য আপনি যেকোন ল্যাপটপ কিনতে পারেন। কিন্তু আউটসোর্সিং জন্য ল্যাপটপ কিনতে হলে,আপনাকে কিছু দিক নির্দেশনা মানতে হবে। কারণ সব ধরনের ল্যাপটপ দিয়ে আউটসোর্সিং এর কাজ করা যায় না। আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য আপনাকে ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে হবে। নিচের বিষয়গুলো মাথায় রেখে অবশ্যই আউটসোর্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কিনবেন।
মাদারবোর্ড
ল্যাপটপ কেনার আগে প্রথমে মাদারবোর্ড চেক করতে হবে। মাদারবোর্ড হলো ল্যাপটপের প্রাণ। যদি আপনার ল্যাপটপের মাদারবোর্ড ভাল কনফিগারেশন হয়। তাহলে অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রসেসর
প্রসেসর হচ্ছে আপনার ল্যাপটপের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। সর্বনিম্ন core i3 প্রসেসর এর ল্যাপটপ কিনবো। এছাড়াও আরো আপডেট প্রজন্মের প্রসেসর কিনলে আরো ভালো হবে। আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে হলে আপনার ভালো মানের প্রসেসর কিনতে হবে।
এসএসডি
ল্যাপটপ একটি নতুন ফিচার এসএসডি। এসএসডি র্যাম হার্ডডিক্স এর কাজ করবে। এছাড়াও এসএসডি লাগানো থাকলে আপনার ল্যাপটপ অনেকগুলি স্পিড পাবেন।
হার্ডডিক্স
হার্ডডিক্স সোজা কথায় মেমোরি কে বোঝায়। আপনার ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক অবশ্যই 500gb বেশি হতে হবে। কারণ আপনি হার্ডডিক্স এর বিভিন্ন ধরনের ফাইল রাখবে। আউটসোর্সিং এর জন্য আপনার বিভিন্ন রকম ভিডিও রাখার প্রয়োজন হয়।
র্যাম
আপনার ল্যাপটপকে কত দ্রুত চলে এটা নির্ভর করে রামের উপরে। সর্বনিম্ন 4 জিবি র্যাম আছে এমন ল্যাপটপ কিনবেন। যত বেশি হবে আপনার ল্যাপটপের স্প্রিট তত বেশি হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ ভালো হবে নাকি ডেক্সটপ
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কম বাজেটের মধ্যে কোন ল্যাপটপ ভাল হবে
সেরা ল্যাপটপ যেভাবে কিনবেন
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো (12 টি সেরা ল্যাপটপ)
আউটসোর্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল ও ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এটা নির্ভর করে আপনার কাজের ওপর। আউটসোর্সিং জগতে অনেক সেক্টর রয়েছে। আপনি যে সেক্টরে কাজ করবেন, সেই কাজ অনুযায়ী ল্যাপটপ কিনতে হবে। আপনি যদি সাধারন ব্লগিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করেন। এক্ষেত্রে একটা সাধারণ ল্যাপটপ হলেই চলবে। কারণ ব্লগিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে বেশি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে না। এইজন্য ব্লগিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য একটি সাধারণ ল্যাপটপ হলে চলবে।
কিন্তু আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখতে চান। এখন সাধারন ল্যাপটপ দিয়ে কাজ চলবে না। আপনাকে ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে হবে। কারণ আপনি যখন ভিডিও এডিটিং করবেন, তখন সাধারণ ল্যাপটপের স্পীড ও কনফিগারেশন ভালো থাকতে হবে। তাহলে আপনি সেই ল্যাপটপ দিয়ে কাজ ভালোভাবে সম্পূর্ণ করতে পারবেন। তাই ভালো ল্যাপটপ কিনতে হবে।
তাই আজকে আপনাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ,গ্রাফিক্সের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো,কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল,আউটসোর্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল ও ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। চলুন আজকের আলোচনার মূল বিষয়ের দিকে চলে যাই।
1. Apple MacBook Pro – এপেল লেপটপ এর দাম ২০২৩
ফ্রিল্যান্সাররা যারা ভারী ফটো বা ভিডিও এডিটিং করেন, তাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন MacBook Pro বিলের সাথে মানানসই হতে পারে। একটি অত্যন্ত দ্রুত গ্রাফিক্স প্রসেসর এবং ম্যাকবুক এয়ারের চেয়েও দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ সহ, এটি অবশ্যই ডিজাইনার, ফটোগ্রাফার, ডিজিটাল শিল্পী, ভিডিওগ্রাফার, ভিডিও এডিটর, ভিজ্যুয়াল আর্ট বিশেষজ্ঞ বা অন্যান্য তীব্র গ্রাফিকের সাথে জড়িত ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ল্যাপটপগুলির মধ্যে একটি।
2. Microsoft Surface Laptop
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ল্যাপটপ, ২০১৩ সালে প্রথম আত্মপ্রকাশের পর থেকে সারফেসটি অনেক দূর এগিয়েছে। নতুন পুনরাবৃত্তিগুলি হালকা, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ এবং আগের চেয়ে ভাল স্ক্রিন রেজোলিউশন রয়েছে।
এই বিশেষ মডেলটি আরও বাজেট-বান্ধব কিন্তু একটি টাচ স্ক্রিন অন্তর্ভুক্ত করে না। এটি বলেছে, এটি উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য পোর্টেবিলিটি এবং পূর্ণ-পরিষেবা ক্ষমতার একটি ভাল মিশ্রণের সাথে একটি মধ্যম মূল্যের পয়েন্টে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ল্যাপটপের জন্য চলছে।
3. Lenovo Chromebook Flex 5
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য যাদের শুধুমাত্র একটি ওয়ার্ড প্রসেসর, স্প্রেডশীট ক্ষমতা, ইমেল এবং ওয়েব ব্রাউজিংয়ের মতো মৌলিক ফাংশনগুলির প্রয়োজন, Chromebook কে হারানো সত্যিই কঠিন। আমরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছি, ফ্রিল্যান্স লেখক!
উপলব্ধ সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল ল্যাপটপগুলির মধ্যে একটি, ক্রোমবুকগুলি আপনার Google অ্যাকাউন্টের সাথে একীভূত করে G-Suite-এ সম্পূর্ণ অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়। একটি বোনাস হিসাবে, Chromebook দুটি USB-C পোর্ট এবং একটি USB-A পোর্ট অফার করে, যাতে আপনি প্রযুক্তির সাম্প্রতিকতম সাথে আপনার সমস্ত ডিভাইস নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারেন।
4. Acer Aspire 5
Acer কখনও কখনও খারাপ র্যাপ পায়, কিন্তু আমি আপনাকে বলি কেন Aspire 5 ফ্রিল্যান্সারদের তালিকার জন্য আমাদের সেরা ল্যাপটপ তৈরি করেছে। এই লাইটওয়েট মেশিনে একটি শালীন প্রসেসর, ভাল ব্যাটারি লাইফ এবং একটি ভাল ডিসপ্লে রয়েছে এবং সবই $400 এর নিচে। ভিজ্যুয়াল শিল্পীরা এটিকে উপযুক্ত বলে মনে করবেন না, তবে অন্যান্য ধরণের কাজের জন্য, এই মেশিনটি কাজটি সম্পন্ন করে।
5. HP Envy 13 – hp ল্যাপটপ এর দাম ২০২৩
আমাদের দেশে এইচপি কোম্পানির ল্যাপটপ অনেক জনপ্রিয়। কারণ এই ল্যাপটপের পারফরমেন্স অনেক ভাল। দাম অনেক তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা ল্যা পটপ কিনে থাকে। আউটসোর্সিং এর জন্য এই ল্যাপটপটি অনেক ভালো।
এই ল্যাপটপ থেকে রয়েছে ৮ জিবি র্যাম। সাথে থাকছে ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক। যা আপনার সকল তথ্য সংগ্রহ করবে। এছাড়াও এই ল্যাপটপ থেকে রয়েছে আকর্ষণীয় দুইটি কিবোর্ড ও মাউস। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে লাগে ভালো প্রসেসর।
যা আপনার বড় বড় ফাইল লোড হতে সাহায্য করে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ হলো সারাদিন অনলাইনে থাকা। অনলাইনে থাকতে হলে আপনার ল্যাপটপের কনফিগারেশন ভালো থাকতে হবে। এইচপি ল্যাপটপ কনফিগারেশন অনেক ভালো। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বেস্ট ল্যাপটপ এটি।
6. Dell XPS 13 – ডেল ল্যাপটপ দাম ২০২৩
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ল্যাপটপ, সেখানকার পিসি অনুরাগীদের জন্য, Dell XPS 13 এর কাছে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। এখনও হালকা ওজনের, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই ল্যাপটপে একটি উচ্চ-রেজোলিউশন ডিসপ্লে রয়েছে যা ব্যবহারকারীরা খুব পছন্দ করে।
একটি বোনাস হিসাবে, এটি একটি অন্তর্নির্মিত টাচ স্ক্রিন, তাই আপনি যদি একটি স্টাইলাস বা অন্যান্য স্পর্শের দিকগুলি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন তবে আপনি এটি অ্যাড-অন আনুষঙ্গিক ছাড়াই করতে পারেন৷ XPS এর একটি ছোট পদচিহ্নও রয়েছে, তাই হোম অফিস ডেস্ক বা অন্যান্য ছোট এলাকায় স্থান নিয়ে চিন্তিত ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই মেশিনটি সেরা ল্যাপটপ হতে পারে।
7. Apple MacBook Air Laptop -এপেল লেপটপ এর দাম ২০২৩
আপনি যদি একজন ম্যাক ব্যবহারকারী হন যার ক্রোম, মাইক্রোসফ্ট অফিস, অ্যাডোব এবং এর মতো মৌলিক প্রোগ্রামগুলির প্রয়োজন হয় তবে ম্যাকবুক এয়ারের সাথে ভুল করা কঠিন। সম্পূর্ণ প্রকাশ এই ল্যাপটপটি আমি ব্যবহার করি। তিন পাউন্ডের কম ওজনের, এটি পরিবহন করা অবিশ্বাস্যভাবে সহজ – এটি ফ্রিল্যান্স যাযাবরদের জন্যও আদর্শ করে তোলে।
ম্যাকবুক এয়ারে ৫১২ গিগ পর্যন্ত হার্ড ড্রাইভ স্পেস এবং নতুন Apple M1 চিপ রয়েছে, তাই এটি দ্রুত। এটি একটি অবিশ্বাস্যভাবে দীর্ঘ ব্যাটারি জীবন যোগ করুন, এবং আপনি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি সেরা ল্যাপটপ পেয়েছেন যাদের ভারী গ্রাফিক্স ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
8. Asus Vivo Book 15 K513EA Core i5 11th Gen 15
ল্যাপটপ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তারা চাইলেই ল্যাপটপ টি কিনতে পারেন।এই ল্যাপটপটি আপনারা মার্কেটে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আমি নিজে এই ল্যাপটপটির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি তাই আপনারা চাইলে এই ল্যাপটপটি কিনে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।এই ল্যাপটপটি আকর্ষণীয় সকল সুবিধা এটাকে আমার কাছে অন্য ল্যাপটপ গুলো থেকে আলাদা করেছে।
9. HP EliteBook – hp ল্যাপটপ এর দাম ২০২৩
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো | আউটসোর্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল
এইচপির আরেকটি ভালো মডেলের ল্যাপটপ হলো HP EliteBook। এটা মূলত নোটপ্যাডের পথে একটি ল্যাপটপ । কিন্তু এর কার্যক্রম অনেক ভালো মানের । কারণ এই ল্যাপটপের ৬ জিবি রম। যা ছোট তুলনায় অনেক বেশি।
এছাড়াও এই ল্যাপটপ থেকে পাবেন আপনি ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন। আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে হলে ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের দেশে লোডশেডিং লেগে থাকে সারাদিন । লোডশেডিং এর হাত থেকে র’ক্ষা পেতে। আপনি এই ল্যাপটপ কিনতে পারেন।
এছাড়াও অনেকে পার্টটাইম জবের পাশাপাশি আউটসোর্সিং হয়। এই ল্যাপটপের ডিসপ্লে ১৩ ইঞ্চি। আপনি সহজেই যেখানে সেখানে নিয়ে যাবেন। তুলনামূলক ছোট ও ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো বলে এই ল্যাপটপ অনেক বিক্রি হয় । সকল ফ্রিল্যান্সারদের এই ল্যাপটপটি অনেক পছন্দের।
10. Apple Macbook Pro
অ্যাপল কোম্পানি সবার কাছে জনপ্রিয় না হলেও। আইফোন কিন্তু সবার মুখে মুখে। এই আইফোন এর মূল কোম্পানি হলো অ্যাপল। আউটসোর্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল, তার উত্তরে আমি বলব apple ল্যাপটপ ভালো।
এই ল্যাপটপটি সবথেকে ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ। এটা আপনাকে দীর্ঘ দুই দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ দিবে। এছাড়াও এই ল্যাপটপ এ রয়েছে ভালো প্রসেসর। এর সাথে থাকবে নতুন এসএসডি কার্ড। এসএসডি কার্ড এর সঙ্গে থাকবে হার্ডডিক্স।
Apple ল্যাপটপ বাংলাদেশে খুবই কম পাওয়া যায়। তাই এই ল্যাপটপ কিনতে হলে আগে থেকে অর্ডার করতে হবে। এই ল্যাপটপ মনিটর ২১ ইঞ্চি। যা আপনি স্বাচ্ছন্দে ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। ল্যাপটপটিতে আরো নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে। তারবিহীন মাউস ও কিবোর্ড। যা ল্যাপটপকে আরো আকর্ষণীয় করেছে।
11. Dell XPS 15 – ডেল ল্যাপটপ দাম ২০২৩
আউটসোর্সিং শেখার জন্য বেস্ট ল্যাপটপ Dell XPS 15। এই ল্যাপটপটি দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ও এসইও ইত্যাদি স্বাচ্ছন্দে করতে পারবেন।
আপনি ডেল কোম্পানীর সকল ল্যাপটপ দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করতে পারেন। কিন্তু ভিডিও এডিটিং করতে হলে ভালো ল্যাপটপ লাগবে। শুধু ল্যাপটপ হলে হবে না এর প্রসেসর ভালো লাগে। প্রসেসর হলো কম্পিউটারের প্রাণ। প্রসেসর এর পাশাপাশি ভালো ram গুরুত্বপূর্ণ।
ল্যাপটপের আর একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হলো র্যাম। যা আপনি এই ল্যাপটপে পাবেন। এই ল্যাপটপের ৮ জিপি রাম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে এসএসডি। এসএসডি ল্যাপটপের একটি নতুন ফিচার। এসএসডি আপনার ল্যাপটপকে দুই গুণ স্পিরিট দিবে। এই ল্যাপটপেও থাকছে এসএসডি কার্ড।
12. Lenovo ThinkPad X1 Carbon Core i5 7th Gen Laptop
লেনোভো কোম্পানির সকল সময়ই তাদের কাস্টমারদের দারুন সব ল্যাপটপ উপহার দিয়ে আসছে।এদের মধ্যে এই ল্যাপটপটি অনেক আকর্ষণীয়। যাদের পুঁজি কম অর্থাৎ লো বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ কিনতে চান তারা চাইলে লেনোভো কোম্পানির ল্যাপটপ টি কিনতে পারেন। এই ল্যাপটপটির মাধ্যমে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। যারা বাংলাদেশ থেকে ল্যাপটপ টি কিনতে চান তারা ৩৮ হাজার টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
আউটসোর্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি পেশা হল ফ্রিল্যান্সিং। আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং পেশা একে অপরের পরিপূরক। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনার একটি ল্যাপটপ দরকার। যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে প্রফেশন হিসেবে বেছে নেবে। তাদের অবশ্যই একটি ল্যাপটপ কিনতে হবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো তা অনেকে জানে না। নিচে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্য বেস্ট কয়েকটি ল্যাপটপ নিয়ে আলোচনা করবো।
1. MacBook pro
বিভিন্ন দিক দিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে অ্যাপল ব্র্যান্ডের আরও একটি নতুন মডেলের ল্যাপটপ বাজারে এসেছে তা হল ম্যাকবুক প্রো। এর নজরকাড়া ফিচার এবং এর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে মডেলটির রেটিনা ডিসপ্লে গতির প্রসেসর। উন্নত মানের গ্রাফিক্স দ্বারা নির্মিত এছাড়া এই ল্যাপটপের রয়েছে থান্ডারবোল্ট এইচডিএমআই সুবিধা। যার কারনে এর দাম ধরা হয়েছে হাই বাজেট।
2. Dell inspiron – ডেল ল্যাপটপ দাম ২০২৩
ব্যাটারির দিক দিয়ে পর্যালোচনা করলে ডেল ইন্সপায়রন ল্যাপটপ টি অনেক উপযোগী একটি ল্যাপটপ। ডেল ইন্সপায়রন সিরিজের ল্যাপটপ এর জুড়ি নেই। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ল্যাপটপ স্থিতিশীল পারফরম্যান্স দীর্ঘ ব্যাটারির পাশাপাশি দামের দিক দিয়ে কম পাবে। এবং অ্যালুমিনিয়াম বডি দেখতে খুবই সুন্দর এবং স্মার্ট স্ক্রিন মডেল রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যেকোনো কাজ এই উক্ত ল্যাপটপ দিয়ে করতে পারবেন।
3. Acer Chromebook
এসার ক্রোমবুক এটি একটি হাই বাজেট ল্যাপটপ কারণ ১৩ ইঞ্চি ক্রোমবুক মানের তুলনায় দাম খুবই কম। এতে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং 1080p full HD ১০৮০ পি ফুল এইচডি স্ক্রিন। যার দ্বারা গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং সহজে যেকোন ধরনের কাজ করা যাবে।
4. HP stream
মানসন্মত একটি ল্যাপটপ এর কথা চিন্তা করলেই এইচপি স্ট্রিমের কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এ কারণে এই মডেলটির বিবেচনা করে দেখা যায় যে ল্যাপটপের সঙ্গে যে যে ফিচারগুলো যুক্ত রয়েছে তা হচ্ছে উইন্ডোজ অফিসের লাইসেন্স করা অরিজিনাল ভার্শন ১ বছর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে এবং এর ব্যাটারি চলবে সারাদিন আবার ওজনে হালকা হবে এবং ল্যাপটপ ব্যাক সাইডে কোয়ালিটি এবং স্ক্রীন কিছুটা ব্যবহারকারীদের মতই।
50,000 টাকায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল হবে?
আমি আর্টিকেল এর শুরুতেই একটা কথা বলেছি যে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে থাকা উচ্চমানের গ্রাফিক্সের কাজ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো মানের ডেক্সটপ কিনতে হবে। কিন্তু আপনি যদি এই ধরনের বড় বড় কাজ গুলো ল্যাপটপের মাধ্যমে করতে চান। তাহলে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব যে, আপনার Asus Vivobook S1510UF এই মডেলের অসাধারণ ল্যাপটপ কিনে নেওয়া উচিত।
কারণ এই অসাধারণ ল্যাপটপ এর মধ্যে আপনি ১৫.৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে পাবেন। এবং আপনি Ram হিসেবে পাবেন 4GB (ফোর জিবি) DDR4. প্রসেসর হিসাবে আপনি পাবেন ইন্টেল কোর i3. এবং উক্ত ল্যাপটপের মধ্যে হার্ডডিক্স হিসেবে আপনি পাবেন 1 টেরাবাইট পর্যন্ত স্পেস।
চল্লিশ হাজার টাকায় ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো?
আপনার ল্যাপটপ কেনার বাজেট যদি 40 হাজার টাকা হয়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভাল মানের ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করতে হবে। এবং আপনি যদি এই 40 হাজার টাকায় ল্যাপটপ কিনতে চান। তাহলে আমি আপনাকে Lenovo Ideapad 330 মডেলের ল্যাপটপ কেনার পরামর্শ দিব। কেননা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এই বাজেট এর ক্ষেত্রে উক্ত মডেলের ল্যাপটপ টি আপনার জন্য অনেক বেশি উপযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি।
আপনি যদি এই মডেলের ল্যাপটপ কিনেন, তাহলে আপনি উক্ত ল্যাপটপ এর ১৫.৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে পাবেন। এর পাশাপাশি আপনার উক্ত ল্যাপটপে Ram থাকবে 4gb, হার্ডডিস্ক পাবেন এক টেরাবাইট পর্যন্ত। এবং প্রসেসর হিসেবে থাকবে AMD A9-9425 ডুয়েল কোর। আর এই উন্নত মানের ল্যাপটপ টি কিনতে আপনার 40 হাজার 200 টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হবে।
আপনি এই ল্যাপটপ টি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কিনলে। আপনি মোটামুটি সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব করতে পারবেন। তবে এর থেকেও যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে থাকা অন্য বড় মাপের জব গুলো করতে চান। তাহলে আপনার বাজেট আরো বাড়িয়ে দিতে হবে।
সর্বনিম্ন ল্যাপটপের দাম কত
ল্যাপটপের সর্বনিম্ন দাম সম্পর্কে জানতে আমাদের নিচের সেকশনটি পড়ুন। সর্বনিম্ন বিশ হাজার টাকায় আপনারা কোন ধরনের ল্যাপটপ গুলো কিনতে পারবেন তার সম্পর্কে আমরা এখানে আলোচনা করেছি।
কম দামে ল্যাপটপ ২০২৩ – বিশ হাজার টাকায় ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো?
যদি আপনার ল্যাপটপ কেনার জন্য 20 হাজার টাকা বাজেট হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে সাধারণ মানের ল্যাপটপ কিনতে হবে। কেননা এই বাজেটের মধ্যে আপনি যেসব ল্যাপটপ পাবেন। এই ধরনের ল্যাপটপ দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং জব গুলো করতে পারবেন না। বরং যেগুলো সাধারণ জব রয়েছে, সেগুলো আপনি এই ধরনের 20,000 টাকার ল্যাপটপ এর মাধ্যমে করতে পারবেন।
তবে আপনার ল্যাপটপ কেনার জন্য বাজেট 20 হাজার টাকার মধ্যে হলে আমি আপনাকে Walton Prelude R1 কেনার পরামর্শ দিব। কারণ আপনি এই ওয়ালটনের ল্যাপটপ টি 19,990 টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। যে ল্যাপটপের মধ্যে রয়েছে 14.1 ইঞ্চি ডিসপ্লে। এবং Ram হিসেবে আপনি পাবেন 4gb, এর পাশাপাশি প্রসেসর হিসেবে থাকবে ইন্টেল ডুয়েল কোর। এবং হার্ডডিক্স হিসেবে আপনার স্পেস থাকবে 1 টেরাবাইট পর্যন্ত।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে ধাকা সাধারণ মানের জব গুলো করতে চান। যেমন, এসইও, কনটেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি। তাহলে আপনি 20,000 টাকার মধ্যে ল্যাপটপ কিনে অনায়াসেই এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব গুলো করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ
ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও রিলেটেড কাজের জন্য যেকোনো ধরনের ল্যাপটপ হলেই হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও কাজের জন্য খুব বেশি দামি ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে না। একটি নরমাল ল্যাপটপের সাহায্যে আপনি এই কাজগুলো করতে পারবেন।
কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলোতে অনেক বেশি সফটওয়্যার বা অনেক ভারী সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় না। এ কাজগুলো জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করা করার বেশি প্রয়োজন হয় না। ডিজিটাল মার্কেটিং কাজগুলোতে অনেক বেশি ব্রাউজিং করতে হয়।
সুতরাং আপনি অল্প বাজেটের এবং একটি কম দামি ল্যাপটপ এর সাহায্যে ওই কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ল্যাপটপ:
আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কয়েকটি কোড এডিটর ব্যবহার করতে হবে। এবং এই কোড এডিটর সফটওয়্যার গুলো খুবই নরমাল সফটওয়্যার। এছাড়া আপনার অন্য কোনো ভারী সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে না।
আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন, তাহলেও এই কোড এডিটর গুলোই আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। সুতরাং আপনি যদি একটি নরমাল ল্যাপটপ থাকে, তাহলে আপনি এই কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারবেন। এ কাজগুলো করার জন্য আপনাকে অনেক দামি ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে না।
গ্রাফিক ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ল্যাপটপ:
আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন কাজ করেন অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন, তাহলে আপনাকে ভালো মানের একটি ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে। কারণ গ্রাফিক ডিজাইন কাজ করার জন্য Adobe হাই কোয়ালিটি সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে হবে।
adobe সফটওয়্যার গুলো দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করার সময় কমদামে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে আপনার ল্যাপটপটি স্লো হয়ে যাবে অথবা হ্যাং মারবে। সুতরাং আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন এবং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এ প্রশ্ন করেন, তাহলে আমি আপনাকে বলব 60 হাজার টাকা বা তার বেশি টাকা দামী ল্যাপটপ ক্রয় করুন।
কারণ কম দামি ল্যাপটপ এর সাহায্যে আপনি কখনই ভালোভাবে গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ গুলো করতে পারবেন না।
ভিডিও এডিটিং এর জন্য ল্যাপটপ:
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনেক হাই কোয়ালিটি দামি ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে। কম দামি ল্যাপটপ দিয়ে আপনি কখনোই ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং কাজ করতে পারবে না।
যারা ভিডিও এডিটিং কাজ করে তারা সাধারণত ভালো মানের ডেক্সটপ ব্যবহার করে থাকে। কারণ ভিডিও এডিটিং কাজ করার জন্য আপনাকে এনিমেশনের কাজ করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে অনেক বেশি ভালো ভালো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
ভিডিও এডিটিং কাজ করার সময় ভিডিও এডিটিং কাজ শেষ করার পরে আপনার ভিডিওটি কম্পিউটারে সেভ করার জন্য রেন্ডারিং দেওয়া হয়। আপনার যদি কম দামি ল্যাপটপ ব্যবহার করে এই রেন্ডারিং দিয়ে থাকেন, তাহলে একটি ভিডিও রেন্ডারিং করতে অনেক অনেক অনেক বেশি সময় লাগবে।
সুতরাং আপনি যদি ভিডিও এডিটিং কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি একটি ভাল মানের ল্যাপটপ ক্রয় করুন যেটা লাখ টাকার উপরে হবে। এবং আপনি যদি লেপটপ ক্রয় করতে চান, তাহলে অবশ্যই লাখ টাকার উপরে ল্যাপটপ ক্রয় করুন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ল্যাপটপ ভালো নাকি ডেস্কটপ
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ ভালো, নাকি ডেস্কটপ ভালো, এরকম প্রশ্ন নতুন ফ্রিল্যান্সাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু ল্যাপটপ ভালো হবে, আর ডেস্কটপ খারাপ কিংবা ডেস্কটপ ভালো আর ল্যাপটপ খারাপ এরকম কোনোকিছু পূর্ব নির্ধারিত নয়। আপনি কোন সেক্টরে কাজ করেন, কোন পরিবেশে কাজ করেন এটার উপর নির্ভর করে আপনার জন্য ল্যাপটপ বেটার(BETTER) নাকি ডেস্কটপ। আপনার নিজের ফ্লেক্সিবিলিটি(FLEXIBILITY) কার উপর, সেটাও একটা ব্যাপার।
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর মত বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করেন, তাহলে আপনার কাজের জন্য অবশ্যই ডেস্কটপ ভালো। কারন এসব কাজের জন্য যেসব সফটওয়্যার গুলো লাগে, সেগুলো সবগুলোই অনেক ভারী সফটওয়্যার, যা ডেস্কটপ এ ভালো রান করবে। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয়, আপনি এসব কাজ করেন, কিন্তু প্রায়ই বাইরে, এই শহর, ঐ শহর ঘুরাঘুরি করা লাগে, তাইলে তো আপনি ডেস্কটপ নিয়ে এত মুভ করতে পারবেন না, তখন আপনি একটি ভালো পারফরমেন্স যুক্ত ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আবার বিদ্যুৎ সমস্যা, লোডশেডিং এর যদি আপনার এলাকায় খুব বেশি হয়, সেক্ষেত্রেও আপনার জন্য ল্যাপটপ ভাল।
আবার আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডেটা এন্ট্রির মত স্কিল গুলো নিয়ে কাজ করেন, এখানে আপনার তেমন হাই পারফরমেন্স দরকার নেই। এসব কাজের সফটওয়্যার গুলো তুলনামুলক কম ভারী। তাই এগুলো ল্যাপটপে ইজিলি রান করে। তাই এসব কাজ করলে আপনার জন্য ল্যাপটপ ভালো অপশন, আপনি সহজে ক্যারি করতে এবং মুভ করতে পারবেন, একই সাথে বিদ্যুৎ বা লোডশেডিং এর সমস্যা থাকলেও ল্যাপটপের ব্যাকাপ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করা আপনার জন্য সম্ভব হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল হবে সংক্রান্ত শেষ কথা
আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কিনতে আগ্রহী আশা করি আজকের এই পোস্ট টি পড়ে আপনার একটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। আজকের এই পোস্টটি পড়ার পরও ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কেনা সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে আপনারা আমাদেরকে কমেন্ট করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কিনতে যে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আপনাদের সহায়তা করার।