ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি– এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়বস্তু নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের নিবন্ধনটি। আপনারা যারা খুব সম্প্রতি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জেনেছেন অথবা অনলাইন ইনকামজনিত কাজে নিয়োজিত হয়েছেন, তারা ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি এই সম্পর্কে জানতে চান।
ঠিক এ কারণেই আজকের আলোচনায় থাকছে– ওয়েবসাইটের কাজ, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সমূহর তালিকা এবং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাবলী ।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি?
ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ হচ্ছে, বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেওয়া। কেননা একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে যেমন একজন ফ্রিল্যান্সার অবস্থান করে, ঠিক একইভাবে বায়ার/ক্লাইন্টরাও অবস্থান করে।
বায়াররা মূলত প্রফেশনাল লেভেলের এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সারদের তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে, অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সাররা মূলত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট কমপ্লিট এর মধ্য দিয়ে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে এই ধরনের মার্কেটপ্লেসে অবস্থান করে।
বলতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং সাইট এক ধরনের ভার্চুয়াল ইন্ডাস্ট্রি। আর এই ভার্চুয়াল ইন্ডাস্ট্রিতে একজন ফ্রিল্যান্সার নিজের স্বাধীন মত কাজ করতে পারে। আর এই ধরনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মালিক ও কর্তৃপক্ষ একটি চুক্তি করে এবং ওই চুক্তির মাধ্যমে কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হয় অনলাইন মাধ্যমে।
অতএব বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ হচ্ছে– ফ্রিল্যান্সারদের সাথে বায়ারদের যোগাযোগ তৈরি করে দেওয়ার একটি মাধ্যম বা ওয়েব পোর্টাল। আর এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সাইট অনেক রয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বব্যাপী পরিচিত সাইট গুলো হচ্ছে–আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার সহ প্রভৃতি।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকায় মূলত বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অবস্থান করছ, যা আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি। তবে আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা পুরো পৃথিবীব্যাপী পরিচিত ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস প্ল্যাটফর্মের নাম উল্লেখ করব। যেখানে আপনি অনলাইনে যেকোনো কাজের অফার পেতে পারেন এবং যেকোনো ধরনের এক্সপার্ট কে হায়ার করতে পারেন। যথা —
- Upwork.com
- Fiverr.com
- Freelencer.com
- People per hour
- 99 designs
- Guru.com
- Belancer
- Toptal
- SimplyHired
আর হ্যাঁ, আপনি যদি এই প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই সম্পর্কিত আরো একটি আর্টিকেল করতে পারেন। যেখানে এই প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে এ টু জেড আলোচনা করা হয়েছে।
সেই সাথে এটা উল্লেখ করা রয়েছে যে, কিভাবে এই জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে পারবেন, নতুন প্রজেক্টে কাজ করতে পারবেন এবং নিজেকে একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন!
এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক– উল্লেখিত এই ওয়েব পোর্টাল গুলোর মধ্যে থেকে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? সেই সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হিসেবে কোনটি সেরা এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের জন্য সহজ সে সম্পর্কে আরো কিছু।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর
মূলত আমাদের উল্লেখিত এই প্রত্যেকটি মার্কেটপ্লেস বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়র লিস্টে রয়েছে। তবে যদি সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করতে চান তাহলে সবার প্রথমে upwork এবং ফাইবার এই দুইটি ফিন্যান্স ওয়েবসাইটের নাম উঠে আসবে।
কেননা এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে একটিভ ইউজারের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে হ্যাঁ, দুইটি প্লাটফর্ম অনেক বেশি জনপ্রিয় হওয়ার কারণে কেউ কেউ এমনটাও বলেন– কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আমাদের জন্য আদর্শ আপওয়ার্ক নাকি ফাইবার?
মূলত এ প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেওয়া সম্ভব নয়। কেননা এই দুইটি ফিন্যান্স ওয়েবসাইটই যার যার দিক থেকে সেরা। আপনি যদি আপওয়ার্ক এবং ফাইবার এই দুইটি প্লাটফর্মের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য বের করতে চান তাহলে আপনাকে এই দুইটি প্লাটফর্মে বেশ কিছুদিন যাবত অবস্থান করতে হবে, জানতে হবে এদের সিস্টেম সম্পর্কে। অতঃপর আপনি নিজেই আপনার মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।
তবে আমাদের মতে– কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে কখনো কখনো আপওয়ার্ক বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর, আবার কখনো কখনো কাজের ধরন এবং অন্যান্য আরো কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে ফাইবার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ডিমান্ড ডিভোর সেক্টর। আবার এটাও বলতে পারেন যে আপওয়ার্ক এবং ফাইবার দুইটি ফিন্যান্স মার্কেটপ্লেসই বর্তমানে ডিমান্ডেবল সেক্টর হিসেবে অবস্থান করছে।
তো পাঠক বন্ধুরা, ইতিমধ্যে আমরা যে আলোচনাটুকু করেছি আশা করছি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি এটা আপনাদের কাছে সুস্পষ্ট। মূলত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু জনপ্রিয় কুয়েরি গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। যেগুলো সম্পর্কে জানার উদ্দেশ্যে হরহামেশাই আপনারা গুগলে সার্চ করে থাকেন।
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট.
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো সম্পর্কে বেশি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অনেকেই প্রশ্ন করেন বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট কি আদৌ রয়েছে, বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো কেমন জনপ্রিয়!
তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো – হ্যাঁ বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে এবং সেগুলো মোটামুটি বেশ ভালই জনপ্রিয়। মূলত এমনই কিছু জনপ্রিয় বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইটের তালিকায় অবস্থান করছে—
- বিল্যান্সার ডটকম
- কাজ খুঁজি ডট কম ডট বিডি
- সচ্ছল ডট কম
আপনি মূলত চাইলে এখনই এই ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করতে পারেন এমনকি যদি কোন বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন সেই সম্পর্কিত কাজও খুঁজে নিতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, অনেকেই হয়তো এই প্রশ্নটি করতে পারেন— আপওয়ার্ক, ফাইবার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে একটি। তাহলে কেনই বা আপনি বাংলাদেশী এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কাজ খুঁজবেন! দেখুন আপনি যদি অনলাইন জগতে নতুন হয়ে থাকেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে ছোট ছোট বা অল্প জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোতে কাজের সুযোগ ছিনিয়ে নিতে হবে এবং পরবর্তীতে আপনি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশের যে সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে তাদের মধ্যে কিন্তু এই তিনটি ওয়েবসাইট বেশ জনপ্রিয়। আর যদি বলেন এই বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ কেন কাজ করবেন, এর উপকারিতা কি! তাদের প্রশ্নের উত্তরটা হবে— কমিউনিকেশন এবং পেমেন্ট মেথড পারফেক্ট বলে বাংলাদেশী এই সাইট গুলোতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিবেন।
কেননা বর্তমানে অনেক স্ক্যামার বের হয়েছে। যারা কাজ করিয়ে নেওয়ার পরবর্তীতে পেমেন্ট করেন না। এমনকি তাদের কমিউনিকেশনের সিস্টেমটাও খুবই বাজে। যেমন ধরুন, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে কোন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ নিয়ে চুক্তি হলো। কিন্তু এই ক্লায়েন্টের মধ্যে থেকে এমন কিছু ক্লাইন্ট আপনার ভাগ্যে জুটে যেতে পারে যারা একদমই ফেইক। যাদের কাজ করার পরবর্তীতে আপনি পারিশ্রমিক হিসেবে কিছুই পাবেন না। এমনকি সবশেষে একটি বাজে কথাও শুনতে হতে পারে।
তবে হ্যাঁ অবশ্যই সব ক্লায়েন্টদের উদ্দেশ্যে এই কথাটা বলা হচ্ছে না। মূলত বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ বা আরো অন্যান্য মাধ্যমগুলোর সাহায্যে ও ভালো ভালো ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া সম্ভব তবে সেটা খুবই কষ্টকর। কেননা এই সকল গ্রুপে এখন ফেইক মানুষদের আনাগোনা বেশি। কিন্তু বাংলাদেশী এই সেরা ফ্রিল্যান্সার সাইট গুলোতে কাজ করলে আপনি দুইটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আর হ্যাঁ, আপনি যদি একটু রিসার্চ করেন তাহলে জানতে পারবেন বেশিরভাগ আউটসোর্সিং সাইট পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে। যেটা আমাদের বাংলাদেশের এখনো পর্যন্ত স্বীকৃত নয়। আর এই ধরনের সমস্যাগুলো থেকে আপনাকে মুক্তি এনে দিতে সক্ষম হতে পারে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট।
আর তাছাড়াও এই তিনটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে মূলত আপনি আলাদা আলাদা কাজ করতে পারবেন এমনকি পেমেন্ট পাওয়ারও গ্যারান্টি রয়েছে। যেমন ধরুন আপনি যদি রিলান্সার বাংলাদেশি সাইটে কাজ করতে চান তাহলে নিম্নলিখিত কাজগুলো করার সুযোগ অধিক বেশি পাবেন। যথা —
- কনটেন্ট রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
- মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া
- সেলস ও মার্কেটিং।
অন্যদিকে যদি আপনি বাংলাদেশের কাজ খুজে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে যোগদান করেন সে ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কাজগুলো করার সুযোগ বা অফার অনেক বেশি পরিমাণে পেয়ে থাকবেন। যথা —
- ভিডিও এডিটিং
- গুগল এডসেন্স সার্ভিস
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- কনটেন্ট রাইটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- অ্যানিমেশন
- লোগো ডিজাইন
- অ্যাপ সফটওয়্যার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
অপরদিকে আপনি যদি বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট সচ্ছল এ কাজের অফার পেতে চান সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কাজগুলো করার সুযোগ বেশি পেয়ে থাকবেন। যথা —
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- কাস্টমার কেয়ার
- কনটেন্ট রাইটিং
- ডাটা এন্ট্রি
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং সহ প্রভৃতি।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি অথবা নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি? কোন সাইটে খুব সহজেই নিজের একটা প্রোফাইল ক্রিয়েট করা সম্ভব এবং নতুন অবস্থাতে থেকেও ভালো ভালো কাজের অফার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
দেখুন আপনি যদি কোন একটা বিষয়ে দারুন এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি কাজের অফার পাবেন। নতুন পুরাতন খুব বেশি ম্যাটার করে না এক্ষেত্রে। তবে হ্যাঁ, বেশিরভাগ বায়ার মূলত কোন কাজ দেওয়ার পূর্বে অভিজ্ঞতার কথা জিজ্ঞাসা করে এবং ডেমো হিসেবে আগের কাজ দেখতে চায়।
তাই এক্ষেত্রে আপনি কিছু কাজ ডেমো হিসেবে দেখানোর জন্য করে রাখতে পারেন অথবা ক্লায়েন্টকে এ ব্যাপারে জানানোর মাধ্যমে তাদেরকে প্রথম কাজটি পাঠানোর পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে আপনাকে সিলেক্ট করার রিকোয়েস্ট করতে পারেন।
তবে আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মাল্টিপ্লেসে একদমই নতুন হন তাহলে প্রথমত মার্কেটপ্লেস গুলোর সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করুন, বিস্তারিত জানুন, কাজের সোর্স সম্পর্কে এনালাইসিস করুন, ব্যাস আপনি নিজেই সিলেক্ট করতে পারবেন যে নতুন হিসেবে আপনার জন্য কোন মার্কেটপ্লেস সবচেয়ে সেরা!
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
একজন ফ্রিল্যান্সার এর কাজ কি, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি, ফ্রিল্যান্সিং কাজের তালিকা ২০২৩ সম্পর্কে জানাবো আলোচনার এ পর্যায়ে। মূলত ফ্রিল্যান্সিং কাজের অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যাটাগরি গুলো হলো —
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- কনটেন্ট রাইটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডাটা এন্ট্রি
- পোগ্রামিং এন্ড টেক
- ভিডিও এডিটিং
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
- অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড কনসাল্টিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার।
আবার এই ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন নিহত রয়েছে। আপনি যদি এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমরা সাজেস্ট করব— আমাদের ফ্রিল্যান্স থেরাপি ডট কম ওয়েবসাইটের অন্যান্য এ রিলেটেড পোস্টগুলো পড়ে নেওয়ার।
কেননা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে– ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, অনলাইন ইনকাম টিপস ও ট্রিকস এবং ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন সম্পর্কিত অসংখ্য আর্টিকেল ইতোমধ্যে পোস্ট করেছি। যেগুলোর প্রত্যেকটি আপনাদের জন্য অত্যন্ত হেল্পফুল।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের জন্য সহজ
যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুন এসেছেন তারা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের জন্য সহজ এ ব্যাপারে জানতে চান। সত্যি বলতে অনলাইন ইনকাম অবশ্যই সহজ কোনো মাধ্যম নয়। টাকা রোজগার করা বড্ড কঠিন একটি কাজ। এর জন্য প্রচুর শ্রম দিতে হয়, সময় দিতে হয় এবং বুদ্ধি খাটাতে হয়। আর তাই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজই নতুনদের জন্য সহজ নয়।
আপনি যদি আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ কাজটি খুঁজে পেতে চান তাহলে প্রথমত এটা জানুন, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে মূলত একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার কত ধরনের কাজ করতে পারে এবং কোন কাজগুলো করে কেমন টাকা রোজগার করতে পারে! অতঃপর আপনার পছন্দ, আগ্রহ এবং আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে নিজের ক্যারিয়ারকে কতদূর পর্যন্ত আগাতে চান এ সম্পর্কে বিচার বিবেচনা করে নির্ধারণ করুন ফ্রিল্যান্সিং কাজ।
কেননা ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত যে কাজটি আপনার কাছে ভালো লাগবে ওইটাই মূলত আপনার জন্য সহজ হবে। কেননা কোন কাজের প্রতি যদি আগ্রহ বা প্যাশন থেকে থাকে তাহলে ওই কাজটা যতই কঠিন হোক না কেন সেটা প্রফেশনাল ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। তাই যদি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপারে আগ্রহ বেশি থাকে তাহলে এ ব্যাপারে কোন কোর্স কমপ্লিট করুন অথবা গুগল ও ইউটিউবের সাহায্যে নিয়ে নিজেকে এক্সপার্ট করে ফেলুন।
আর যদি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এফিলিয়েট মার্কেটিং বা অন্য কোন বিষয়ে অধিক বেশি আগ্রহ থাকে তাহলে ওই সকল বিষয় নিয়ে এনালাইসিস করুন এবং নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে গড়ে তোলার পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং জগতে পদার্পণ করুন।
মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট
মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক হলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ সম্পর্কিত একটা আর্টিকেল পড়ে নিন। তাছাড়াও যাদের ল্যাপটপ কেনার সামর্থ্য নেই তারা চাইলেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে। এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইডলাইন পেতে এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাজেস্টকৃত লিংকে ক্লিক করুন এবং জেনে নিন এ সম্পর্কে এ টু জেড।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার যোগ্যতা
অনেকেই জানতে চান ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার যোগ্যতা কি, আগে যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে কোন পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে! সত্যি বলতে অনলাইন সেক্টরে আপনাকে কাজ করতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না। কেননা আপনি যদি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দিক থেকে অনেক বেশি দুর্বল হয়ে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কোন একটা কাজে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলেও আপনি অনেক কাজের অফার পাবেন।
তবে যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার যোগ্যতা হিসেবে অন্য কোন কিছুর কথা বলা হয় তাহলে–
- কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকতে হবে
- বিভিন্ন সফটওয়্যার এর কাজ সম্পর্কে জানতে হবে
- ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে হবে এ টু জেড
- আপনি যে কাজ করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আত্মপ্রকাশ করবেন সেই কাজে এক্সপার্ট হতে হবে
- নিজের সৃজনশীল মন মানসিকতা থাকতে হবে এবং এনালাইসিস প্রিয় হতে হবে
পাশাপাশি আপনার নিকটে থাকতে হবে–
- একটি স্মার্টফোন
- ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার
- ভালো ইন্টারনেট সংযোগ এবং
- বিদ্যুৎ সংযোগ।
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন
তো পাঠাও বন্ধুরা, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তাহলে দেরি না করে এখনই ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে জানুন। আর ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন পেতে হলে আমাদের ফ্রিল্যান্সিং থেরাপি ডট কম ওয়েবসাইটের ফ্রিল্যান্সিং গাইড ক্যাটাগরির প্রত্যেকটি আর্টিকেল পড়ুন।
আজ এ পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং যদি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দেবেন। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।