You are here
Home > ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার > মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? কিংবা মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং কিভাবে শিখবো প্রশ্ন যারা করেন আজকে এই পোস্টটি তাদের জন্য। আজকের এই পোস্টটির সম্পূর্ণরূপে পড়লে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রীলান্সিং শিখবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফিল্যান্সিং করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে যে কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে ৷ আর দক্ষতা অর্জন করতে হলে সবার আগে আপনাকে যে কোনো বিষয় সম্পর্কে শিখে নিতে হবে।

তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন।

তো যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শিখতে চান। তাহলে আপনার সামনে এমন অনেক উপায় চলে আসবে। যেমন,

ইউটিউব এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখাঃ

বর্তমানে ইউটিউব এ অনেক ধরনের চ্যানেল রয়েছে। তবে এমন অনেক Channal আছে যেখানে খুব সুন্দরভাবে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। আপনি চাইলে সেই চ্যানেল এর ভিডিও গুলো দেখে দেখে শিখে নিতে পারবেন ৷

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ভিডিও টিউটোরিয়াল 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ভিডিও 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার এ টু জেড 

মোবাইল দিয়ে যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন 

নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনারা মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফেলেছে কিনবেন তা জানতে পারবেন। 

ব্লগ সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখাঃ

আপনি বর্তমানে যে লেখাটি পড়ছেন। সেটিও কিন্তুু একটা ব্লগ থেকে পড়ছেন। তো এমন অনেক ধরনের ব্লগ রয়েছে। যেখান থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শিখে নিতে পারবেন। আমি মনে করি আপনি এখন মোবাইল থেলে এই লেখা পড়তেছেন। আর হ্যা মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। এবং অনেকেই করতেছে।

কোর্স এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং  যেভাবে শিখবেনঃ

অনলাইন থেকে কোনো কাজ শেখার আরও একটি সহজ মাধ্যম আছে ৷ সেটি হলো কোর্সের মাধ্যমে শেখা। তো আপনি চাইলে Paid অথবা Free কোর্সের মাধ্যমে এই কাজ গুলো শিখে নিতে পারবেন। 

মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব?

যদি আপনি কয়েক বছর আগে এই প্রশ্নটি করতেন। তাহলে এর উওরে বলতাম, না! মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব না। কিন্তুু আজকের দিনে যদি এই প্রশ্নটি করেন।

তাহলে এর উওরে বলবো, হ্যাঁ! এখন আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। কারন বর্তমানে মোবাইল ফোন গুলোতে অনেক উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যার মাধ্যমে আপনি Freelancing রিলেটেড অনেক কাজ করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, যদি মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। তাহলে মানুষ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয় কেন?

দেখুন, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে একটু নজর দেন ৷ তাহলে আপনি এমন অনেক ধরনের Online Job দেখতে পারবেন। তার মধ্যে বেশিরভাগ কাজ আপনি কম্পিউটার দিয়ে করতে পারবেন।

কিন্তুু এমন অনেক Job আছে, যেগুলো মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব।

আর আপনাকে আমি এমন অনেক মানুষের উদাহরন দিতে পারবো। যারা মূলত মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এবং মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং করে।

এবং এই কাজ গুলো করে তারা প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম করে আসছে। 

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার (Types of freelancing)

আপনাদের আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা। এই পেশায় কাজ করার জন্য আপনাকে কোনো কোম্পানিতে জব করার প্রয়োজন হবে না।

বরং, নিজে স্বাধীন ভাবে যেকেনো কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে আপনার নিজের কাজের দক্ষতা অনুযায়ী কোম্পানি সেই কাজ গুলো করে দিতে পারবেন।

বর্তমান বিশ্বে এমন লাখ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন।

আজকের আর্টিকেলে আমি এমন কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করবো। যদিও এই কাজ গুলো করার জন্য আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে।

1. কোডিং, ডেভেলপিং, প্রোগ্রামিং

কোডিং, প্রোগ্রামিং এবং ডেভেলপিং হলো সারা বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ। আপনি যদি কোডিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে সারা বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির ওয়েবসাইটের কাজ করে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন।

2. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

জাভা, কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা থাকলে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজ শুরু করতে পারেন।

তবে, মনে রাখবেন এখানে কিন্তু আপনার প্রচুর কোডিং অভিজ্ঞতার প্রয়েজন হবে। আপনাকে সকল ধরনের অ্যাপ তৈরি এবং ডেভেলপ করার অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে মার্কেটপ্লেসে সহজে কাজ পেয়ে যাবেন।

3. এসইও (SEO) এক্সপার্ট

ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি কাজ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO). এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ পেজের প্রথমে নিয়ে আসতে হয়।

এসইও সম্পর্কে আমাদের এই ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে আপনারা সেটা পড়ে নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

4. গ্রাফিক্স ডিজাইন

পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ চলে আসতেছে। হয়তো প্রচীনকালে ডিজাইন করার কৌশল ছিলো ভিন্ন।

আপনার যদি আকাঁ-আকি করতে ভালো লাগলে তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। অনলাইনে এই কাজের প্রচুর পরিমান।

তাছাড়া, আপনি যদি দক্ষ ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে কাজের অভাব হবে না। তবে, এর জন্য আপনার ডিগ্রি, অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

5. ফ্রিল্যান্সিং রাইটিং, কপিরাইটিং

বর্তমান সময়ে একজন ফ্রিল্যান্সিং রাইটারের মূল্য অনেক বেশি। এই কাজে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির ডিজিটাল কনটেন্ট লিখতে হবে। 

আবার, আপনাকে অন্যের ব্লগ, আর্টিকেল, বই, ই-বুক, বিজ্ঞাপন কপি, রি-টাইপিং ইত্যাদি লিখতে হতে পারে। কম্পিউটার ল্যাপটপ বা মোবাইলে এই কাজ করতে পারবেন।

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং অনেক প্রকারের কাজ রয়েছে মার্কেটপ্লেসে। যেমন – ব্র্যান্ডিং ও পি.আর, বুক কিপিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিসটিং, এইচ.আর ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্যাড 3D মডেলিং ইত্যাদি।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংএর কি  কি কাজ করা যায় ?

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে কাজ করা যায়। কম্পিউটার হলে আপনি আরো খুব স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারবেন। তবে মোবাইল দিয়ে ওই কাজগুলো করতে পারবেন, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং নিচে তা দেওয়া হল:

Translation and language – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল দিয়ে কাজ করতে পারেন এমন ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে ট্রানসলেশন অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ অন্যতম। এখন যদি আপনি ট্রানসলেশন এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ক্যাটাগরিতে কাজ করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অনেক রকম ভাষা জানতে হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনি শুধু বাংলা জানেন তাহলে কিন্তু এই কাজটি আপনি করতে পারবেন না। ট্রান্সলেটর কাজ করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে কোনো একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি শুধু একটি ভাষা জানেন তাহলে তো হবে না।

ট্রান্সলেট করার সময় অবশ্যই আপনাকে কোনো না কোনো  ভাষাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করতে হবে। সেটা হতে পারে বাংলা থেকে ইংরেজি। আবার ইংরেজি থেকে বাংলা। বাংলা থেকে উর্দু। হিন্দি থেকে ইংলিশ ইত্যাদি ইত্যাদি ভাষায় রূপান্তর করতে হতে পারে। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই তিন থেকে চারটি ভাষা  বা তারও বেশি জানতে হবে। যদি আপনার এই স্কিল গুলো থাকে তাহলে আপনি মোবাইল দিয়েই ট্রান্সলেটর কাজটি করতে পারেন।

Writing and content category – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

 এছাড়াও রয়েছে রাইটিং এন্ড কনটেন্ট ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরির আন্ডারে আপনি অসংখ্য sub-category পাবেন। যেগুলো আপনি আপনার হাতের মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। যেমন: আর্টিকেল রাইটিং, আর্টিকেল রিরাইটিং, ব্লগ রাইটিং, ব্লগ কমেন্টিং, অ্যাক্যাডেমিক রাইটিং,ফোরাম পোস্টিং, মেডিকেল রাইটিং, প্রুফরিডিং,প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন ইত্যাদি।

অ্যাক্যাডেমিক রাইটিং: মনে করুন আমার কোন একটি পেপার জমা দিতে হবে বা একাডেমিক কিছু কাজ করতে হবে, যেগুলোর লেখালেখির কাজ। কোন একটা বিষয়ের গবেষণালব্ধ তথ্য সাবমিট করতে হবে, সে ক্ষেত্রে  আমি  কিন্তু কাউকে হায়ার করে কাজটা  করতে পারি যে আমার একাডেমিক রাইটিং গুলো লিখে দিবে। এ ধরনের প্রচুর কাজ ফিলান্সিং মার্কেটগুলোতে পাওয়া যায়। যেগুলো খুব সহজে মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং এবং রিরাইটিং – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

অনেকেই আর্টিকেল রাইটিং এবং রি রাইটিং গুলিয়ে ফেলেন।আর্টিকেল রাইটিং এবং রিরাইটিং আলাদা জিনিস। রাইটিং হচ্ছে আপনাকে কোনো একটি আর্টিকেল লিখতে হবে। আর রিরাইটিং হচ্ছে আপনাকে বায়ার কোনো একটি আর্টিকেল দিবে, সে আর্টিকেল টিকে  আপনি রিরাইটিং করে দিবেন অর্থাৎ সেগুলো কে আপনি এ দিক সে দিক করে দিবেন কথার মাঝে কিছু পরিবর্তন আনবেন।

বা ক্লায়েন্ট আপনাকে বলবে যে অমুক একটি ওয়েবসাইটে আমি একটি আর্টিকেল দেখেছি তুমি সেই আর্টিকেলটি কে  রিরাইট করে  নতুন একটি আর্টিকেল বানিয়ে দাও। এ ধরনের সহজ কাজগুলো কিন্তু আপনি চাইলেই মোবাইল দিয়ে করতে পারেন। কারণ টাইপিং এর কাজগুলো কিন্তু আমরা মোবাইল দিয়ে খুব ভালোভাবেই করতে পারি। এজন্য আমাদের পিসি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রয়োজন হবে না।

ব্লগ রাইটিং – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

আপনি যদি চান কোন একটি ক্লায়েন্টের জন্য ব্লগিং করবেন। তাকে ব্লগ লিখে দিবেন, তাহলে করতে পারে। এটা কিন্তু আর্টিকেল রাইটিং এর মতই কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লেখালেখি। তাছাড়া আপনি যদি চান নিজেই একটি ব্লগ তৈরি করবেন তাহলেও কিন্তু করতে পারেন। 

নিদৃষ্ট একটি নিস সিলেক্ট করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আপনি যদি ব্লগিং করতে চান তাহলে আমার এই কিভাবে  ব্লগিং করে আয় করবো আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়বেন। এখানে আমি মোবাইল দিয়ে কিভাবে ব্লগিং করা যায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। একটু আগে যে বললাম নিস! অনেকে হয়তো ভাবতেছেন নিস টা কি? আসলে নিস হচ্ছে কোন একটি বিষয় বা কোন একটি টপিক। যেই বিষয় টার  উপর  আপনি ব্লগি  বা লেখালেখি করবেন। মনে করুন হেলথ একটা নিস। আপনি হেলথ রিলেটেড যে ব্লগগুলো লিখবেন সেটাই হচ্ছে আপনার হেলথ নিস ব্লগ।

ফোরাম পোস্টিং – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ফোরাম পোস্টিং এর কাজ হচ্ছে যে , আপনাকে ক্লায়েন্ট কোনো ফোরামের লিস্ট দিবে বা আপনাকে লিস্ট গুলো খুজে বের করতে হবে। ধরুন আমি কোন একটি বিষয় নিয়ে হতে পারে আমার একটি ওষুধ যেকোনো ধরনের পণ্য রয়েছে সেটা আমি  প্রমোট করতে চাচ্ছি বিভিন্ন ফোরামে। তো এই যে মেডিকেল রিলেটেড যত ধরনের ফোরাম রয়েছে সবগুলো ফোরামের একটি লিস্ট করব এবং সেখানে গিয়ে গিয়ে আমি কমেন্ট বা পোস্ট করব।

এক্ষেত্রে এখানে কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি শুরুতেই প্রোডাক্ট এর লিংক সেখানে প্রমোট করতে পারবেন না। আপনাকে অনেকভাবে ফোরাম প্রোফাইল গ্রো করতে হবে। এই বিষয়গুলো মূলত ফোরাম পোস্টিং রিলেটেড কাজ।

স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে ইনকাম – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইনকাম করার আরো একটি খুবই সহজ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। youtube এর মত ফেসবুকেও আপনারা ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে থাকছে গ্রুপ তৈরি করে ইনকাম করার সুযোগ। অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য ফেসবুক কিন্তু দিন দিন আমাদের কাছে ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়তা লাভ করে যাচ্ছে। এছাড়াও ফেসবুক থেকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারব। 

এটা কিন্তু খুবই একটি ভাল দিক বলা যেতে পারে। এছাড়াও ফেসবুকে পেইজ তৈরি করে আমরা ইনকাম করতে পারব। ফেসবুকে বিশাল কমিউনিটি থাকার কারণে এখানে অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই কিন্তু টাকা ইনকাম করা যায়। আপনারা যদি স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে খুব কম সময়েই বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই মাধ্যমগুলো ছাড়াও ফেসবুক থেকে ইনকাম করার আরো বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে সেগুলো থেকে আপনারা চাইলেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইনকাম করে নিতে পারবেন।

Transcription – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ট্রানস্ক্রিপশন মূলত ট্রান্সলেটের রিলেটেড কাজের মতই। এখানে শুধু ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি বড় অডিও ফাইল  বা ভিডিও ফাইল দিবে। সেগুলো আপনাকে শুনে শুনে বা দেখে দেখে লিখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম সেমিনার হয়। অনলাইন লাইভ ওয়েবিনার হয়। দেখা যায় এগুলো থেকে একটা ভিডিও দিয়ে দিল। তখন আপনাকে সেই ভিডিও  সংলাপ গুলো  শুনে শুনে লিখে দিতে হবে। এগুলো মূলত ট্রান্সক্রিপশনের কাজ।

ফটোগ্রাফি থেকে ইনকাম – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটির মাধ্যমে আপনি ফটোগ্রাফি করে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে আপনার ছবি বিক্রির মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আমাদের মধ্যে অনেককেই দেখতে পেয়ে যাই যারা খুব ভালো ছবি তুলতে পারে এবং সেগুলোকে ইডিট করে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে। এজন্য আপনাদেরকে কিন্তু খুবই দক্ষ হতে হবে। আর এই কাজগুলো আপনাদেরকে মোটামুটি একটু ভালো মানের স্মার্টফোন দিয়ে করতে হবে। 

আর স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনার তৈরি ফটোগ্রাফি গুলো বিক্রি করার অন্যতম একটি মার্কেট প্লেস হল 99 ডিজাইন। এখানে আপনার মত অনেক ফটোগ্রাফার থাকবে যারা তাদের ফটোগ্রাফি গুলোকে বিক্রি করবে। আর আপনারা বুঝতে পারছেন এক্ষেত্রে আপনাদেরকে কতটা দক্ষতা অর্জন করে ফটোগ্রাফি করতে হবে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করার এটি একটি খুবই ভালো মাধ্যম বলা যেতে পারে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর নির্দিষ্ট কোন  সীমারেখা নেই। মনে করুন আমি একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখলাম এখন তাকে দিয়ে আমি যে কাজ গুলো করবো এক্ষেত্রে আপনিও যদি তাকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে রাখেন তখন কিন্তু তাকে দিয়ে একই রকম কাজ করাইতে নাও পারেনা। সুতরাং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়ে আলাদা ভাবে কিছু বলার নেই। মোবাইল দিয়েও এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ গুলো করা যায়।

মুলত এগুলোই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মোটামুটি ক্যাটাগরিগুলোর। যেগুলো আপনারা আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন । এর মধ্যে অসংখ্য ক্যাটাগরি সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলো আপনারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গেলেই দেখতে পারবেন। 

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ফ্রিল্যান্সিং: – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ইউটিউব থাম্বেল, এটা গ্রাফিক ডিজাইন এর মেন ক্যাটাগরিতে পড়ে। গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করতে গেলে, আপনার একটি ভালো মানের কম্পিউটার থাকতে হবে। কিন্তু আপনি মোবাইল দিয়ে একটি ভালো ইউটিউব থাম্মেল খুব সহজে ডিজাইন করতে পারবেন। 

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে একজন ইউটিউবার হন, তাহলে অবশ্যই আপনার থাম্মেল ডিজাইন প্রয়োজন হতে পারে। আর যদি আপনি থাম্মেল ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাহলে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে ইউটিউব থাম্মেল ডিজাইন লিখে সার্চ দেন, তাহলে অনেক গিগ দেখবেন। এবং সেখানে দেখবেন এই টপিকে ফ্রিল্যান্সাররা অনেক কাজ  করতেছে। 

কাস্টমার সাপোর্ট – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পেয়ে যাব বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে যাদের কাস্টমার সার্ভিস রয়েছে। আর এই কাস্টমার সার্ভিসের যোগাযোগ বা কন্ট্রাক্ট দেয়ার মাধ্যমে কাস্টমাররা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে নেয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু আপনারা ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার নাম্বারে ফোন করে আপনাদের সমস্যা গুলো সমাধান করে নেন। 

আর বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো কাস্টমার কেয়ারে মানুষদেরকে জব দিয়ে থাকে। আর আপনি এই কাস্টমার সার্ভিস কাজটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন স্মার্টফোনের মাধ্যমে এবং সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। কাস্টমার সাপোর্ট এর মত আরও একটি অন্যতম কাজ রয়েছে যেটি আপনারা স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন সেটি হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। বিভিন্ন কোম্পানির কাজ গুলো দেখাশোনা করেও আপনারা কিন্তু অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও:  – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল দিয়ে আপনি অন পেজ এবং অফ পেজ এসইও করতে পারবেন খুব সহজেই: এর জন্য প্রথমে আপনাকে এসইও শিখতে হবে। এবং এসইও শিখতে হলে আপনার একটি কম্পিউটার প্রয়োজন নেই। আপনার মোবাইল ব্যবহার করে এসইও শিখতে পারেন। এর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ে এবং ইউটিউব ভিডিও দেখতে হবে। আপনার যদি এসইও সম্পর্কে না জানেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য: SEO কি? সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি? What Is SEO ?

আপনারা জানেন অন পেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইট এর ভিতরের কাজ। ওয়েবসাইটের আর্টিকেল রাইটিং থেকে শুরু করে আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্য যে কাজগুলো করা হয় তাকেই অন পেজ এসইও বলা হয়।আপনি যদি মোবাইল ব্যবহার করেই অন পেজ এসইও সম্পর্কে জানতে চান! তাহলে আপনি নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন: অন পেজ এসইও করে ওয়েবসাইট গুগোল রেংকিং 100% গ্যারান্টি

আর অফ পেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের বাহিরের কাজ। একটি ওয়েবসাইটে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম আনার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের বাহিরে যে কাজগুলো করা হয়, তাকেই সাধারণত অফ পেজ এসইও বলা হয়।এসইও সম্পর্কে ডিটেইলস জানতে চাইলে, এসইও ক্যাটাগরির আর্টিকেলগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে সবকিছু করতে পারেন।

মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট এরকম কোন সাইট নেই। আপনি যেকোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে মোবাইল দিয়ে কাজ করতে পারবেন।আমি উপরে যে কাজগুলো সম্পর্কে আলোচনা করছি, আপনি যদি এ কাজগুলো শিখতে পারেন। তাহলে আপনি অনায়াসে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে মোবাইল দিয়ে কাজ করতে পারবেন। ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং সাইটে যেহেতু অনেকগুলো কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায় সুতরাং তাই আমি ফাইবার কে মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট বলে ডাকি। এছাড়াও আপনি মোবাইল দিয়ে কাজ করে ব্লগিং করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায় সে নিয়ে আমরা একটু পরে আলোচনা করবো। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে যে, যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান। তাহলে আপনার কি কি ইকুইপমেন্ট এর প্রয়োজন পড়বে।

A Smart Device – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

যদি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে আয় করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনার কাছে একটি ডিভাইস থাকতে হবে। সেটা হতে পারে কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা একটি ভালো মানের স্মার্টফোন। যেখানে আপনি কাজ করতে পারবেন। এবং সেই কাজের বিনিময়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

A Fast Internet Connection  – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

এরপর আপনার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের প্রয়োজন হবে। সেটি হলো একটি দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন। কারন আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত অনলাইন এর সাথে যুক্ত হতে পারবেন না। যতক্ষন না আপনার কাছে একটি ভালো মানের ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে। আপাততো আপনার কাছে যদি এই দুটো ইকুইপমেন্ট থাকে। তাহলে ধরে নিবেন আপনি অনলাইনে কাজ করার জন্য একেবারে প্রস্তত। এবং আপনি চাইলেই অনলাইন জগতে পা রাখতে পারবেন।  

মোবাইল দিয়ে কারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে?

আমি বরাবর একটা কথা বলে আসছি ৷ সেটি হলো সব মানুষকে দিয়ে কিন্তুু সব ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। বরং উপযুক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে কোনো কাজকে সম্পন্ন করা সম্ভব। ঠিক তেমনি আপনি যদি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে চান। তাহলে আপনার মধ্যে বেশ কিছু গুনাবলি থাকতে হবে। চলুন এবার সেই গুনাবলি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

যেকোনো কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ

অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন, আপনি যেখানেই কোনো কাজ করুন না কেন। আপনাকে অবশ্যই সেই কাজ শেখার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে হবে। যদি আপনি কোনো কাজ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনার কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে। যারা মূলত কাজ না শিখে শুধু ইনকাম এর পেছনে দৌড়ায়। এটা কখনই করা উচিত নয়, বরং যখন আপনি কোনো কাজে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

তখন মানুষ আপনাকে নিজে থেকে খুজে নিবে।

তাই আপনার সবার আগে কোনো কাজ শেখার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে হবে। অযথা ইনকাম করার পেছনে দৌড়ালে শুধু ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই পাবেন না।

কখনও হতাশাগ্রস্থ হওয়া যাবে না 

দেখুন আমরা যারা নতুন অনলাইনে ইনকাম করতে আসি। তারা অনেকেই মনে করি যে, অনলাইনে কাজ করলে মনে হয় রাতারাতি কোটিপতি হওয়া যায়। আসলে বিষয়টি সঠিক নয়, আর যদি সেটাই হতো।তাহলে পৃথিবীতে কেউ আর গরিব থাকতো না।

সত্যি বলতে অনলাইনে কোটিপতি হওয়া সম্ভব ৷ কিন্তুু আপনাকে সঠিক উপায়ে কাজ করে যেতে হবে। হয়তবা দেখা যাবে আপনি শুরুর দিকে তেমন সফলতা নাও পেতে পারেন।

তাই বলে কোটি টাকা আয় করার স্বপ্নকে ছেড়ে দিলে চলবে না। বরং আপনাকে প্রতিনিয়ত চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে।

যখন আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে সঠিকভাবে চেস্টা চালিয়ে যাবেন ৷ তখন আপনি কোনো একটা সময়ে গিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আর আপনি যদি হাল ছেড়ে দেন, তাহলে অনলাইন কে আপনি অনেক কিছু দিলেও অনলাইন আপনাকে কিছুই দিতে পারবে না।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সংক্রান্ত শেষ কথা 

আশা করি আজকের এই পোস্ট টি পড়ার পর আপনারা জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখতে পারবেন।  মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য যাবতীয় বিস্তারিত এখানে আলোচনা করা হয়েছে।  মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই সংক্রান্ত সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ার পরও আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।  আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদেরকে সাহায্য করার জন্য। 

Facebook Comments
Top