চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে থাকে প্রায় সকলেরই। কেননা বেশি অর্থ উপার্জনের ইচ্ছা কমবেশি সবারই থাকে। ঠিক এ কারণেই এমন অনেকেই রয়েছেন যারা একটি ভালো বেতনের চাকরি করার পাশাপাশি, বাড়তি আয়ের আরও একটি সোর্স খুঁজে বেড়ান। আর তখনই উঠে আসে এই প্রশ্নটি যে– চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় কি?
আজকের এই আলোচনায় আমরা, অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের সেরা কিছু উপায় বা মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি মূলত ফুলটাইম চাকরির পাশাপাশি আমাদের উল্লেখিত এই কাজগুলো করার মাধ্যমে একটি মোটা অ্যামাউন্ট এর টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। তো আসুন জেনে নেওয়া যাক এ-সম্পর্কে বিস্তারিত।
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায়
চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং অথবা চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করে স্বাভাবিকভাবেই একজন চাকরিজীবী বাড়তি ইনকাম করতে পারেন। কেননা সরকারি বেসরকারি বা যেকোন চাকরিতেই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া থাকে। আর সেই সময় বাদে বাকি সময়টুকুতে যদি আপনার অন্য কিছুর প্রতি আগ্রহ থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের জন্য যেকোনো একটি মাধ্যম বেছে নিতে পারেন।
কেননা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য এমন অনেক মাধ্যম রয়েছে, যেগুলো অত্যন্ত সম্মানজনক এবং পার্টটাইম হিসেবেও করা সম্ভব। আলোচনার এ পর্যায়ে মূলত চাকুরীর পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের ১৫ প্লাস উপায় তুলে ধরবো আমরা। সেই সাথে আর্টিফাইলের পরবর্তী অংশে এটা বাছাই করব যে আমাদের উল্লিখিত ইনকাম এর মাধ্যম গুলোর মধ্যে থেকে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের জন্য কোন মাধ্যম গুলো সবচেয়ে সেরা!
চাকুরীর পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের একাধিক উপায়
চাকুরীর পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের উপায় সমূহ হলো–
- ফ্রিল্যান্সিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- অনলাইন রিসেলিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- সার্ভিস প্রোভাইডার
- ব্লগিং
- কোর্স সেলিং
- কনটেন্ট রাইটিং
- অনলাইন টিউশন
- অ্যাপ ডেভেলপার
- ওয়েব ডেভেলপার
- হ্যাকার
- অনলাইন সার্ভে
- মার্কেট রিসার্চ
- কোচিং মাস্টার
- ড্রপ শিপিং
- ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট সেলিং
- ওয়েবসাইট ফ্লিপিং
- ইউটিউবিং
- কনটেন্ট ক্রিয়েটিং
- ফটো সেলিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
- ফটো এডিটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ভয়েস আর্টিস্ট
- নার্সারি তৈরি
- উদ্যোক্তা
- ব্যবসা-বাণিজ্য সহ প্রভৃতি।
এক কথায়– আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের চিন্তাভাবনা করেন তাহলে– অনলাইন এবং অফলাইনে নিজের দক্ষতার যোগ্যতা এবং সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে যেকোনো একটি কাজ করতে পারেন।
আমরা মূলত ইতোমধ্যে উপার্জনের তালিকায় চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম এবং চাকরির পাশাপাশি অফলাইনে উপার্জনের কয়েকটি মাধ্যম সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছি। তবে এর পাশাপাশি আপনি চাইলে–
- বাড়ি ভাড়ার মাধ্যমে বাড়িতে ইনকাম করতে পারেন
- অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রির মাধ্যমেও বা ইনকাম করতে পারেন
- পাশাপাশি– বিভিন্ন বই লিখে সেটা নিজের নামে প্রচার করে তার সেলিং বাড়িয়ে, নতুন নতুন কবিতা লিখে, বাড়ির পতিত জমিতে চাষাবাদ করে, বিভিন্ন কারুকার্য করে অথবা খাবার ডেলিভারি করার মাধ্যমেও বার্থডে ইনকাম করতে পারেন যেকোনো জবের পাশাপাশি।
তবে এবার আসুন– চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সবচেয়ে সেরা উপায় বা মাধ্যমগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। কেননা আমাদের মতে আপনি যদি পার্মানেন্ট কোন চাকরিতে নিয়োজিত থাকেন তাহলে আমাদের উল্লেখিত এই পাঁচটি কাজ আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ হবে এমনকি আপনি বাড়তি আয় হিসেবে বেশ মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের সেরা উপায়
চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং, চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা, চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম জব, চাকরির পাশাপাশি কোর্স বিক্রি, চাকরির পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আপনি সবথেকে বেশি ইনকাম করতে পারবেন এবং ইনকামের মাধ্যম টাও অন্যান্য আরো সকল মাধ্যমে থেকে কিছুটা হলেও সহজ হবে। এর জন্য নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে একবার পড়ুন এবং বুঝে নিন— আমাদের উল্লেখিত এ বিষয়গুলো কেন চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের সেরা উপায়!
চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের অন্যতম উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। সত্যি বলতে আপনার হাতে যদি সময় থাকে এবং আপনি যদি নিজের একটি আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলতে চান, পাশাপাশি ইনকাম করতে চান একটু বেশি পরিমাণ টাকা তাহলে আপনার জন্য আদর্শ মাধ্যম হতে পারে এটি।
কেননা ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ, যেটা আপনি আপনার পছন্দসই সময়ে করতে পারেন। এর জন্য আপনার বাধা ধরা কোন নিয়ম নির্ধারণ করে দেয়া হবে না অথবা আপনি কাজটি কতক্ষণ সময় নিয়ে করছেন, ফরমাল কোন ড্রেস পড়ে আছেন কিনা এবং দেশের কোন প্রান্ত থেকে কাজ করছেন সেটাও জানানোর প্রয়োজন পড়বে না।
এক কথায় আপনি আপনার ইচ্ছামত স্বাধীনভাবে দিন বা রাতের যেকোনো সময়ে কাজটি করতে পারবেন। আর আপনি যদি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানেন তাহলে নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অল্প স্বল্প হলেও ধারণা থাকবে আর এটা জানবেন ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমাদের দেশে আউটসোর্সিংটেই বোঝানো হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্তর্ভুক্ত বেশ কিছু কাজ রয়েছে। যেমন ধরুন—
- ব্লগিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- অনলাইন সার্ভে
- ইউটিউবিং
- প্রোডাক্ট সেলিং
- ওয়েবসাইট স্লিপিং
- অনলাইন সার্ভিস প্রোভাইডার
- রেফারেন্স, ফরম ফিলাপ এবং
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সহ প্রভৃতি।
এক কথায়– বলতে পারেন অনলাইনে যে সকল কাজগুলো সচরাচর করা যায় তার মধ্যে থেকে আপনি একের অধিক কাজ করলে সেটা ফ্রিল্যান্সিংয়ের আওতাভুক্ত হবে।
অতএব আপনি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকে নিঃসন্দেহে বাছাই করতে পারেন। আর হ্যাঁ যদি আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে– তাহলে এখনি ঘরে বসে স্মার্ট ইনকামের জন্য আমাদের freelancingtherapy.com এর সাহায্য নিন।
কেননা ফ্রিল্যান্সিং থেরাপি টিমটি ফ্রিল্যান্সিং গাইড এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে তাদের অগ্রযাত্রা শুরু করেছে। আর তাই এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন সে সাথে নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করানোর জন্য কি কি গাইডলাইন ফলো করা জরুরি সেই সব সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সেই সাথে চাইলে এক ক্লিকে পড়ে ফেলতে পারেন—
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের উপায়
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়
- ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার উপায়
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
- ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
- ফ্রিল্যান্সার পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট এবং এর প্রয়োজনীয়তা
- ছাত্রজীবনের টাকা ইনকামের সেরা উপায়
- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার উপায়।
চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা | সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা
বর্তমানে এমন অনেক কয়েকটি ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনি চাকরির পাশাপাশি খুব সহজে করতে পারেন। আর এই ব্যবসার প্রসার ঘটাতে যদি আপনি অনলাইন মাধ্যমকেও কাজে লাগান তাহলে তো কোন কথাই নেই। ধরে নিতে পারেন যে আপনি লাখপতি থেকে কোটিপতি পর্যন্ত হতে পারবেন শুধুমাত্র ব্যবসা করে।
আমরা মূলত চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার কয়েকটি ইউনিক এবং কার্যকরী আইডিয়া সাজেস্ট করব এ পর্যায়ে। সেগুলো হলো–
- কাপড়ের ব্যবসা
- খাবারের ব্যবসা
- চা পাতার ব্যবসা
- পুরনো ফোনের ব্যবসা
- ড্রাই ফুডস এর ব্যবসা
- জুতোর ব্যবসা
- বইয়ের ব্যবসা
- চারা বিক্রির ব্যবসা
- গুড় বিক্রির ব্যবসা
- বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রির ব্যবসা সহ প্রভৃতি।
দেখুন আপনি যদি– যেকোনো একটিকে বেছে নেন এবং চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করেন তাহলে নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এর জন্য অবশ্যই ব্যবসায়ের মৌলিক বিষয়গুলো কি কি, ব্যবসা করার জন্য সাধারণত কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরী এবং সফল ব্যবসায়ীর গুণাবলী কি কি সে সম্পর্কে জানতে হবে।
পাশাপাশি কিভাবে অনলাইনে ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কেও আইডিয়া নেওয়া জরুরী। কেননা আপনি চাইলেই অনলাইন এবং অফলাইন উভয়েই কানেক্টেড রাখতে পারেন আপনার পরিকল্পিত ব্যবসাকে এবং নিজের সেই পরিকল্পিত ব্যবসাকে সফলতার দ্বারপ্রান্ত পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন খুব সহজে। তাই যারা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের চিন্তা করছেন তারা আজই শুরু করুন যেকোন বিজনেস।
আর হ্যাঁ, অনেকেই প্রশ্ন করেন জবের পাশাপাশি পার্ট টাইম ব্যবসা কোনগুলো? এক্ষেত্রে বলবো– অনলাইন প্রোডাক্ট সেলিং কে। কেননা আপনি মূলত অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট একটি বিষয় শ্রেণীর অডিয়েন্সদের সামনে তুলে ধরে এবং সেটার বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করতে পারেন। আর এটাও এক ধরনের ব্যবসার মধ্যে পরে। তাই পার্ট টাইম চাকরি হিসেবে যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে প্রোডাক্ট সেলিং এর এই কাজটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী বলে মনে করছি।
আর তাছাড়াও যেহেতু আপনি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবসা কে বেছে নেবেন তাই অবশ্যই আপনার পরিকল্পনাটাও এর ওপর ভিত্তি করে কিছুটা আলাদা রকম হয়ে থাকবে। কেননা আপনার যদি একটি সুনির্দিষ্ট ও সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা থাকে তাহলে আপনি অনেক অনেক কাজ করার পরবর্তীতে ও আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এখনো শুন জেনে নেই চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম জব সম্পর্কে আরো কিছু।
চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম জব
পার্ট টাইম জব, চাকরির পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প। যেটা আপনার আর্থিক স্থিতি এবং সময় ব্যবহারের সমৃদ্ধি প্রদান করতে সাহায্য করবে। পার্ট টাইম চাকরি করে মোটামুটি অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব, সেই সাথে স্বাধীনভাবে কাজ করারও একটি আলাদা সুবিধা রয়েছে।
তাই আপনি চাইলে চাকরির পরবর্তী সময়টুকুতে নিম্ন বর্ণিত জনপ্রিয় পার্ট টাইম অনলাইন জবগুলো করতে পারবেন। যেমন—
- ডাটা রিসার্চ
- অনলাইন কল সেন্টার জব
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ভিডিও এডিটিং
- ফটো এডিটিং
- এসইও সার্ভিসিং সহ প্রভৃতি।
এক কথায় যে কাজগুলো সাধারণত প্রজেক্ট বেইজে করানো হয় এবং নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকে সেটা হতে পারে এক সপ্তাহ, ১৫ দিন অথবা এক মাস। তবে হ্যাঁ চাকরি পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে আরও দুইটি অন্যতম সেরা এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং ও কোর্স সেলিং। যা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো আমরা পরবর্তী অংশটুকুতে।
চাকরির পাশাপাশি কন্টেন্ট রাইটিং
লেখালেখির মাধ্যমে অনলাইন থেকে মাসে ৫০০০০ প্লাস টাকা ইনকাম করা সম্ভব যদি আপনি প্রফেশনাল লেভেলের একজন রাইটার হয়ে থাকেন। আর যদি ইংরেজি ভাষায় এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে তো কোন কথাই নেই।
কেননা আজকাল কনটেন্ট মার্কেটিং দারুন উদ্যমে এগিয়ে চলেছে। আপনি যদি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে কিছুটা বিষয় ঘাটাঘাটি করেন তাহলে কনটেন্ট মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। কেননা ব্লগিং, ডিজিটাল বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পাশাপাশি ইউটিউবিং বা ফেসবুক পেজ নিয়ে কাজ করা ইত্যাদি সবকিছুর সাথে আর্টিকেল/স্ক্রিপ্ট জড়িয়ে রয়েছে।
চাকরির পাশাপাশি কোর্স বিক্রি
আপনি যদি অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে অনেক বেশি জানতে হবে শিখতে হবে। আর আপনার জানাশোনার পরিধি যদি অনেক বিস্তৃত হয় তাহলে ওই সকল বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কোর্স তৈরি করতে পারেন। আর সেই কোর্সগুলো অনলাইনে বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
যেমন উদাহরণস্বরূপ টেন মিনিট স্কুলের কথাই না হয় বলা যাক। টেন মিনিট স্কুল যে বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি করে তা থেকে ইনকামের অ্যামাউন্ট জানলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে। শুধু তাই নয়, আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার জুবায়ের হোসেনের কোর্স সম্পর্কে কিছুটা ঘাটাঘাটি করেন তাহলেও জানতে পারবেন যে শুধুমাত্র অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে তিনি কত টাকা ইনকাম করছেন!
তবে যদি আপনি কোর্স বিক্রি করে প্রচুর টাকা কামাতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমত ওই কাজগুলো জানতে হবে এবং সেটা নতুনদের জন্য আরেকটা সহজ ভাবে বোঝানোর মাধ্যমে তৈরি করতে হবে একদমই ইউনিক ও প্রফেশনাল ভিডিও কোর্স। আর তবেই না আপনি সেগুলো সেল করার মাধ্যমে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারবেন।
চাকরির পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েটর
আর্টিকেলের সর্বশেষ অংশে আমরা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার কথা বলবো। আজকাল ফেসবুকে যেতে সামনে আসে বিভিন্ন ব্লগ ভিডিও। অনেকেই ফ্যামিলি ব্লগ করে আবার কেউবা করে আউট সাইড ব্লগিং ভিডিও।
যেমন ধরুন আপনার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে ভালো লাগে অথবা খাবার খেতে ভালো লাগে মূলত এই সব কিছু ভিডিওর মাধ্যমে অডিয়েন্সদের সামনে তুলে ধরাটাই একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কাজ।
এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটরা শুধুমাত্র ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করতে পারেন এটা আমরা সবাই কম বেশি জানি। তাই আপনি যদি একটি চাকরি করার পাশাপাশি ভিডিও তৈরি করে facebook পেজে আপলোড করেন অর্থাৎ নিজেকে একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে জীবনের আরেকটি মরে নিয়ে যান তাহলেও বাড়তি আয়ের একটি উৎস থেকে বেশ মোটামুটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
নিশ্চয়ই এক্ষেত্রে প্রশ্ন জাগতে পারে যে চাকরি পাশাপাশি যদি আপনি কন্টেন্ট ক্রিকেটার হয়ে যান তাহলে মোটামুটি কত টাকা ইনকাম করতে পারবে? টাকা ইনকাম মূলত বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। আর তাছাড়াও অনলাইনে ইনকাম গুলোর একের অধিক মাধ্যম থেকে থাকে। যেমন আপনি যদি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন তাহলে ভিডিওর ওয়াচ টাইম থেকে ইনকাম করতে পারবেন সে সাথে স্পন্সারশিপের মাধ্যমে ও বেশ ভালো টাকাই রোজগার করতে সক্ষম হবেন।
আর যাদের ভিডিও গুলো সচরাচর ওয়ান মিলিয়ন ভিউ হয়ে থাকে তারা মূলত মাসে এক হাজার ডলার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করে থাকে বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছ থেকে। অতএব এর মানে দাঁড়ালো আপনি যদি ওই ধরনের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের তালিকায় অবস্থান করতে পারেন তাহলে প্রতিমাসে এক লক্ষ ওপরে টাকা রোজগার করা সম্ভব হবে।
ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় সম্পর্কে সর্বশেষ কথা
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় সম্পর্কিত আলোচনার ইতি টানছি আজ এখানেই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন খুব শীঘ্রই আবারো নতুন টপিকের কোন আলোচনায় আপনাদের সাথে কথা হবে। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।